জনতার কলম আগরতলা প্রতিনিধি :-একটি রাজ্যকে স্বয়ংসম্পূর্ণ করতে হলে গ্রাম থেকে শহর— প্রতিটি স্তরে শক্তিশালী অর্থনৈতিক পরিকাঠামো গড়ে তুলতে হয়। এই পরিকাঠামোর অন্যতম স্তম্ভ হলো রাজ্য অর্থ কমিশন। বুধবার প্রজ্ঞাভবনের ১ নং হলে আয়োজিত এক সেমিনারে রাজ্যের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের উদ্দেশে বক্তব্য রাখতে গিয়ে অর্থমন্ত্রী প্রণজিৎ সিংহরায় এ কথা বলেন।
অর্থমন্ত্রী জানান, ষষ্ঠ অর্থ কমিশন রাজ্যের মানুষের সামগ্রিক উন্নয়ন ও জনকল্যাণমূলক প্রকল্প বাস্তবায়নে এক বড় ভূমিকা রাখবে। তিনি বলেন, “শিক্ষা, স্বাস্থ্য, খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান— সবক্ষেত্রে উন্নয়ন ঘটিয়ে ত্রিপুরাকে দেশের মধ্যে একটি শক্তিশালী রাজ্যে পরিণত করাই সরকারের লক্ষ্য।”
মন্ত্রী আরও বলেন, প্রত্যেক জেলা, পঞ্চায়েত ও নগরপরিষদের উন্নয়নের জন্য যথাযথ অর্থ বরাদ্দ নিশ্চিত করা হবে। যাতে কোনও উন্নয়নমূলক কর্মসূচি থেমে না যায় এবং অন্তিম মানুষ পর্যন্ত সরকারি সুবিধা পৌঁছে যায়।
গ্রাম পঞ্চায়েতকে আধুনিকীকরণের ডাক!
সেমিনারে পঞ্চায়েতমন্ত্রী কিশোর বর্মন বলেন, যুগের সাথে তাল মিলিয়ে প্রতিটি গ্রাম পঞ্চায়েতকে আধুনিকীকরণ করতে হবে। এজন্য প্রয়োজন যথেষ্ট অর্থ বরাদ্দ। তিনি পূর্ববর্তী অর্থ কমিশনের সাফল্য-ব্যর্থতা তুলে ধরে বলেন— “নাগরিক অধিকারের পাশাপাশি দায়িত্ব ও কর্তব্য পালনের দিকেও আমাদের নজর দিতে হবে। পাহাড় ও সমতলকে যুক্ত করে উন্নয়নের সেতু তৈরি করতে হবে।”
জনপ্রতিনিধিদের অংশগ্রহণ!
অনুষ্ঠানে অংশ নেন আগরতলা পুরনিগমের মেয়র দীপক মজুমদার, ঊনকোটি ও ধলাই জেলা পরিষদের সভাধিপতি, বিভিন্ন পঞ্চায়েত সমিতি ও পুরপরিষদের চেয়ারম্যান এবং বহু গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান। তাঁরা সকলেই ষষ্ঠ অর্থ কমিশনের মাধ্যমে পরিষেবা উন্নয়নের গুরুত্ব তুলে ধরেন।
কমিশনের ভূমিকা!
অনুষ্ঠানে ষষ্ঠ রাজ্য অর্থ কমিশনের চেয়ারম্যান অভিষেক সিং কমিশনের বিভিন্ন পরিকল্পনা তুলে ধরেন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন সদস্য সচিব আকিঞ্চন সরকার এবং ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন নগর উন্নয়ন দপ্তরের অধিকর্তা মেঘা জৈন।
মূল বার্তা!
অর্থমন্ত্রী থেকে শুরু করে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি— সকলের অভিমত, ষষ্ঠ অর্থ কমিশন শুধু অর্থ বণ্টনের কাঠামো নয়, বরং গ্রামীণ থেকে নগর স্তর পর্যন্ত উন্নয়নের এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে।
Leave feedback about this