জনতার কলম ত্রিপুরা আগরতলা প্রতিনিধি :- দেশকে কর্মহীন,গণতন্ত্রহীন করে রাখতে যারা সচেষ্ট, তাদের সাথে যুক্ত হয়েছে বর্ণচোরেরা। তাদের ছুঁড়ে ফেলে দিতে ও ধর্মনিরপেক্ষতার পাশে দাঁড়াতে আহ্বান জানালেন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার। গণতান্ত্রিক যুব ফেডারেশন ও উপজাতি যুব ফেডারেশনের উদ্যোগে কর্মসংস্থানের গ্যারান্টি সহ গণতন্ত্র রক্ষার ও ধর্মনিরপেক্ষতার পাশে দাঁড়াতে যে মিছিল ও সমাবেশ সংগঠিত হয় ওরিয়েন্ট চৌমহনিতে সেখানে তিনি বক্তব্য রাখতে গিয়ে এই মন্তব্য করেন।
সাম্প্রতিক কালের মধ্যে সবচেয়ে কম সময়ের তাঁর বক্তব্যে যেমন ছিল সেই বিখ্যাত ঝাঁঝ পাশাপাশি ছিল যুব সম্প্রদায়ের প্রতি জীবনবাজি রেখে গণতন্ত্র, সংবিধান ও ধর্মনিরপেক্ষতার পক্ষে ঝাঁপিয়ে পড়ার আহ্বান।তিনি বলেন’জীবনের শ্রেষ্ঠ সময় হচ্ছে যৌবন’ ,দেশকে প্রতিষ্ঠা দিতে বিজেপি ও তাদের সহযোগীদের হারাতে এই শ্রেষ্ঠ যৌবনের ঢলকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে আহ্বান মানিক বাবু।
তিনি প্রশ্ন তোলেন বিজেপির দশ বছর ও এই রাজ্যে ৭২ মাস বিজেপির শাসনে কোথায় কাজ? তিনি অভিযোগ করেন সংকীর্ণতা সৃষ্টির মাধ্যমে নির্বাচন কমিশনার গঠন থেকে শুরু করে সমস্ত গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানে নিজের লোক বসিয়ে ফ্যাসিস্ট রাজত্ব কায়েম করতে চাইছে।তিনি প্রশ্ন তোলেন এটা কি চলতে দেবেন?বিধানসভা নির্বাচনে বর্ণ চোরেদের বিশ্বাসঘাতকতায় জনবিরোধী ক্ষমতাসীনদের হারানোর সুযোগ হাতছাড়া হয়েছে। এবার নির্বাচনে যোগ্য জবাব দিতে তিনি আহ্বান জানান।
মানিক সরকার বলেন সারা দেশ সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে, এই জনবিরোধী ক্ষমতাসীনদের হটাতে এই রাজ্য পিছিয়ে থাকবে না বলে তিনি প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। বৃহস্পতিবার আগরতলা শহর দেখলো যুবক-যুবতীদের জেহাদ। দাবি একটাই ‘শাসক তুমি জুমলা ছাড়, কর্ম সংস্থান সুনিশ্চিত কর’। প্যারাডাইস চৌমুহনী থেকে শুরু যৌবনের ঢল শহর কাঁপিয়ে জানান দিল রাজ্যের অসহায় ও কঠিন সত্যের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে রাজ্যের লড়াকু যৌবন আজ অন্যায় অবিচারের বিরুদ্ধে লড়তে তৈরি।
এদিন শহরের বিভিন্ন পথ ঘুরে ওরিয়েন্ট চৌমুহনীতে সভায় মিলিত হয়। উপস্থিত ছিলেন সিপিএম রাজ্য সম্পাদক জিতেন চৌধুরী, যুব নেতা হিমগ্নরাজ ভট্টাচার্য, নবারুণ দেব, পলাশ ভৌমিক, কুমুদ দেববর্মা, কৌশিক রায় দেববর্মা সহ অন্যরা।
Leave feedback about this