জনতার কলম, এিপুরা,উদয়পুর প্রতিনিধি: চাকুরীচ্যুত 10323 শিক্ষকদের জন্য আর কাল বিলম্ব না করে স্থায়ীভাবে বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা সহ আট দফা দাবি নিয়ে গোমতী জেলা শিক্ষা আধিকারিকের কাছে ডেপুটেশন দিলো সি পি আই এম এল l ডেপুটেশন প্রদান কালে ৫ জনের প্রতিনিধি দলে ছিলেন সিপিআই (এমএল), ত্রিপুরা রাজ্য কমিটির সম্পাদক পার্থ কর্মকার, জেলা কমিটির পক্ষে গোপাল রায় ও দেবাশিষ রায়,আইসা – র পক্ষে রুবেল সরকার ও কাজী সংগ্রামুন উদ্দিন। পরে সি পি আই এম এল রাজ্য সম্পাদক পার্থ কর্ম কার বলেন কোভিড – 19 মহামারী বিপর্যয়ের সময় চলতি শিক্ষা বর্ষে বিদ্যালয়ে পঠন পাঠন ও সব ধরনের পরীক্ষা বন্ধ ও স্থগিত রাখার দাবিতে সারা দেশব্যাপী ও রাজ্যে ব্যাপক জনমত গড়ে উঠেছে। অথচ ছাত্রছাত্রী, অভিভাবক ও সব অংশের মানুষের জোরালো মতামতকে অগ্রাহ্য করে কি কেন্দ্রে ও কি রাজ্যে, উচ্চ শিক্ষা ও বিদ্যালয় শিক্ষায় বিশেষ ধরনের পঠন পাঠন ও পরীক্ষা চালু করা হয়েছে। নিট ও জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষা শুরু করা হয়েছে। নিট পরীক্ষায় মাত্র 74% ছাত্রছাত্রী অংশ নিতে পেরেছে। যা ছাত্রছাত্রী ও শিক্ষকদের জীবন নিরাপত্তাকে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ ও বিপদাপন্ন করে তুলেছে। অভিযোগ সি পি ফলে এম এল রাজ্য কমিটির ল তাদের অভিযোগ, এতেপরীক্ষা কেন্দ্রে ছাত্রছাত্রীদের উপস্থিতির হার খুবই কম। আমাদের রাজ্যে 20 শে আগস্ট হতে বিদ্যালয়ে ‘নেইবারহুড’ ক্লাশ চালু করা হয়েছে। তাতে করোনা আক্রান্ত হয়ে বিশালগড় নেহালচন্দ্র নগর বিদ্যালয়ের শিক্ষক রাধেশ্যাম সরকার ও সোনামুড়া গরুরবান্ধ বিদ্যালয়ের ছাত্র মারা যায়।আরও শিক্ষক আক্রান্ত হয়। চিকিৎসা পায়নি। পরে 29 শে আগস্ট তা বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছে রাজ্য শিক্ষা দপ্তর। এমন একটা সময়ে এই ধরনের অবিবেচনা প্রসূত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হচ্ছে, যখন দেশে কোভিড মহামারী গণসংক্রমণ আশংকাজনক ভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং ভারত বিশ্বে তয় স্থান দখল নিয়েছে। জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়েছে।এই দু:সময়ে মানুষের হাতে কাজ নেই, রোজগার তলানিতে, সুচিকিৎসার অভাব, নগদ টাকার জন্য হাহাকার। রাজ্যে গোষ্ঠী সংক্রমণে প্রতিদিন আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে চারশ থেকে ছয়শ দাঁড়িয়েছে । মৃত্যুর সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে lএইরকম উদ্বেগপূর্ণ পরিস্থিতিতে সি পি আই এম. এল রাজ্য কমিটি আট দফা দাবী নিয়ে গোমতী জেলা শিক্ষা আধিকারিকের কাছে শনিবার ডেপুটেশন দিয়েছে l দাবিগুরির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো,চলতি শিক্ষা বর্ষে সব ধরনের পঠন পাঠন ও পরীক্ষা স্থগিত ও বন্ধ রাখতে হবে।যেহেতু 73% ছাত্রছাত্রীর কাছে এন্ড্রয়েড মোবাইল নেই, ইন্টারনেট নেই, আর্থিক সঙ্গতি নেই। অনলাইন ক্লাশ কার্যত ব্যর্থ প্রমানিত হয়েছে। তাই অনলাইন ক্লাশ চালু রাখতে হলে সরকারকে 73% ছাত্রছাত্রীদের জন্য এন্ড্রয়েড মোবাইল কিনে দিতে হবে।বিনামূল্যে ইন্টারনেট ও বিদ্যুৎ পরিষেবা দিতে হবে। বিপর্যয় ব্যবস্থাপনা আইন 2005 ইং অনুসারে ‘নেইবারহুড’ ক্লাশের ফলে কোরোনা আক্রান্ত হয়ে ছাত্র ও শিক্ষকের মৃত্যুর দায় রাজ্য সরকার ও শিক্ষা দপ্তরকে নিতে হবে এবং উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষায় সমস্ত ধরনের ফি মুকুব করতে হবে। বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিয়মিত ক্লাশ বন্ধ থাকাকালীন সময়ে স্কুল কর্তৃক ছাত্রছাত্রীদের কাছ থেকে যাতায়াতের জন্য বাস ভাড়া আদায় বন্ধ রাখতে হবে।কোভিড 19 মহামারী সময়ে ছাত্রছাত্রীদের জন্য স্বাস্থ্য বীমা চালু করতে হবে। ইফকাই, বেসরকারি উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাস আউট ছাত্রদের মার্কশিট ও সার্টিফিকেট প্রদান নিয়ে হয়রানি বন্ধ করতে হবে পাঁচ সেপ্টেম্বর শিক্ষক দিবসে নির্দিষ্ট সংখ্যায় গুনমান সম্পন্ন শিক্ষকদের জেলায় জেলায় বাছাই করে উপযুক্ত সম্মান দেওয়ার জন্য দপ্তর উদ্যোগ গ্রহণ করে।26 শে জুন এক বিজ্ঞপ্তি জারি হয়। তাতে প্রত্যেক জেলা থেকে বিভিন্ন স্তরে 29 জন করে বাছাই করে আদর্শবান ও গুণমান সম্পন্ন শিক্ষকের নাম পাঠাতে বলা হয়। 30 শে জুলাই এর মধ্যে নাম পাঠাতে নির্দেশ দেওয়া হয়। জেলা স্তরের শিক্ষা আধিকারিকগণ এর দায়িত্বে থাকবেন। কিন্তুু আশ্চর্যজনক ভাবে গোমতী জেলা থেকে মাত্র 11 জনের নাম পাঠানো হয়েছে বলে খবরে প্রকাশ। শিক্ষা অনুরাগী মানুষ তাতে অসন্তুষ্ট হয়েছেন।-তাই তা বাতিল করতে হবে।
রাজ্য
10323 শিক্ষকদের পাশে দাঁড়িয়ে গোমতী জেলা শিক্ষা আধিকারিকের কাছে ডেপুটেশন সি পি আই এম এলের
- by janatar kalam
- 2020-09-19
- 0 Comments
- Less than a minute
- 4 years ago
Leave feedback about this