2025-07-27
Ramnagar, Agartala,Tripura
খেলা

ম্যাচ বাঁচাতে ভরসা এখন রাহুল-শুভমন

জনতার কলম ওয়েবডেস্ক :- ক্রিকেট পন্ডিতরা বলেন চাপের মুখে ব্যাট করার সময় এটা মাথায় এনো না যে ক’টা স্লিপ আর গালি তোমায় ঘিরে রেখেছে। স্রেফ বোলার আর তার হাত দেখো।শনিবার দুটো সেশন এভাবেই কাটিয়ে গেলেন কেএল রাহল ও শুভমন গিল। দুটো উইকেট ০ রানে চলে যাওয়ার পর মাটি কামড়ে পড়ে থাকলেন ওরা। ইনিংস হার বাঁচাতে আরও ১৩৭ রান দরকার। তবে লড়াই এখন ম্যাচ রক্ষার। সিরিজও। ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে ড্র করলে সিরিজ সমতায় রেখে বাড়ি ফেরার সুযোগ থাকবে শুভমনদের। হারলে সব শেষ। চতুর্থ দিন রাহুল ৮৭ ও শুভমন ৭৮ রানে ব্যাট করছেন। ভারত ১৭৪/২। এটাই পার্টনারশিপ।

ডসনের বল স্কোয়ার টার্ন করছে। তবু দুজনে অবিচল থেকে গেলেন। কিন্তু মাথায় রাখতে হবে রবিবার আস্ত দিন পরে আছে। সুতরাং এই লড়াই জারি রাখতে হবে। হাওয়া অফিসের রিপোর্টে বৃষ্টির কথা বলা আছে। ভারতীয় ড্রেসিংরুম এখন আকাশেও চোখ রাখবে। না হলে শেষ দিন ৯০ ওভার কাটিয়ে দেওয়া শক্ত চ্যালেঞ্জ।

সিরিজে ভারত এত চাপ নিয়ে খেলেনি। তবে মাটি কামড়ে পড়ে থেকে রাহুল আর শুভমন দুটো সেশন কাটিয়ে দেন। কিন্তু মাথায় রাখতে হবে ৩১১ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করেছিল ভারত। বিরাট লিড থাকায় স্টোকস স্লিপ, গালি, শর্ট লেগ রাখার বিলাসিতা দেখাতে পারলেন। চায়ের আগে শুভমনের বিরুদ্ধে কয়েকবার ক্লোজ কল হয়েছে। কপাল ভাল তিনি রক্ষা পেয়েছেন।

লাঞ্চের আগে ১০ মিনিট ব্যাট করেছিল ভারত। আর তাতেই দুটো উইকেট চলে গেল। ওকসের দ্বিতীয় বল স্কোয়ার কাট মারতে গিয়ে মিস করেছিলেন যশস্বী জয়সোয়াল। সাবধান হননি। যার খেসারত দিলেন এক বল বাদেই। মিডল আর লেগ স্ট্যাম্পের উপর আসা বলে ব্যাট ছোয়ালেন। বল স্লিপে রুটের হাতে। পরে যাচ্ছিল। তবু ধরে ফেললেন। যশস্বী শূন্য করে ফিরে যান। পরের বলে সাই সুদর্শনও আউট। বল ছাড়তে গিয়েছিলেন। কিন্তু ব্যাটে লেগে চলে গেল ব্রুকের হাতে। ভারত ০/২।

ছোট্ট কেরিয়ারে দুটি শূন্য হয়ে গেল আইপিএল মহাতারকার। কিন্তু সুদর্শন এবং টিম ম্যানেজমেন্টের বোঝার সময় এসেছে যে, আইপিএল আর টেস্ট ক্রিকেট এক জিনিস নয়। ইংল্যান্ড এদিন ৬৬৯ রানে ইনিংস শেষ করেছে। কিন্তু ৫৬৩ রানে অষ্টম উইকেট পড়ে যাওয়ার পরও নবম উইকেটে স্টোকস (১৪১) রান যোগ করে যান। ভারতীয় আর কার্স (৪৭) মিলে ১৫ বোলিংয়ের কঙ্কালসার চেহারা এতে বেরিয়ে পড়েছিল।

স্টোকসের চতুর্দশ টেস্ট সেঞ্চুরি। রুটের পর তিনি এভাবে না খেললে ইংল্যান্ড ৬৬৩ তুলতে পারত না। বুমরা ৩৩ ওভার বল করে ১১২ রানে ২ উইকেট নিয়েছেন। জাদেজা ৩৭.১ ওভারে ১৪৩ রানে দিয়ে নেন ৪টি উইকেট। কিন্তু যে শার্দুল ঠাকুরকে ঘটা করে দলে আনা হল, তাঁকে ১১ ওভারের বেশি বল করাননি শুভমন। অবদান ৫৫ রানে ০ উইকেট। তাঁকে দলে রেখে ফাটকা খেলেছিল টিম ম্যানেজমেন্ট। ফল শূন্য। শার্দুল নীতিশ রেড্ডিও হতে পারেননি।

প্রাক্তনরা কুলদীপকে ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে দলে ঢোকাতে ব্যর্থ হয়েছেন। ফলে ইংল্যান্ডের ১৫৭.১ ওভারের ইনিংসে বোলিং বৈচিত্র্য ছিল না। ওয়াশিংটন খেললেও অধিনায়কের ভরসা ছিল না। না হলে ৬৮তম ওভারের বল করতে আসবেন কেন। ৩০০ উঠে যাওয়ার পর। এতে বুমরাকে ৩৩ ওভার বল করতে হল। সিরাজকে ৩০ ওভার। ওয়ার্কলোড ম্যানেজমেন্ট কি করছে? প্রশ্ন কম্বোজকে নিয়েও। আকাশ দীপের পরিবর্ত ১৮ ওভার বল করেন। দিয়েছেন ৮৯ রান। চোটের প্রশ্ন উড়ছে। না হলে কম্বোজ যদি ফিট হবেন, অধিনায়ক কম বল দেবেন কেন?

    Leave feedback about this

    • Quality
    • Price
    • Service