2025-03-08
Ramnagar, Agartala,Tripura
রাজনৈতিক রাজ্য

মুখ্যমন্ত্রীর সুযোগ্য নেতৃত্বে দ্রুত বিকাশের দিশায় এগিয়ে চলছে ত্রিপুরা রাজ্য

জনতার কলম ত্রিপুরা আগরতলা প্রতিনিধি :- প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মার্গদর্শনে এবং মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহার সুযোগ্য নেতৃত্বে দ্রুত বিকাশের দিশায় এগিয়ে চলছে ত্রিপুরা রাজ্য। ২০২৩ সাল থেকে মুখ্যমন্ত্রীর নিরলস প্রচেষ্টায় ত্রিপুরা অভূতপূর্ব উন্নয়নের সাক্ষী হয়েছে। ভারতীয় জনতা পার্টি নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার রাজ্যকে সামগ্রিক উন্নয়নের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। বিভিন্ন জনমুখী নীতি বাস্তবায়নের মাধ্যমে সমাজের প্রতিটি স্তরকে উন্নয়নের কাজ করে যাচ্ছে সরকার। 

সমাজের সকল অংশের মানুষের উন্নয়নকে বিশেষ অগ্রাধিকার দিয়ে কাজ করছেন মুখ্যমন্ত্রী। ইতিমধ্যে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে বিভিন্ন জনমুখী প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে। যেমন – প্রধানমন্ত্রী গরীব কল্যাণ অন্ন যোজনার মাধ্যমে ৬.০৮ লক্ষ পরিবারকে ৩.০৮ লক্ষ মেট্রিক টন রেশন বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার মাধ্যমে ১,৮৩,৪৬১ দরিদ্র পরিবারকে পাকা ঘর প্রদান করা হয়েছে। জল জীবন মিশন প্রকল্পের মাধ্যমে ১,৮১,১৭৭ বাড়িতে নলের মাধ্যমে বিশুদ্ধ পানীয়জল পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী কিষাণ সম্মাননিধি যোজনার মাধ্যমে ২,৩৯,৮৭৫ কৃষককে ২৮৭.১৬ কোটি টাকা সরাসরি আর্থিক সাহায্য প্রদান করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী উজ্জ্বলা যোজনার মাধ্যমে ৮১,৩৪৪ পরিবারকে বিনামূল্যে এলপিজি সংযোগ দেওয়া হয়েছে।

আয়ুষ্মান ভারত, প্রধানমন্ত্রী জন আরোগ্য যোজনা ও মুখ্যমন্ত্রী জন আরোগ্য যোজনায় ২০.৫৬ লক্ষ লাভার্থী নিবন্ধীকৃত হয়েছে। যার মধ্যে এ পর্যন্ত ৪.৩০ লক্ষ লাভার্থীকে স্বাস্থ্যবিমা সুরক্ষা প্রদান করা হয়েছে।ন্যূনতম সহায়কমূল্যে ৫৩,৯০৮ মেট্রিক টন ধান কৃষকদের কাছ থেকে সরাসরি ক্রয় করা হয়েছে। ৪২৫১২ টি বাড়িতে শৌচালয় নির্মাণ করা হয়েছে। পাশাপাশি ৪৩৬টি কমিউনিটি শৌচালয়ও নির্মাণ করা হয়েছে। ৪২,৩৯৩ বাড়িতে বিদ্যুৎ পরিষেবা পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। দীনদয়াল অন্ত্যোদয় যোজনা, জাতীয় জীবিকা মিশনে ১,১৯,৯৮৬ মহিলাকে নিয়ে ৯,০৬৬ টি স্ব-সহায়ক দল গঠনের মাধ্যমে স্ব-রোজগারি করে তোলা হয়েছে। (২০১৮ থেকে এ পর্যন্ত ৫৩,৬২৩ টি স্ব-সহায়ক দলে ৪.৮৪ লক্ষ জনকে যুক্ত করা হয়েছে)।

এর পাশাপাশি জনকল্যাণের উদ্দেশ্যে একাধিক জনমুখী উদ্যোগ গ্রহণ করেছে সরকার। গত বছরের ২১ ডিসেম্বর আগরতলায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র ও সমবায় মন্ত্রী অমিত শাহের সভাপতিত্বে উত্তর-পূর্বাঞ্চল পর্ষদের ৭২তম প্লেনারি অধিবেশন সফলভাবে সম্পন্ন হয়। নাগরিকদের সমস্যা সমাধানে ২০২৩ সালের ১২ এপ্রিল মুখ্যমন্ত্রী সমীপেষু কর্মসূচির সূচনা হয়। যোগাযোগের ক্ষেত্রে আমূল পরিবর্তন হয়েছে ত্রিপুরায়। নতুন ৫১ কি.মি. (২০১৮ থেকে এ পর্যন্ত ৪০৯ কি.মি.) জাতীয় সড়ক, উন্নততর রেল পরিষেবার মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন রাজ্যের সাথে যোগাযোগ স্থাপন, মহারাজা বীর বিক্রম বিমানবন্দরের উন্নীতকরণ ও বিমান চলাচল বৃদ্ধি পেয়েছে। স্বচ্ছ নিয়োগ-নীতির মাধ্যমে ৫,৯৭২টি সরকারি চাকরিতে নিয়মিত পদে নিযুক্তি করা হয়েছে (২০১৮ থেকে এ পর্যন্ত ১৭,৬৪৫ টি নিয়মিত পদে নিয়োগ করা হয়েছে)। তাছাড়া এবছর আরো ৮,২৫২টি বিভিন্ন পদে নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।

তথ্য দিয়ে জানানো হয়েছে যুবাদের স্বনির্ভর করার লক্ষ্যে নতুন স্টার্ট-আপ পলিসি-২০২৪ প্রণয়ন করা হয়েছে। শিল্পক্ষেত্রকে উৎসাহিত করতে ও অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে নতুন শিল্পনীতি চালু করা হয়। গুণগত শিক্ষার বিকাশে জাতীয় শিক্ষানীতির বাস্তবায়ন করা হয়। বুনিয়াদী শিক্ষা স্তর থেকে শুরু করে উচ্চ শিক্ষাস্তর পর্যন্ত বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থার সার্বিক বিকাশ সাধন করা হয়েছে। মহিলাদের শিক্ষার বিকাশে কলেজ ছাত্রীদের বিনামূল্যে স্কুটি প্রদান করা হবে। স্বাস্থ্য শিক্ষার ক্ষেত্রে অভূতপূর্ব উন্নয়ন সাধিত হয়।

রাজ্যের পর্যটন কেন্দ্রগুলোর সমূহ উন্নতি সাধনের ফলে পর্যটকদের সংখ্যা ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। তপশিলি জনজাতি, তপশিলি জাতি, ওবিসি ও সংখ্যালঘুদের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে বিভিন্ন প্রকল্প ও পরিষেবা রূপায়ণ করা হয়েছে। ছাত্রছাত্রীদের কল্যাণে প্রদেয় স্কলারশিপ অর্থমূল্যের দ্বিগুনেরও বেশি বৃদ্ধি করা হয়েছে। চতুর্পাক্ষিক চুক্তির অধীনে পুনর্বাসিত ব্রু পরিবারকে গৃহ নির্মাণ, কর্মসংস্থান, বিনামূল্যে রেশন সহ সমস্ত ধরনের পরিষেবা প্রদান করা হয়।

রাজ্যে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার ক্ষেত্রেও অভুতপূর্ব সাফল্য পাওয়া গেছে। নেশা মুক্তি অভিযানে বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে। দিব্যাঙ্গজন ক্ষমতায়ন নীতি চালু হয়েছে। বিভিন্ন সামাজিক ভাতা প্রকল্পে সুবিধাভোগীদের সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে। তাৎপর্যপূর্ণভাবে রাজ্যের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো স্টেট লোগো প্রণয়ন করা হয়েছে। ২০২৩-২৪ অর্থ বর্ষে মাথাপিছু গড় আয় হয়েছে ১,৭৭,৭২৩ টাকা, যা ২০১৮-১৯ অর্থ বর্ষে ছিল ১,১৩,০১৬ টাকা। ক্রীড়া পরিকাঠামোর সার্বিক উন্নয়নের ফলে বিভিন্ন জাতীয় পর্যায়ের প্রতিযোগিতার সফল আয়োজন সম্ভব হয়েছে। ২০২৪ সালের ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলা ও বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।

উন্নয়নমূলক কর্মসূচির সফল বাস্তবায়নের স্বীকৃতি স্বরূপ জাতীয় স্তরে বিভিন্ন ক্ষেত্রেও ধারাবাহিকভাবে পুরস্কার অর্জন করে যাচ্ছে ত্রিপুরা। এক্ষেত্রে বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহার অবদান ও নিরলস প্রচেষ্টা অনস্বীকার্য। বরাবরই তিনি এক ত্রিপুরা শ্রেষ্ঠ ত্রিপুরা গড়ে তোলার লক্ষ্যে কাজ করে চলেছেন।

    Leave feedback about this

    • Quality
    • Price
    • Service