জনতার কলম ওয়েবডেস্ক :- বিহারে আবার ক্ষমতায় ফিরলে এনডিএ-র মুখ্যমন্ত্রী যে জেডিইউ-র নীতীশ কুমার হচ্ছেন, তা আগেই ঘোষণা করেছে বিজেপি। এ বার মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী নিয়ে চর্চায় ইতি টানল বিরোধী মঞ্চ ‘ইন্ডিয়া’। রাজ্যের বিরোধী দল আরজেডি-র নেতা তেজস্বী যাদব বলেছেন, “জোটের মুখ্যমন্ত্রী নাম স্থির হয়ে আছে। যথাসময়ে ইন্ডিয়ার মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হবে।”
শারীরিক কারণে কিছুটা অশক্ত হয়ে পড়লেও, নীতীশ কুমারই যে এনডিএ-র মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী, তা আগেই ঘোষণা করে দিয়েছেন বিজেপি নেতৃত্ব। উল্টো দিকে ‘ইন্ডিয়া’র মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী কে হবেন, তা নিয়ে দড়ি টানাটানি অব্যাহত আরজেডি-কংগ্রেসের মধ্যে। আজ তেজস্বী অবশ্য দাবি করেছেন, “সকলে ভাবছেন ইন্ডিয়ার মধ্যে টানাপড়েন রয়েছে। বিপক্ষকে এমন ভাবতে দিন। আমাদের মুখ্যমন্ত্রী কে হবেন, তা অনেক আগেই ঠিক হয়ে রয়েছে। যথাসময়ে সেই নাম সামনে আসবে।” সূত্রের মতে, বিহারে কংগ্রেস এবং আরজেডি-র মধ্যে বড় শরিক হল লালুপ্রসাদের দল। ফলে গোড়া থেকেই কংগ্রেসকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী আরজেডি থেকেই হবে। যে হেতু লালুপ্রসাদ নির্বাচনে লড়ছেন না, তাই ছেলে তেজস্বীই জোটের ‘মুখ’ হতে চলেছেন বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা।
সব ঠিক থাকলে চলতি বছরের শেষে বিহারে বিধানসভা নির্বাচন। তাই বেশি দেরি না করে আসন বণ্টনের বিষয়টি সেরে ফেলার পক্ষপাতী এনডিএ। সূত্রের মতে, প্রাথমিক ভাবে যে সমীকরণ উঠে এসেছে, তাতে ২৪৩ আসনের বিহার বিধানসভায় ছোট শরিকদের প্রতি লোকসভা আসন পিছু ছ’টি করে বিধানসভা আসন দেওয়ার কথা ভাবছেন বিজেপি নেতৃত্ব। গত লোকসভা নির্বাচনে পাঁচটি আসনে জিতেছিলেন চিরাগ পাসোয়ানের এলজেপি। তাদের জন্য ৩০টি আসন বরাদ্দ করা হলেও, চিরাগ ইতিমধ্যেই এনডিএ নেতৃত্বকে জানিয়েছেন, তাঁরা বিহারে অন্তত ৪০টি আসনে লড়তে চান। রাজনীতিকদের মতে, বিহারে ৪০টি আসনে লড়ে যত বেশি সংখ্যক আসনে জেতার লক্ষ্য নিয়ে এগোচ্ছেন চিরাগ। যাতে ত্রিশঙ্কু বিধানসভা হলে জেতা আসনের শক্তিতে দর কষাকষির জায়গায় থাকতে পারেন তিনি। এলজেপি সূত্রের মতে, রাজ্য রাজনীতিতে দাগ কাটতে মরিয়া চিরাগের এ যাত্রায় লক্ষ্য হল উপমুখ্যমন্ত্রিত্ব।
চিরাগ শেষ পর্যন্ত ৩০টি আসনে রাজি হলে, অন্য দলগুলির মধ্যে জিতনরাম মাঁঝির দল হিন্দুস্তান আওয়াম মোর্চা ও উপেন্দ্র কুশওয়াহার দল রাষ্ট্রীয় লোক মঞ্চকে ছ’টি করে মোট বারোটি আসন দেওয়ার পক্ষপাতী এনডিএ নেতৃত্ব। সে ক্ষেত্রে যে ২০১টি আসনে থাকে, তার মধ্যে ১০১টি জেডিইউ ও ১০০টি আসনে তাঁরা লড়বে বলে স্থির করেছে বিজেপি। সমস্যা হল, জিতন ২০টি আসনের দাবি করেন। অন্য দিকে, উপেন্দ্র অন্তত ১০টি আসন চান।
বিপক্ষ শিবিরের আসন বণ্টন নিয়ে আজ তেজস্বীর কটাক্ষ, “নীতীশ কুমারের অসুস্থতার সুযোগ নিয়ে আসন বণ্টন করবেন দলের কার্যনির্বাহী সভাপতি সঞ্জয় ঝা। যিনি জেডিইউ-র নেতা হলেও আসলে বিজেপির লোক। মূলত যাঁর হাত দিয়ে জেডিইউ-তে নিজেদের পছন্দ মতো লোকেদের টিকিট নিশ্চিত করবে বিজেপি।” বিরোধীদের মতে, ধারাবাহিক ভাবে জেডিইউ-কে দুর্বল করার লক্ষ্যে এ হল বিজেপির দীর্ঘমেয়াদি ছক।
Leave feedback about this