জনতার কলম ত্রিপুরা আগরতলা প্রতিনিধি:- বুধবার ৬ দফা দাবি নিয়ে রাজধানী আগরতলা প্রেস ক্লাবে এক সাংবাদিক বৈঠকে মিলিত হন অল ত্রিপুরা মাদ্রাসা টিচার্স এসোসিয়েশন। এদিনের সাংবাদিক বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন অল ত্রিপুরা মাদ্রাসা টিচার্স এসোসিয়েশনের রাজ্য সভাপতি আব্দুল আলিম এবং রাজ্য সহ-সভাপতি শাহ আলম। এদিন সংগঠনের নেতৃত্বরা সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী তথা ভারতরত্ন শ্রী অটলবিহারী বাজপায় জী গত ১৯৯৬-৯৭ সালে ভারতে পিছিয়ে পড়া জাতীগোষ্ঠী মুসলিম সংখ্যালঘু জণগনকে আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত করার জন্য সর্বপ্রথম মর্ডানাইজেশন নামে মাদ্রাসা স্কিম চালু করেন । পরবর্তী সময়ে দ্বিতীয় UPA সরকার মর্ডানাইজেশন নাম পরিবর্তন করে রাখে SPQEM । বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকার SPQEM নাম পরিবর্তন করে রাখেন SPEMM । মাদ্রাসার শিক্ষকরা বেতন বঞ্চনার সহ্য করতে না পেরে নিরুপায় হয়ে গনতান্ত্রিক পদ্ধতিতে মাঠে নেমে লড়াই আন্দোলন শুরু করে । তারপর কেন্দ্রীয় সরকারের মানব সম্পদ উন্নয়ন দপ্তরের চিঠি পত্র আদান প্রদান শুরু হয় । এমত অবস্থায় তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী শ্রীমতি স্মৃতি ইরানী মহোদয়া ত্রিপুরা রাজ্য সফরে আসেন । তখনই মাদ্রাসা SPQEM সংগঠন রাজ্য কমিটির সাধারণ সম্পাদক শাহআলমের নেতৃত্বে এক প্রতিনিধি দল ওনার সাথে ডেপুটেশনে মিলিত হন । কেন্দ্রীয় সরকারের চাপ ও মাদ্রাসা সংগঠনের লাগাতর আন্দোলনের চাপে গত বাম সরকার ২৭/০৯/২০১৬ ইং তারিখে রাজ্যমন্ত্রী সভায় কেবিনেট সিদ্ধান্ত হয় , এখন থেকে SPQEM মাদ্রাসা কর্মরত ৩৫৩ জন শিক্ষক শিক্ষিকাকে এই রাজ্যের নিয়মিত শিক্ষক কর্মচারীদের ন্যায় সমহারে বেতন ভাতা ও অন্যান্য সুযোগ সুবিধা দেওয়া হবে । তারপর থেকে UGT শিক্ষকরা ১৭,০৩৮ টাকা , GT শিক্ষকরা ২১,৫৫৩ টাকা এবং PGT শিক্ষকরা ২৭ , ২৫৫ টাকা দেওয়া হয় । সে মোতাবেক এখনো পর্যন্ত আমরা এত টাকা করে বেতন পাচ্ছি । এর মধ্যে গত বাম সরকার ১৩/১০/২০১৭ ইং তারিখে ২.২৫sanction করে যথারীতি মাসের বেতনের সাথে ২.২৫ ধরে টাকাও দেওয়া হয় । ঠিক ১৩ দিনের মাথায় রি – অর্ডার দিয়ে অর্ডার কে বাতিল করে শিক্ষকের একাউণ্ট থেকে বর্ধিত বেতন ভাতা কেটে নিয়ে যায় । এমতাবস্থায় রাজ্য কমিটি তড়িগড়ি মিটিং বসে তৎকালীন সরকারের বিরুদ্ধে শিক্ষকরা ক্ষোভ প্রকাশ করে । এই অবস্থার মধ্যে সরকার পরিবর্তন হয়ে নতুন সরকার গঠন হয় । এই নতুন সরকারের মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী ২.৫৭ দেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন । সব ধরণের কর্মচারীরা পেলেও আমরা SPQEM মাদ্রাসা শিক্ষকরা এখনো পাইনি । তাই নতুন সরকারের প্রতি আমাদের আশা ভরসা অপরিসীম বলে জানান , কেননা এই নতুন কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের সর্বব্যাপী স্লোগান নিয়ে মানুষের সামগ্রীক উন্নয়ন ও সেবায় ক্রমাগত কাজ করে চলেছে ।এই রাজ্যের SPQEM মাদ্রাসা শিক্ষকরা সরকারের সেবামূলক কাজ কে সামনে রেখে COVID- 19 পরিস্থিতিতে রক্ত সংকট কালীন অবস্থায় আগরতলা গেদু মিয়া মসজিদ প্রাঙ্গনে আদরনীয় মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী শ্রী বিপ্লব কুমার দেব ও কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী শ্রীমতি প্রতিমা ভৌমিক মহোদয়া এবং অন্যান্য নেতৃবর্গ উপস্থিতিতে রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা হয় । এছাড়া COVID- 19 পরিস্থিতিতে মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী এ্যান তহবিলে মাদ্রাসা শিক্ষকরা ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা দান করে । যখন ১০৩২৩ জন শিক্ষকদের চাকরী চলে যায় তখন স্কুলে শিক্ষক সংকট দেখা দেয় , তখন ছাত্র ছাত্রীদের ভবিষৎত্তের কথা চিন্তা করে সারা রাজ্যে স্কুলে মাদ্রাসা শিক্ষকদের কে ডেপুটেশনে বদলি করানো হয় । বর্তমানে কম বেতনে শিক্ষকতা করছেন স্কুলে । এই কারণে রাজ্যে সরকারের কাছে আমরা সম কাজে , সম বেতনের দাবি করছি । উক্ত রক্তদান শিবির অনুষ্টানে মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী দৃঢ়তার সহিত বলেছেন আগামী অর্থ বছরে অথাৎ ২০২০-২০২১ অর্থ বছরে মাদ্রাসা শিক্ষকদের জন্য বেতন ভাতা বৃদ্ধিসহ চাকরী নিয়মিত করনের আশ্বাস দেন । তাই এবারের আর্থিক বছরে মাদ্রাসা শিক্ষকরা আশা করে , মাননীয় মুখ্যমন্ত্রীর পূর্বের নির্ধারিত ঘোষনা বাস্তবায়িত করবেন । তাই আমরা রাজ্যে সরকারের পাশে থেকে রাজ্য সরকারের যে স্লোগান ” সবকা সাথ সবকা বিকাশ ” ” এক ত্রিপুরা শ্রেষ্ঠ ত্রিপুরা এই স্লোগানে আমরা প্রচণ্ড ভাবে বিশ্বাস করি । এই বিশ্বাস ও প্রত্যাশার সুযোগ নিয়ে আদরণীয় মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রী এবং সংখ্যালঘু মন্ত্রীর উদ্দেশ্যে ৬ দফা দাবি পেশ করেন সংগঠনের নেতৃত্বরা।
রাজ্য
বেতনক্রম বৃদ্ধির দাবিতে সাংবাদিক বৈঠকে অল ত্রিপুরা মাদ্রাসা টিচার্স এসোসিয়েশন
- by janatar kalam
- 2022-03-16
- 0 Comments
- Less than a minute
- 3 years ago
Leave feedback about this