জনতার কলম, এিপুরা, বিশালগড় প্রতিনিধি :- বিশালগড় মৎস্য বাজারে নবনির্মিত দ্বিতল ভবনের শ্যড ঘরের ভিট বন্টন নিয়ে শাসকদলের দুই গোষ্ঠীর মারপিট ও ব্যাপক সংঘর্ষে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে বাজারে। মুহূর্তের মধ্যেই ভয় ও আতঙ্কে মৎস্য বাজার ছেড়ে দৌড়ে পালাতে থাকে ক্রেতা-বিক্রেতা। ঘটনাটি ঘটে মঙ্গলবার সাতসকালে। ঘটনার বিবরণে প্রকাশ, 2016 সালে তৎকালীন বামফ্রন্ট সরকারের আমলে দৃষ্টিনন্দিত বিশালগড় বাজারের দ্বিতল ভবনের কাজ শুরু হয়।লক্ষ লক্ষ টাকা ব্যয়ে নির্মিত এ ভবনটি নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হলে গতকাল এর শুভ উদ্বোধন করেন রাজ্যের মাননীয় মন্ত্রী এনসি দেববর্মা,এবং ত্রিপুরা রাজ্যের উপমুখ্যমন্ত্রী জিষ্ণু দেববর্মা মহোদয় । উদ্বোধন শেষে ভিট বন্টন নিয়ে শুরু হয় লড়াই। অভিযোগ যারা প্রকৃত মৎস্য ব্যবসায়ী এবং ভিট পাওয়ার অগ্রাধিকার তারা বঞ্চিত। বিরোধীদের কথা না হয় ছেড়ে দেওয়া হল। কিন্তু এই ভিট বন্টন নিয়ে শাসকদলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে দেখা দেয় লড়াই। দ্বিতল ভবনের মধ্যে নিচ তলায় মোট 32 টি ভিট রয়েছে। এদের মধ্যে যারা কোনদিনও আড়বদার ছিলেন না এরকম ব্যক্তি ও আরদের গদি হিসাবে পছন্দসই হাতিয়ে নেয়। অভিযোগ বাজার সেক্রেটারি শ্যামল ও রিঙ্কু, এরা কোনদিনও আড়বদার ছিলেন না। টাকার বিনিময়ে প্রকৃত দের বঞ্চিত করে ভিট বণ্টনের অভিযোগ এনে মঙ্গলবার সকাল বেলা শাসক দলেরই সমর্থক মৎস্য ব্যবসায়ী কালু দাস সাধন দাস ও হরি বল দাসরা মৎস্যবাজার সেক্রেটারি শ্যামল দাসের ওপর আক্রমণ শুরু করেন। যদিও কালো দাসের পিতা জহরলাল দাসের নামে একটি ভিট বন্টন করা হয়। কালো দাসদের অভিযোগ দীর্ঘদিন ধরেই বাবার মতই এ বাজারে ব্যবসা করছেন কিন্তু যারা ব্যবসা করেনি অর্থের বিনিময়ে তাদেরকে বিলি করে দিয়েছে শ্যামল দাস এবং অপু দাস। কালো দাসদের মতো আরো অনেক প্রকৃত ব্যবসায়ী কে বঞ্চিত করা হয়েছে। শ্যামল দাস কে মারধর শুরু করলে শ্যামল দাসের গোষ্ঠীর লোক ও পাল্টা মারমুখী হয় কালো, সাধন দাস হরি বল দাসদের বিরুদ্ধে। মাছ কাটার দা থেকে শুরু করে লাঠিসোটা মুহূর্তের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে ক্রেতা বিক্রেতাদের মধ্যে। যে যার মতো করে প্রাণ ভয়ে দৌড়ে পালাতে শুরু করে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন বিশালগড় মন্ডল সভাপতি সহ দুই গোষ্ঠীর তাবড় তাবড় নেতারা। শ্যামল দাসের গুষ্টির লোকেরা পাল্টা আক্রমণ শুরু করলে সাধন, কাল হরি বল, দাসদের গ্রুপের পালিয়ে যায় কিন্তু সাধন দাস তাদের হাতে আটক হয়ে যায়। এই খবর পেয়ে বিশালগড় থানা থেকে বিশালগড় থানা থেকে প্রচুর পরিমাণ পুলিশ ও টিএসআর বাহিনী ঘটনাস্থলে ছুটে আসে ও সমগ্র মৎস্য বাজার ঘিরে ফেলে। তাছাড়া বিশালগড় মৎস্য বাজারের আড়তদার অপু দাস নিজে ব্যক্তিগত আরতগল নিয়েছেন পাশাপাশি নতুন ভবনের একটি বিট হাতিয়ে নেন। জানা যায় অপু দাস কখনো মাছ বাজারের মধ্যে পুত্র মাছ নিয়ে কখনো বসেন না। তাহলে কেন অপু দাস একবার আরতদার ঘর এবং অন্যদিকে কচুর বিক্রি করার জন্য নতুন শেট্টির নিচ্ছেন।তাছাড়া মৎস্যবাজার সেক্রেটারি শ্যামল দাস মাংস বিক্রি করা বিট বন্টন নিয়ে উঠেছে বিভিন্ন অভিযোগ। উনি উনার বাড়ির পাশে নির্মল সাহা পিতা পুলিন সাহা বাড়ি রাউৎখলা বাজারে বাজারে বিভিন্ন রকম পাঠা মুরগি বাজার থেকে কিনে এনে বিভিন্ন বাজারে বিক্রি করেন উনাকেও একটি বিট সেখান থেকে পাইয়ে দেন। আর যিনি 25 বছর যাবৎ সরকারের সমর্থন থেকেও বিট পাইনি অথচ মাংস বাজারে গেলে প্রথমেই তার নাম উঠে আসে রাজেশ সাহা যিনি রামু সাহার সঙ্গে সঙ্গী হিসেবে ব্যবসা করে যাচ্ছেন। উনার কপালে একটি বিট জুটে নাই। তাছাড়া নতুন ভবনের প্রবেশদ্বার দুই দিকে দুটি সিঁড়ির নিচে ঘর রয়েছে যেগুলি অর্থের বিনিময়ে এই কমিটির লোকেরা দুজন চা বিক্রেতার নিকট দিয়ে দেন এমনটাই অভিযোগ করেন বঞ্চিত ব্যবসায়ীরা। তাই আজ দুই পক্ষের সংঘর্ষের ফলে যখন সমস্যা সমাধানের জন্য দুই পক্ষকে নিয়ে মিটিং করার আহ্বান করা হয়েছিল উক্ত মিটিংয়ে সাধন গ্রুপের লোকেরা অনুপস্থিত থেকে যান। এবং বিভিন্ন আলাপ-আলোচনা এবং অভিযোগের মূলেই উৎশৃংখল হয় মৎস্য ব্যবসায়ী সেক্রেটারি শ্যামল দাস নিজের বাড়িঘরের বাজার মনে করে সমস্ত মৎস্য বাজার অনির্দিষ্ট কালের জন্য বন্ধ করে দেন।প্রসঙ্গত উল্লেখ দীর্ঘদিন ধরেই বিশালগড়ের রাজনৈতিক অঙ্গনে অঘোষিতভাবে শাসকদলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে বেশ ঠান্ডা লড়াই চলছে। ইতিপূর্বে রাজ্য যুব মোর্চার সভাপতি হিসাবে নবাদ বণিক নির্বাচিত হওয়ার পরে ঠান্ডা লড়াই একপ্রকার গরম জলের দিকে ধাবমান হচ্ছে।আজকের এই ঘটনায় বিশালগড় বাজারের নিত্যদিনের ক্রেতা-বিক্রেতা থেকে শুরু করে যারা প্রতিদিন ভোর বেলা বিভিন্ন গ্রামীন এলাকা থেকে মাছ সবজি নিয়ে বিশালগড় বাজারে যায় তারা আতঙ্কিত হয়ে একরাশ ক্ষোভ উগরে দেয় এই সমস্ত নেতাদের প্রতি। নিন্দুকেরা বলছেন বাম আমলে তৈরি দৃষ্টিনন্দিত সম্পত্তি নিয়ে সঠিক বন্টন পর্যন্ত করতে ব্যর্থ হয়ে এই রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ আগামীদিনের কিসের ইঙ্গিত বহন করে।তবে এই ঘটনার পর বিশালগড়ের মৎস্য বাজারের থমথমে পরিস্থিতি কবে কোন সময় কাটবে তা নিয়ে চিন্তিত মৎস্য ব্যবসায়ীরা।
রাজ্য
ভিট বন্টন নিয়ে দুই গোষ্ঠীর মারপিট অনির্দিষ্টকালের জন্য বিশালগড় মাছ-মাংস শুঁটকি বাজার বন্ধ করে দিলেন মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির
- by janatar kalam
- 2020-10-21
- 0 Comments
- Less than a minute
- 4 years ago
Leave feedback about this