2024-11-17
agartala,tripura
রাজ্য

কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের গরীব মারা নীতির কারণে সব অংশের মানুষের স্বার্থ আজ বিপন্ন – মানিক

জনতার কলম ত্রিপুরা আগরতলা প্রতিনিধি:- শনিবার বিজেপি আইপিএফটি জোট সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিশ্রুতি খেলাপীর অভিযোগ এনে প্রকাশ্যে মিছিল সমাবেশের মধ্য দিয়ে জনতার আদালতে চার্জশিট পেশ করল ত্রিপুরা তপশিলি জাতি সমন্বয় সমিতি। মোট ১৬ দফা দাবিতে এদিনের এই জনতার আদালতে চার্জশিট পেশ এর কর্মসূচির আয়োজন। এদিনের সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন বিরোধী দলনেতা মানিক সরকার ও অন্যান্যদের মধ্যে ছিলেন সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক জিতেন্দ্র চৌধুরী, ত্রিপুরা তপশিলি জাতি সমন্বয় সমিতির রাজ্য সভাপতি রতন ভৌমিক, সাধারণ সম্পাদক সুধন দাস সহ আরো অনেকে। এদিন বিরোধী দলনেতা বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন অক্সিজেন ছাড়া মানুষ বাঁচে না। সভ্য সমাজের অক্সিজেন হলো গণতন্ত্র। বিজেপি আইপিএফটি জোট সরকারের রাজত্বে রাজ্যের মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে। এই পরিস্থিতিতে গণতান্ত্রিক অধিকার পুনরুদ্ধার ও পুনঃস্থাপনের লড়াইকে আরও তেজি করে তুলতে হবে। দাবিগুলোর মধ্যে অন্যতম দাবী হল, রাজ্যে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করতে আইনের শাসন পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করা, সমস্ত সরকারি আধা সরকারি দপ্তরে শূন্যপদ অবিলম্বে পূরণ, রেগা প্রকল্পে শ্রমদিবস ও মজুরি বৃদ্ধি, শিক্ষাকে বেসরকারিকরণ না করা, ত্রিপুরা তপশিলি জাতির উন্নয়নে থেকে সহজ শর্তে অধিকসংখ্যক ঋণ প্রদান, তপশিলি ছাত্র-ছাত্রীদের স্টাইপেন্ডের পরিমাণ বৃদ্ধি করা, পিছিয়ে পড়া বিভিন্ন অংশের মানুষদের জীবিকার উন্নতির স্বার্থে আধুনিক প্রযুক্তিগত সাহায্য ও সরঞ্জাম প্রদান ইত্যাদি। এছাড়াও রয়েছে ১০৩২৩ শিক্ষকদের অবিলম্বে স্থায়ী নিয়োগের ব্যবস্থার দাবিসহ সকল অনিয়মিত কর্মচারীদের নিয়মিতকরণ, বকেয়া মহার্ঘ ভাতা প্রদান, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় গৃহ নির্মাণে আর্থিক বরাদ্দ বৃদ্ধি করা‌। এদিনের সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিরোধী দলনেতা আরও বলেন, তপশিলি অংশের মানুষের একটা বড় অংশ দুর্বিসহ যন্ত্রনাকর পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে দিনরাত অতিক্রম করেছেন। সমাজের পিছিয়ে পড়া অংশের উপজাতি, তপশিলি, সংখ্যালঘু ও ওবিসি ভক্ত মানুষদের দিকেই বামফ্রন্ট সরকারের নজর ছিল সর্বাধিক। নির্বাচিত সরকার যদি এই সকল মানুষজনের পাশে না দাঁড়ায় তাহলে কে দাঁড়াবে ? তিনি বলেন,কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের মানুষ মারা নীতি ও গরীব মারা নীতির কারণে সব অংশের মানুষের স্বার্থ আজ বিপন্ন। তাই এই নীতি ও সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করার জন্য সরকারের ওপর চাপ আরও কয়েকগুণ বাড়াতে হবে। এরপরেও নীতি পরিবর্তন না করলে, তাদেরকে পাল্টাবার জন্য প্রয়োজনীয় ভূমিকা নিতে হবে। শুধু চার্জশিট দাখিল করে বসে থাকলে হবে না। আরো বেশি সংখ্যক মানুষকে সাথে নিয়ে লড়াই-সংগ্রামকে তেজী করে তুলতে হবে। এদিনের কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে দলীয় কর্মী সমর্থকদের উপস্থিতি ছিল লক্ষণীয়।

Leave feedback about this

  • Quality
  • Price
  • Service