জনতার কলম ত্রিপুরা প্রতিনিধি :- রেশনে প্লাস্টিকের চাল। ক্ষুব্দ গোটা গ্রামের মানুষ। ঘটনা জম্পুই জলা ব্লকের অন্তর্গত অমরেন্দ্র নগর ভিলেজ কমিটি’র 3 নং ওয়ার্ড নয়ন সর্দার পাড়া য়। শুক্রবার সকাল বেলায় গ্রামের মানুষ একত্রিত হয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়েন রেশন ডিলার এবং রেশন শপের বিরুদ্ধে। প্রথমে গ্রামের মানুষ বুঝতে পারেনি এগুলি যে প্লাস্টিকের চাল। রান্নাঘর সাধারণত মহিলারা সামলায়। কেউ একদিন হয়েছে কেউ দুইদিন হয়েছে কেউ তিনদিন হয়েছে রেশন থেকে চাল তুলেছেন। মহিলারা যখন চাল ডেগে বসিয়ে রান্না করছিলেন তখন তারা দেখতে পান চাল সিদ্ধ হয়ে ভাত হতে প্রায় 10 থেকে 12 ঘন্টা লেগে যায়। ভাত হতে এত সময় দরকার হয়না। সাধারণত 30 থেকে 35 মিনিটের মধ্যে ভাত হয়ে যায়। কিন্তু এই চাল ডেগে দিলে 10 থেকে 12 ঘণ্টা পরও ভাত হয় না। প্রথমে মহিলারা বুঝতে পারিনি। তারপর মহিলারা একে অপরের সঙ্গে আলোচনা করতে থাকে। দেখা যায় প্রতিটি ঘরে একই অবস্থা। এই প্লাস্টিকের চালের ভাত খেয়ে ঘরের প্রতিটি মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়েছে। শিশু থেকে বৃদ্ধ সবার পেটে ব্যথা। প্রথমে গ্রামের সহজ সরল মানুষ বুঝতে পারেনি বিষয়টি। এরপর তারা দেখতে পায় চালের মধ্যে অনেক বড় বড় চাল রয়েছে। যেগুলি জলে দিলে ভাসতে থাকে। চাল সাধারণত ভাসেনা। তখন সন্দেহ হয় তাদের। এবং এই ভাগগুলি খাবার সময় দাঁতে লেগে থাকে। রাবারের মতো। দাঁত থেকে টেনে আনা যায় না। পেটে গেলে পর সারাক্ষণ পেট ব্যথা করছে। পেট ফুলে ফেঁপে উঠছে। এলাকাবাসী জানিয়েছে সরকার ফ্রি চাল দিচ্ছে। ফ্রি চাল বলেই কি এমন অবস্থা নাকি। নাকি রেশন ডিলার কোন কেরামতি করছেন।মহারাম বাজারে রয়েছে নয়ন সর্দার পাড়া এলাকার রেশন। রেশন ডিলার হলেন জগদিশ দেববর্মা।শুক্রবার সকাল বেলা গ্রামের মানুষ একত্রিত হয়ে রেশন ডিলারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন এবং সরকারকে হস্তক্ষেপ করার জন্য আবেদন জানান। না হলে গ্রামের প্রতিটি ঘরের মানুষ অসুস্থ হয়ে মারা যাবে এই চাল খেয়ে। এমনটাই জানিয়েছেন গ্রামের মানুষ সংবাদ প্রতিনিধি কে। একেবারেই প্রত্যন্ত গ্রাম বলেই কি এমন অবস্থা প্রশ্ন গ্রামের মানুষদের। গ্রামের চেয়ারম্যান জালু মিয়া সহ আমির হোসেন রোশনমিয়া আয়েশা খাতুন তনুজা খাতুন সহ গোটা নয়ন সর্দার পাড়ার মানুষ একত্রিত হয়ে জানিয়েছেন আজ তারা রেশন ডিলারের সঙ্গে গিয়ে কথা বলবেন।