জনতার কলম ত্রিপুরা আগরতলা প্রতিনিধি :- রাজ্যে গত কয়েকদিন ধরে প্রাকৃতিক দুর্যোগের মধ্যেও রাজ্যের গণবণ্টন ব্যবস্থা নিয়ে উৎকণ্ঠার কোনও কারণ নেই। বর্তমানে রাজ্যে চাল, ডাল সহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য এবং জ্বালানীর পর্যাপ্ত মজুত রয়েছে। আজ সচিবালয়ের প্রেস কনফারেন্স হলে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে খাদ্যমন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী এ সংবাদ জানান। তিনি জানান, রাজ্যের বর্তমান পরিস্থিতিতে গণবণ্টন ব্যবস্থা নিয়ে জনগণের মধ্যে যাতে কোনও ধরণের উৎকণ্ঠা তৈরি না হয় সে বিষয়ে খাদ্য দপ্তর সচেষ্ট রয়েছে। খোলা বাজারে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মজুত স্বাভাবিক রাখার লক্ষ্যে আজ বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠনের সঙ্গে সভা করা হয়েছে। তাদের প্রতি আহ্বান রাখা হয়েছে যাতে কোনও অসাধু ব্যবসায়ী নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের কৃত্রিম সংকট তৈরি করে দ্রব্যমূল্যের বৃদ্ধি না করে সে বিষয়ে নজর রাখতে। সভায় ব্যবসায়ী সংগঠনের প্রতিনিধিগণ রাজ্যের বর্তমান পরিস্থিতির কথা উপলব্ধি করে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি না করার বিষয়ে প্রয়াস চালিয়ে যাবেন বলে খাদ্য দপ্তরকে আশ্বস্ত করেন। খাদ্যমন্ত্রী জানান, গণবণ্টন ব্যবস্থায় রেশনের মাধ্যমে যাতে কোনও দ্রব্যের ঘাটতি না থাকে সে বিষয়ে খাদ্য দপ্তরের আধিকারিক ও রেশন ডিলারদের তৎপর থাকতে বলা হয়েছে।
সাংবাদিক সম্মেলনে খাদ্যমন্ত্রী জানান, রাজ্যে বর্তমানে গণবণ্টন ব্যবস্থায় ও খোলা বাজারে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের পর্যাপ্ত মজুত রয়েছে। গণবণ্টন ব্যবস্থায় রাজ্যে বর্তমানে চাল ৭৬ দিনের, আটা ৯৯ দিনের, লবণ ৩১ দিনের, মশুর ডাল ১৬ দিনের এবং চিনি ৫ দিনের মজুত রয়েছে। এছাড়াও খোলা বাজারে চাল ২৭ দিনের, ডাল ১১ দিনের, ভোজ্য তেল ৮৩ দিনের, আলু ৭ দিনের, পেঁয়াজ ৫ দিনের, আটা ৪২ দিনের, চিনি ২৫ দিনের এবং লবণ ৩৮ দিনের মজুত রয়েছে। তিনি জানান, বর্তমানে রাজ্যে পেট্রোল ও ডিজেলের মজুত নিয়েও উৎকণ্ঠার কোনো কারণ নেই। রাজ্যে বর্তমানে পেট্রোল ও ডিজেল ৯ দিনের মজুত রয়েছে। রাজ্যের বর্তমান পরিস্থিতিতে কোনও অসাধু ব্যবসায়ী যদি নিত্যপণ্য দ্রব্যের কৃত্রিম সংকট তৈরি করে অযথা মূল্যবৃদ্ধি করার চেষ্ট করে তাহলে তা দপ্তরের গোচরে আনার জন্য খাদ্যমন্ত্রী আহ্বান জানান। এক্ষেত্রে অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান খাদ্যমন্ত্রী।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে খাদ্যমন্ত্রী জানান, রাজ্যে বিগত কয়েকদিনে ভারী বর্ষনের ফলে বিভিন্ন বন্যা কবলিত এলাকায় খাদ্য দপ্তরের মাধ্যমে এখন পর্যন্ত ৩,১৪০টি খাদ্য প্যাকেট বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়াও ৮ হাজার খাদ্য প্যাকেট বিতরণের জন্য তৈরি করে রাখা হয়েছে এবং আরও ৭ হাজার খাদ্য প্যাকেট তৈরীর সামগ্রী মজুত করে রাখা হয়েছে। খাদ্য দপ্তর প্রায় ২০ হাজার খাদ্য প্যাকেট বিতরণ করার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে বলে খাদ্যমন্ত্রী সাংবাদিক সম্মেলনে জানান। সাংবাদিক সম্মেলনে খাদ্য, জনসংভরণ ও ক্রেতা স্বার্থ বিষয়ক দপ্তরের অধিকর্তা নির্মল অধিকারী উপস্থিত ছিলেন।
Leave feedback about this