জনতার কলম ত্রিপুরা আগরতলা প্রতিনিধি :- রাজ্যের খাদ্য, জনসংভরণ ও ক্রেতাস্বার্থ বিষয়ক দপ্তরের মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরির নেতৃত্বে খাদ্য দপ্তরের সচিব ও অধিকর্তাসহ এক প্রতিনিধি দল গত ৪ মার্চ নয়াদিল্লীতে কেন্দ্রীয় খাদ্য ও গনবন্টন ও উপভোক্তা বিষয়ক দপ্তরের মন্ত্রী প্রহল্লাদ যোশীজির সঙ্গে সাক্ষাত করেন এবং রাজ্যে গনবন্টন ও ক্রেতাস্বার্থ বিষয়ক কাজকর্ম সম্পর্কে মাননীয় কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে অবহিত করেন। এই বৈঠকে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর কাছে রাজ্যে গনবন্টন ব্যাবস্থাকে আরো সুদৃঢ় ও কার্যকরী করার লক্ষ্যে বেশ কিছু দাবি উপস্থাপিত করা হয়।
বিষয় ভিত্তিক উল্লেখযোগ্য সিদ্ধান্তগুলো হল:
১. জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা আইন ও প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ অন্ন যোজনার আওতায় গনবন্টনের খাদ্যশস্য পরিবহন, রেশন শপ ডিলারদের কমিশন বাবদ কেন্দ্রীয় বরাদ্দের প্রায় ৫৩ কোটি ১৭লক্ষ টাকা ২০২১-২২ অর্থবছর থেকে বিভিন্ন কারনে আটকে ছিল, যা অতি শীঘ্রই রিলিজ করা হবে বলে ভারত সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
২. রাজ্য সরকারের তরফে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে আগরতলায় একটি এফ সিআই এর রিজিওনাল অফিস স্থাপন করার জন্য প্রস্তাব রাখা হয়েছিল। ভারত সরকার এই ব্যাপারে সম্মতি জানিয়ে খুব শীঘ্রই তা বাস্তবায়নের জন্য এফসিআই কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়া শুরু করা হবে বলে জানানো হয়েছে।
৩. কেন্দ্রীয় সরকার গনবন্টনের আওতাধীন সকল উপভোক্তাদের আধার-e-KYC, ৩১শে মার্চ, ২০২৫ এর মধ্যে সম্পন্ন করার নির্দেশিকা জারি করেছে। রাজ্যে বর্তমানে রেশন শপগুলিতে উপভোক্তাদের e-KYC প্রক্রিয়া পুরোদমে চলছে। ইতিমধ্যে রাজ্যের প্রায় ৬৯% উপভোক্তার ভেরিকেশন সম্পন্ন হয়েছে এবং ভারত সরকারের তরফে অনুরোধ করা হয়েছে যাতে অবশিষ্ট উপভোক্তাদের আধার-e-KYC নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে সম্পন্ন করা হয়। বৈঠকে উপস্থিত রাজ্যের প্রতিনিধি দল এই বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
৪. রাজ্যে গনবন্টন ব্যাবস্থার সঙ্গে যুক্ত রেশন ডিলাররা খাদ্যশস্য বিতরনের জন্য কমিশন বাবদ বর্তমানে কুইন্টাল প্রতি ১৪৩ টাকা পেয়ে থাকে, যা কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকার কর্তৃক ৭৫:২৫ অনুপাতে বহন করা হয়। কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে কমিশনের পরিমাণ বাড়িয়ে কুইন্টাল প্রতি ১৮০ টাকা করার জন্য অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। তবে এক্ষেত্রে রেশন শপে ইপস মেশিনের সঙ্গে ইলেকট্রনিক ওজন মাপক যন্ত্রের ইন্ট্রিগ্রেসন বাস্তবায়ন করার পর কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে নতুন হারে ডিলার কমিশনের প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ করা হবে। রাজ্য সরকার এই প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ ইতিমধ্যেই শুরু করেছে, যা অতি শীঘ্রই সম্পন্ন হবে বলে আশা করা যায়।
Leave feedback about this