2024-12-14
agartala,tripura
রাজ্য

তেলিয়ামুড়া মহকুমায় সর্বোচ্চ নম্বর পেয়ে প্রথম স্থানাধিকার অর্জন করে পিনাকী দাস

জনতার কলম ত্রিপুরা তেলিয়ামুড়া প্রতিনিধি :- মেধা’কে যে দারিদ্র্যতাও আটকাতে পারে না তারই এক জ্বলন্ত প্রতিচ্ছবি উঠে আসলো আমাদের তেলিয়ামুড়া মহকুমার অন্তর্গত পুলিনপুর গ্রামীন এলাকা থেকে । অবশেষে, নিত্য সঙ্গী দারিদ্রতার মধ্যে দিয়েই গৃহ শিক্ষক থেকে শুরু করে মা-বাবা’কে পাশে নিয়ে ও নিজের অগাদ আক্লান্ত কঠোর পরিশ্রমের ফলে এই বছরের জুলাই মাসে ত্রিপুরা মধ্যশিক্ষা পর্ষদ কর্তৃক প্রকাশিত উচ্চ মাধ্যমিকের চূরান্ত ফলাফলে তেলিয়ামুড়া মহকুমার মধ্যে তুইসিন্দ্রাই বাড়ি দ্বাদশ শ্রেণী বিদ্যালয়ের বিজ্ঞান বিভাগীয় ছাত্রী পিনাকী দাস (১৮) সর্বোচ্চ ৪৭১ নম্বর পেয়ে প্রথম স্থানাধিকার অর্জন করেছে । তাঁর এই সাফল্যে পরিবার আত্মীয় স্বজনদের পাশাপাশি ভেজায় আপ্লুত ও খুশি গোটা তেলিয়ামুড়া মহকুমাবাসী । উল্লেখ্য, স্থানীয় সূত্রে খবর যদিও খুবই দরিদ্র ঘরেরই সন্তান এই মেধাবী বিজ্ঞান বিভাগীয় ছাত্রী পিনাকী দাস । আর এই দারিদ্রতার মধ্যে দিয়েই বিগত দিনেও মাধ্যমিকে সর্বোচ্চ নম্বর পেয়ে প্রথম স্থানাধিকার অর্জন করেছিল সে । বর্তমানে মেধাবী ছাত্রী ও পরিবারের সদস্যের সঙ্গে আলাপ-চারিতায় জানা যায়, দারিদ্রতা, আর্থিক অনটন, তাদের নিত্য সঙ্গী বলা চলে । আর এই দুর্দশাগ্রস্ত অবস্থার মধ্যে দিয়েই আজকের দিনে দাঁড়িয়ে তাঁর এই সাফল্যের পেছনে তাঁর কঠোর পরিশ্রমের পাশাপাশি ৬ জন গৃহ শিক্ষকের অবদান ছিল খুবই গুরুত্বপূর্ণ । এছাড়াও কথালাপে আরও জানা যায়, বর্তমানে তথাকথিত মেধাবী ছাত্রী এখন তাঁর দীর্ঘদিনের স্বপ্ন পূরণ করতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে । সে এখন ‘IIT’ তে ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়াশোনা করে ছোটবেলার স্বপ্ন’কে বাস্তবে রূপ দিতে আগ্রহী । কিন্তু এই ক্ষেত্রে মূলতঃ তাঁর এই স্বপ্ন পূরণে প্রধান প্রতিবন্ধক হয়ে দাঁড়িয়েছে তাঁর পরিবারের দীর্ঘদিনের নিত্য সঙ্গী আর্থিক অনটন । পরবর্তীতে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথালাপে জানা যায়, এই দারিদ্রতার মাঝেই ২ মেয়েকে নিয়ে তাদের এই ছোট্ট দারিদ্র্যের সংসার । তাঁদের সংসারে একমাত্র পিতা প্রদীপ দাস শুধুমাত্র পাড়ায় পাড়ায় দিনভর ফেরী করে সামান্য মাছের ফনা বিক্রি করে আর্থিক অনটনের মধ্যে দিয়েই কোন রকমে সংসার প্রতিপালন করে চলছেন । কিন্তু এতেও থেমে থাকার পাত্রী নয় ওই তথাকথিত মেধাবী ছাত্রী পিনাকী । নিজের লক্ষ্যে অভীষ্ট রয়েছে সে এখনো । লক্ষ্য শুধুই একটি ‘IIT’ -তে ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়াশোনা করে নিজের স্বপ্ন’কে বাস্তবায়ন । সেই মোতাবেক সে নিজেকে সেইভাবে তৈরিও করে নিয়েছে । কিন্তু তাঁর এই আগামী দিনের স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করার ক্ষেত্রে কিছুটা হতাশাগ্রস্ত ও হিমসিম খেতে হচ্ছে গোটা পরিবারটিকে । এছাড়াও আরও জানা যায়, এই দরিদ্র পরিবারটি বিগত দিন থেকে এখন পর্যন্ত রাম বাম কোন আমলেই কোনরকম সাহায্য সহযোগিতা পায় নি কারোর কাছ থেকে । তবে এখন বর্তমানে যদি প্রশাসনিক ভাবে ও স্থানীয় বিধায়িকা সহ নেতা আমলারা এই পরিবারটির পাশে দাঁড়ায় কিংবা স্বল্প হলেও সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয় তাহলে খুবই উপকৃত হবে বলে মনে করছে স্থানীয় এলাকাবাসী সহ তথ্যবিজ্ঞ মহল । এখন মূলতঃ এটাই দেখার বিষয় যে, বর্তমান সভ্য সমাজের নিরিখে একটি দারিদ্র পরিবারের মেয়ের স্বপ্ন পূরণে ও বাস্তবায়নে আদৌও কোন নেতা আমলা থেকে শুরু করে স্থানীয় বিধায়িকা এই পরিবারটির পাশে দাঁড়াতে এগিয়ে আসে কি না ।।

Leave feedback about this

  • Quality
  • Price
  • Service