জনতার কলম ত্রিপুরা আগরতলা:-বৃহস্পতিবার আগরতলার দূর্গা চৌমুহনীর এক ফ্ল্যাটে রহস্য জনক ভাবে খুন এক গৃহবধূর মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এই ঘটনা ঘিরে রীতিমতো চাঞ্চল্য দেখা দেয়। অভিযোগ উঠে স্বামী সহ অন্য আরেকজনের বিরুদ্ধে। ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ দুই দিনের মাথায় একই ফ্ল্যাটে থাকা এক যুবককে গ্রেপ্তার করে। ধৃত যুবকের নাম সুশান্ত রায়।
আগরতলা পশ্চিম মহিলা থানার পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করলেও এই ব্যপারে কিছুই জানায়নি। তবে ধারনা করা হচ্ছে এবং বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে খুন হওয়া গৃহবধূর সঙ্গে ওই যুবকের প্রণয় ঘটিত সম্পর্ক ছিল। এছাড়া প্রথম দিনেই গৃহবধূর স্বামী নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করে আসছেন।
অন্যদিকে গৃহবধূর বাবার বাড়ির পক্ষ থেকেও কোন ধরনের পরিষ্কার বক্তব্য ছিল না। সঙ্গত কারনেই এই ঘটনার পেছনে যে রহস্য লুকিয়ে আছে তা পরিষ্কার। ওই গৃহবধূ কলকাতায় বি.এড পরীক্ষা শেষে আগরতলায় ফেরার পরই এই ঘটনা। পুলিশ ভারতীয় দণ্ড বিধির ৩২৯(৪)/১০৭(১) ধারায় মামলা নিয়ে ওই যুবককে গ্রেপ্তার করেছে বলে খবর।
আর ওই যুবক গ্রেপ্তার হতেই বিভিন্ন মহলে গুঞ্জন শুরু হয়। গৃহবধুর স্বামীকে গ্রেপ্তার না করে অন্য এক যুবককে গ্রেপ্তার করায় প্রশ্ন উঠেছে, তাহলে কী গৃহবধূর সঙ্গে একই ফ্ল্যাটে থাকা যুবক সুশান্ত রায়ের কোন ধরনের সম্পর্ক ছিল।
উল্লেখ্য, গৃহবধূর মাথার পিছনে জখম ছিল ও তাতে রক্তক্ষরণ হয়। জিবি হাসপাতালে যখন আনা হয় তখন তার মা বাবা কিংবা স্বামী কেউই ছিলেন না। পরবর্তী সময় খবর পেয়ে তারা আসেন। কিভাবে গৃহবধূ অনামিকা আঘাত পায় কিংবা মৃত্যু হয়েছে তা কেউই বলতে পারছেন না। জিবি তে আনার পর কর্তব্যরত ডাক্তার মৃত বলে ঘোষণা করেন।
Leave feedback about this