জনতার কলম আগরতলা প্রতিনিধি :-প্রাকৃতিক গ্যাসের মজুদ ধীরে ধীরে ফুরিয়ে আসার পরিপ্রেক্ষিতে ত্রিপুরা রাজ্য ভবিষ্যতের বিদ্যুৎ চাহিদা পূরণে সোলার শক্তির ওপর জোর দিচ্ছে। একই সঙ্গে রাজ্যের বিদ্যুৎ দপ্তর ডুম্বুর বিদ্যুৎ কেন্দ্র পুনরুজ্জীবিত করার কাজ চালাচ্ছে, যার ফলে আগামীতে সেখানে ১১ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে বলে জানানো হয়েছে।
এই বিষয়গুলি উঠে আসে প্রধানমন্ত্রী সূর্য ঘর মুক্ত বিদ্যুৎ যোজনা উপলক্ষে কৈলাশহরে আয়োজিত সচেতনতা শিবিরে বক্তব্য রাখার সময়। বিদ্যুৎ মন্ত্রী রতন লাল নাথ বলেন, “রাজনৈতিক মত পার্থক্য থাকলেও উন্নয়নের সুফল সবার জন্য হওয়া উচিত। আমাদের লক্ষ্য, প্রতিটি পরিবারে সোলার প্যানেল বসিয়ে নবায়নযোগ্য শক্তির মাধ্যমে বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করা।”
মন্ত্রী আরও জানান, “প্রধানমন্ত্রী সূর্য ঘর প্রকল্পের সূচনা ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪-এ হয়। বিদ্যুৎ মূলত গ্যাস, বায়ু, জল ও সূর্য থেকে উৎপাদিত হয়। আমাদের রাজ্যে মূলত গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন হলেও, ডুম্বুর বিদ্যুৎ কেন্দ্র পূর্বে ৩ মেগাওয়াট উৎপাদন করতো। গতবছরের বন্যায় এটি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় বর্তমানে পুনরুদ্ধারের কাজ চলছে। আমরা লক্ষ্য রেখেছি, ১১ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতা তৈরি করা। পাশাপাশি, গ্যাস ভাণ্ডার সীমিত হওয়ায় সৌরশক্তির ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।”
মন্ত্রী আরও তুলে ধরেন, “রুখিয়া, পালাটানা, রামচন্দ্রনগর ও মনারচকে বিদ্যুৎ উৎপাদনে ঘাটতি দেখা দিয়েছে। এজন্য প্রধানমন্ত্রী সূর্য ঘর যোজনার আওতায় বাড়ির ছাদ, সমতল জমি প্রায় সর্বত্র সোলার প্লেট বসানো সম্ভব করে তোলা হচ্ছে। এতে বিদ্যুৎ বিল কমবে, আয়ও করা যাবে।”
তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, “এপ্রিল মাসে কৈলাশহরে মাত্র ৪০% গ্রাহক বিদ্যুৎ বিল জমা দিয়েছিলেন। বর্তমানে মাত্র ৪৬.১% গ্রাহক নিয়মিত বিল দিচ্ছেন। আমাদের লক্ষ্য, সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে এই সংখ্যা বাড়ানো।”
বিদ্যুৎ মন্ত্রী আরও বলেন, “ত্রিপুরার প্রায় ১০ লক্ষ গ্রাহকের মধ্যে আমরা ৫০ হাজার পরিবারে সোলার প্যানেল বসানোর পরিকল্পনা নিয়েছি। এর মাধ্যমে আমরা ১৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছি।”
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক বিরজিত সিনহা, গৌরনগর পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারম্যান লক্ষ্মী নমঃ, ভাইস-চেয়ারম্যান বদরুজ্জামান, পৌর পরিষদের চেয়ারপার্সন চোপলা দেবরয়, সহ-চেয়ারম্যান নিতীশ দে, বিদ্যুৎ নিগমের ম্যানেজিং ডিরেক্টর বিশ্বজিৎ বসুসহ অন্যান্য কর্মকর্তা ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা।
Leave feedback about this