2024-09-20
agartala,tripura
রাজ্য

১২ই জানুয়ারি ঘোষণা হচ্ছে কংগ্রেস সিপিআইএমের জোট ফিফটি ফিফটি আসলে লড়াই করবে দুই দল সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত

জনতার কলম ত্রিপুরা আগরতলা প্রতিনিধি :- বিজেপিকে হটাতে প্রায় চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছে রাজ্যের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দুই মেরুর দুই রাজনৈতিক দল কংগ্রেস ও সিপিএম। সিপিআইএমের কেন্দ্রীয় কমিটি থেকে ইঙ্গিত পাওয়ার পর রাজ্য নেতৃত্ব শুরু করে দিয়েছে জোট প্রক্রিয়ার তোড়জোড়। সম্ভাব্য জোটের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা হতে পারে আগামী 12 ই জানুয়ারি। তবে আসন রফা নিয়ে সিপিআইএমের তরফ থেকে কিছু আপত্তি থাকলেও শেষ পর্যন্ত ফিফটি ফিফটি আসনে রাজি হয়েছে দুই দলের নেতৃবৃন্দ।সূত্রের খবর ইতিমধ্যেই কংগ্রেস এবং সিপিআইএমের রাজ্য নেতৃত্বদের মধ্যে আসন রফা হয়ে গিয়েছে। কংগ্রেস লড়বে রাজ্যের 60টি বিধানসভা আসনের মধ্যে 30 টিতে। বাকি 30 টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে সিপিআইএম দল। তবে সিপিআইএমের কাছ থেকে বিশেষ চারটি আসন দাবি করেছে কংগ্রেস দল। আকর্ষণীয় আসন গুলি হল বিশালগড়, কমলাসাগর, বক্সনগর এবং কৈলাশহর। এই চারটি আসনে কংগ্রেস দল জেতার প্রবল সম্ভাবনা আশা করছে। যার জন্য এই আসনগুলি সিপিআইএমের কাছ থেকে চেয়ে নিয়েছে কংগ্রেস। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে কংগ্রেস সিপিএম এক হলে আখেরে লাভ হবে শাসক বিজেপি দলের। কেননা পশ্চিমবঙ্গে কংগ্রেস এবং সিপিআইএম জোট বদ্ধ ভাবে লড়াই করে শূন্য আসনে গিয়ে পৌঁছেছে সিপিআইএম দল। কংগ্রেস যদিও কয়েকটি আসনে নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রেখেছে। পার্শ্ববর্তী বাংলা ভাষাভাষী রাজ্য পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করলে, ত্রিপুরা রাজ্য রাজনীতির ভবিষ্যত কিন্তু শেষের দিকেই ইঙ্গিত করছে। ত্রিপুরায়ও নিঃশেষ হয়ে যেতে পারে সিপিআইএম দল। সিপিআইএম দলের দীর্ঘ ত্রিশ বছরের শাসনে কংগ্রেস যখন নিজেদের আসন সংখ্যা দুই সংখ্যার ঘরে ও ধরে রাখতে পারেনি ,সেই দল আবার কি করে সিপিআইএমের সঙ্গে জোটবদ্ধ হয়ে ক্ষমতার মসনদ দখল করার দিবা স্বপ্ন দেখছে, সে নিয়েও কিন্তু রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মধ্যে প্রশ্ন কানাঘুষা করছে। প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে তাহলে কি একদা দেশের সর্ববৃহৎ রাজনৈতিক দল কংগ্রেস নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে চিরশত্রু সিপিআইএম দলের সাথে হাতে হাত মিলিয়ে এবারের ভোটযুদ্ধে লড়াইয়ে অবতীর্ণ হতে যাচ্ছে। তাহলে দীর্ঘ ত্রিশ বছরের সিপিআইএম শাসনে রাজনৈতিক সন্ত্রাসের যে সমস্ত কংগ্রেস কর্মী সমর্থক খুন হয়েছিল , তাদের পরিবার-পরিজনরা এই জোট কি করে মেনে নেবে। কংগ্রেস দল কী করেই বা আশা করছে সিপিআইএম দলের সাথে জোট বদ্ধ ভাবে লড়াই করে মানুষের আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করতে পারবে। অপরদিকে কংগ্রেস টিইউজিএস জোট সরকারের শাসনের পাঁচ বছরে যে সমস্ত সিপিআইএম কর্মীসমর্থকরা খুন হয়েছিল তাদের পরিবার পরিজনরাই বা কি করে মেনে নেবে। তবে সে যাই হোক জোটের রাজনীতিতে হাঁটতে শুরু করে দিয়েছে চিরশত্রু চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী রাজ্যের দুটি রাজনৈতিক দল কংগ্রেস ও সিপিআইএম।তবে ফলাফল কি হবে ২০২৩ বিধানসভা নির্বাচনের পরেই রাজ্যবাসীর কাছে তা স্পষ্ট হয়ে যাবে।

Leave feedback about this

  • Quality
  • Price
  • Service