2024-11-25
agartala,tripura
রাজ্য

পাকা ছাদ তৈরি করে দেওয়ার প্রধানমন্ত্রীর উদ্যোগকে, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেবের নেতৃত্বে সম্পূর্ণ করার লক্ষ্য জারী রেখেছে রাজ্য সরকার- সুশান্ত

জনতার কলম ত্রিপুরা আগরতলা প্রতিনিধিঃ- সোমবার জিরানীয়ার অগ্নিবীণা হলঘরে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা (গ্রামীণ) ও প্রধানমন্ত্রী কিষান সম্মান নিধির সুবিধাভোগীদের নিয়ে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। এদিনের সভায় উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব এবং এলাকার বিধায়ক তথা তথ্য-সংস্কৃতি দপ্তরের মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী। এদিনের সভায় সুবিধাভোগীদের সাথে সরাসরি কথা বলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব। মুখ্যমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা (গ্রামীণ) প্রকল্পের সুবিধাভোগীদের সাথে কথা বলে তাদের গৃহ নির্মাণ সংক্রান্ত কাজের অগ্রগতি ও সমস্যা সম্পর্কে অবগত হন পাশাপাশি এদিন তিনি প্রধানমন্ত্রী কিষাণ সম্মান নিধি যোজনার সুবিধাভোগী কৃষক ভাইদের সাথেও কথা বলে তাদের কৃষিকাজ সংক্রান্ত নানা সুবিধা-অসুবিধা সম্পর্কে খোলামেলা আলোচনা করেন। এদিন মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী বলেন দেশবাসীর মাথার উপর একটি পাকা ছাদ তৈরি করে দিতে প্রধানমন্ত্রী যে উদ্যোগ নিয়েছিলেন, সেটা আমাদের রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব জী’র সুযোগ্য নেতৃত্বে মিশন মুডে সম্পূর্ণ করার লক্ষ্য জারী রেখেছে রাজ্য সরকার। তাছাড়া এদিন তিনি আরো বলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীজি গত ১৪ই নভেম্বর ২০২১ তারিখে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ত্রিপুরার ১ লক্ষ ৪৭ হাজার ৮০৫ জন সুবিধাভোগীর অ্যাকাউন্টে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা-গ্রামীণ (PMAY-G)-এর প্রথম কিস্তির টাকা সরাসরি ট্রান্সফার করে দিয়েছিলেন। সরাসরি ত্রিপুরার ১ লক্ষ ৪৭ হাজার ৮০৫ জন সুবিধাভোগীদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে একসঙ্গে মোট ৭০৯ কোটি ৪৬ হাজার টাকা ঢুকে গিয়েছিল এবং এই প্রকল্পের বাস্তবায়নের জন্য বিষয়টি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীজির দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব। আমাদের মুখ্যমন্ত্রীর আন্তরিক প্রচেষ্টার ফলেই ত্রিপুরা ও অসমের ক্ষেত্রে এই যোজনায় গ্রামীণ ঘর নির্মাণের সংজ্ঞা পরিবর্তন করেছে কেন্দ্রীয় সরকার বলে জানান এবং এর ফলে ঘর নির্মাণের সঙ্গে যুক্ত রাজমিস্ত্রী, কাঠমিস্ত্রী সহ অনেকেই আর্থিকভাবে উপকৃত হচ্ছেন। পাশাপাশি গ্রামীণ এলাকার অর্থনৈতিক ব্যবস্থাও স্বচ্ছল হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী কিষাণ সম্মান নিধি যোজনার আওতায় প্রত্যেক কৃষক পরিবারকে বছরে ৬ হাজার টাকা দেওয়া হচ্ছে। বছরে ২ হাজার টাকা করে তিনটি কিস্তিতে তিনবার প্রকল্পের সুবিধা পাচ্ছেন উপভোক্তারা। আগে যেসব কৃষকদের ২ হেক্টর অবধি জমি ছিল তাঁরাই এই প্রকল্পের সুবিধা পেতেন। বর্তমানে ক্ষুদ্র জমির মালিকানাধীন কৃষকরাও এই প্রকল্পের সুবিধা পাচ্ছেন । এর ফলে রাজ্যের কৃষিক্ষেত্রে এক নতুন জোয়ার এসেছে বলে অভিমত ব্যক্ত করেন। আজকের অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিম ত্রিপুরা জেলার জেলা শাসক দেবপ্রিয় বর্ধন,কৃষি দপ্তরের অধিকর্তা শরদিন্দু দাস,জিরানীয়া নগর পঞ্চায়েতের চেয়ারপার্সন রতন দাস, জিরানীয়া পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারপার্সন শ্রীমতি মঞ্জু দাস,জিরানীয়া পঞ্চায়েত সমিতির ভাইস চেয়ারম্যান প্রীতম দেবনাথ,বিশিষ্ট সমাজসেবী গৌরাঙ্গ ভৌমিক সহ অন্যান্য বিশিষ্টজনেরা

Leave feedback about this

  • Quality
  • Price
  • Service