জনতার কলম ওয়েবডেস্ক :- আমেদাবাদে বিমান দুর্ঘটনার তদন্ত রিপোর্ট সামনে আসার পর ‘লকিং সিস্টেম’ নিয়ে মুখ খুলল আমেরিকার সংস্থা ফেডেরাল আভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন। এ বিষয়ে বিবৃতি দিয়েছে বিমান নির্মাতা সংস্থা বোয়িং-ও। উভয়ের দাবি বিমানে জ্বালানির সুইচে থাকা ‘লকিং সিস্টেম’ অসুরক্ষিত নয়। বিবৃতিতে তাদের তরফে বলা হয়েছে, ‘বিভিন্ন বোয়িং বিমানের জ্বালানি নিয়ন্ত্রক সুইচ ও সুইচের লকিং ব্যবস্থা একই রকম হলেও আমরা মনে করি না সেগুলির ব্যবহারে কোনও বিপদ হতে পারে। এই ধরনের সুইচকে আমরা ব্যবহারের অযোগ্য বলে মনে করি না।’
অন্যদিকে, এয়ার ইন্ডিয়ার সিইও ক্যাম্বেল উইলসন সোমবার দাবি করেছেন, দুর্ঘটনার দিন উড়ানের আগে বিমানে কোনও ত্রুটি ধরা পড়েনি। অর্থাৎ এয়ার ইন্ডিয়ার সিইও যে দাবি করেছেন তাতে দুই পাইলটের গাফিলতির দিকেই আঙুল উঠছে। স্বাভাবিক ভাবেই বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। যদিও পাইলটদের সংগঠন প্রাথমিক তদন্ত রিপোর্ট মানতে নারাজ। যে রিপোর্টে বলা হয়েছে বিমানের জ্বালানি সুইচ বন্ধ করার কারণেই সেদিন দুর্ঘটনা হয়েছিল।
সোমবার উইলসন বলেন, “বিমানটির রক্ষণাবেক্ষণে কোনও সমস্যা ছিল না। নিয়মিত ইঞ্জিনের পরীক্ষা করা হতো। টেক অফের আগে বিমানে কোনও সমস্যা ছিল না। চলতি বছরের এপ্রিলে ড্রিমলাইনের বাঁ দিকের ইঞ্জিন পরীক্ষা করে দেখা হয়। আগামী ডিসেম্বরে আবার পরীক্ষা করার কথা ছিল।” উল্লেখ্য গত ১২ জুন দুর্ঘটনার পর নানা মহল থেকে বলা হয়, যান্ত্রিক ত্রুটির কারণেই বিমান দুর্ঘটনা হয়েছিল। কিন্তু সেই দাবিকে এবার উড়িয়ে দিলেন এয়ার ইন্ডিয়ার সিইও।
যদিও তদন্ত রিপোর্ট সামনে আসার পর উত্তরের থেকে বেশি প্রশ্নের জন্ম দিচ্ছে বলে নানা মহল থেকে অভিযোগ উঠছে। বিমান চালকদের বড়ো অংশের দাবি, দুর্ঘটনাগ্রস্ত বিমানের বিভিন্ন যন্ত্রাংশ আরও খুঁটিয়ে পরীক্ষা করার দরকার ছিল। এছাড়া ককপিট ভয়েস রেকর্ডারে ধরা পড়া অন্যান্য শব্দ ভালো করে বিশ্লেষণ করা উচিত ছিল। এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় বিমান পরিবহণ মন্ত্রী রামমোহন নাইডু জানিয়েছেন এই প্রাথমিক রিপোর্টের ভিত্তিতে কোনও সিদ্ধান্তে পৌঁছনো উচিত হবে না। সবমিলিয়ে প্রাথমিক তদন্ত রিপোর্ট আসার পর তা নিয়ে ধোঁয়াশা কাটছে না।
Leave feedback about this