জনতার কলম ত্রিপুরা আগরতলা প্রতিনিধি :- ঘূর্ণিঝড়ের জেরে ব্যাপক বৃষ্টিতে হাওড়া, মুহুরি, কাঁকড়ি, ধলাই ও খোয়াই নদীর জলস্তর বিপদ সীমার কাছাকাছি বইছে। নদীগুলির জলস্তরের উপর নজর রাখা হচ্ছে। ৪৬৭ টি বসত ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তার মধ্যে সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৬ টি বাড়ি। মঙ্গলবার বিকেলে মহাকরণে সাংবাদিক সম্মেলনে একথা জানান খাদ্যমন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী।
তিনি জানান ঝড়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে ১৮৫ টি বাড়ির। আংসিক ক্ষতি হয়েছে ২৭৬ টি বাড়ির। বন্যা দেখা দেওয়ায় রাজ্যের ১৫ টি শরণার্থী শিবির খোলা হয়েছে। শিবিরে সাত শতাধিক মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন বলে জানান মন্ত্রী। তিনি এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে জানান, সকলের সক্রিয় ভুমিকার কারনে ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে রাজ্যে কোন প্রান হানির ঘটনা ঘটে নি। আবহাওয়া দপ্তরের রিপোর্ট অনুযায়ী মঙ্গল ও বুধবার সকলে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। কারন এই দুই দিন বৃষ্টি সহ বজ্রপাত হতে পারে।
এই সময়ের মধ্যে মাছ শিকার করতে কাউকে জলাশয়ে যেতে বারন করা হয়েছে। এনডিআরএফ, এসডিআরএফ ও দমকল বাহিনীর কর্মীরা সক্রিয় ভাবে কাজ করেছে। তিনি আরও জানান গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে গড়ে বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে ২১৫.৫ মিলি লিটার। সর্বাধিক বৃষ্টি হয়েছে ঊনকোটি জেলায়। রেকর্ড করা হয়েছে ঊনকোটি জেলায় ২৫২.৪ এম.এম। সর্ব নিম্ন বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে দক্ষিন জেলায় ১৬৮ এম.এম।
Leave feedback about this