জনতার কলম ত্রিপুরা আগরতলা প্রতিনিধি :- মৎস্য দপ্তরের পর এবার প্রাণিসম্পদ দপ্তরের আধিকারিকদের নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ পর্যালোচনা বৈঠক করলেন দপ্তরের মন্ত্রী সুধাংশু দাস। দপ্তরের দায়িত্ব হাতে পাবার পর এনে দ্বিতীয়বার পর্যালোচনা বৈঠকে মিলিত হলেন তিনি। আগরতলায় প্রাণিসম্পদ বিকাশ দপ্তরের কার্যালয়ের কনফারেন্স হলে আয়োজিত রাজ্যস্থরীয় এই বৈঠকে জেলা ও মহকুমা স্তরের আধিকারিক ও অংশগ্রহণ করে। এই পর্যালোচনা বৈঠকের উদ্দেশ্য একটাই বিগত দিনের সভার গৃহীত সিদ্ধান্ত গুলি কাজের অগ্রগতির পর্যালোচনা এবং আগামী দিনের পরিকল্পনার রূপরেখা তৈরি করা। রাজ্যে ডিম, দুধ ও মাংসের চাহিদা রয়েছে প্রচুর। কিন্তু চাহিদার তুলনায় উৎপাদন কেমন না হওয়ার ফলে ঘাটতি রয়েছে প্রচুর। এই ঘাটতি কিভাবে বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে দূর করা যায় তা ঠিক করার জন্যই এই পর্যালোচনা বৈঠক। যদিও দুধ, ডিম ও মাংস উৎপাদনে রাজ্যকে স্বনির্ভর করে তুলতে প্রাণী সম্পদ বিকাশ দপ্তর অগ্রাধিকার দিয়ে কাজ করে চলেছে। সুধাংশু দাস দপ্তরের দায়িত্ব নেওয়ার পর শুক্রবার দ্বিতীয়বারের মতো পর্যালোচনা বৈঠক করেন তিনি। মাংস ডিম ও দুধ উৎপাদনে রাজ্যকে কিভাবে আত্মনির্ভর করা যায় সে ব্যাপারে কাজ করে চলেছেন প্রাণিসম্পদ বিকাশ দপ্তর। পর্যালোচনা বৈঠকে সাংবাদিকদের মন্ত্রী বলেন, প্রাণিসম্পদ বিকাশ দপ্তরের কাজ হচ্ছে পশু ধনকে সুরক্ষা দেওয়ার পাশাপাশি দুধ, ডিম ও মৎস্য উৎপাদনে রাজ্যকে স্বয়ংসম্পূর্ণ করা। তিন মাস আগে বৈঠক করে টার্গেট নির্ধারিত করে দেওয়া হয়েছিল। সেই টার্গেট কতটুকু সম্পূর্ণ হয়েছে, তা নিয়ে এদিন দিনভর পর্যালোচনা হয়। পাশাপাশি আগামী তিন মাসের জন্য টার্গেট নেয়া হয়। মন্ত্রী বলেন দুধ ডিম ও মাংস উৎপাদনে চাহিদা ও যোগানের ভেতর বিস্তর ফারাক রয়েছে। রাজ্যের ৯৫ শতাংশ লোক আমিষ ভুজি। ফলে চাহিদা এবং যোগানে ফারাক থেকে যায়। তবে মাংস উৎপাদনে রাজ্য এখন স্বয়ং সম্পূর্ণ বলে জানান মন্ত্রী। তাই দুধ ও ডিম এর চাহিদা পূরণ করার জন্য কেন্দ্রের বিভিন্ন প্রকল্পগুলিকে কাজে লাগিয়ে এখন কাজ করে চলেছে দপ্তর।
Leave feedback about this