জনতার কলম ত্রিপুরা আগরতলা প্রতিনিধি :- অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য ফের শনিবার মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনের সামনে জড়ো হয়ে দাবী জানালেন এস টি জি টি পরীক্ষার্থীরা। পরে পূর্ব থানার পুলিশ এসে তাদের গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায়। কিন্তু সংশ্লিষ্ট বিষয়ে রাজ্য সরকারের নিরব ভূমিকায় রহস্য ক্রমশই ঘনীভূত হচ্ছে বলে বিভিন্ন মহলের অভিমত।
একদিকে আন্তর্জাতিক নারী দিবস এবং অন্যদিকে রাজ্যে দ্বিতীয় বিজেপি সরকারের দ্বিতীয় বর্ষপূর্তির দিন শনিবার। আর এই তাৎপর্যপূর্ণ দিনেই মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনের সামনে সমবেত হয়ে নিজেদের অধিকার প্রতিষ্ঠার দাবি জানাল এসটিজিটি চাকরি প্রার্থীদের মধ্যে এক মহিলা প্রার্থী। তাদের অভিযোগ, রাজ্য সরকার তাদের অধিকার সুরক্ষার ব্যাপারে উদ্যোগ গ্রহণ করছে না।
এর ফলে তৃতীয় বর্ষ অতিক্রম করে চতুর্থ বর্ষের পড়তে চলেছে তাদের চাকরির দাবিতে এই আন্দোলন। অন্যান্য দিনের মতো এদিনও রাজ্য পুলিশ এবং রাজ্য গোয়েন্দা শাখা কে কার্যতো ঘুমে রেখেই এসটিজিটি প্রার্থীরা চাকরির দাবিতে মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনের সামনে সমবেত হওয়ার সাহস দেখালেন। এক চাকরিপ্রার্থী বলেন, আমরা শিক্ষক হওয়ার স্বপ্ন নিয়েই পরীক্ষায় বসে ছিলাম ২০২২ সালে।
শিক্ষকতার চাকরির জন্য জীবনের ১১ টি মূল্যবান বছর তারা নষ্ট করেছেন। কিন্তু আজও এর ফল প্রকাশ করা হয়নি। অথচ শিক্ষকের প্রচুর শূন্যপদ পড়ে রয়েছে। রয়েছে অর্থ দপ্তরের অনুমোদনও। এই অবস্থায় আজ আন্তর্জাতিক নারী দিবসের দিনে তারা তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠাতার দাবি জানাতেই মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনের সামনে জড়ো হয়েছেন বলে জানান তিনি।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে ২০২২ সালে শেষ বার রাজ্যে এসটিজিটি পরীক্ষা হয়। কিন্তু এই পরীক্ষার ফল আজও প্রকাশ করা হয়নি। নিয়োগ তো দূর অস্ত। আর সংশ্লিষ্ট বিষয়ে শিক্ষা দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাক্তার মানিক সাহা নীরব ভূমিকা গ্রহণ করে চলছেন। এদিকে অনেক চাকরি প্রার্থীর বয়স সীমা পেরিয়ে যাচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে রাজ্য সরকারের নীরব ভূমিকায় ক্রমশই রহস্য ঘনীভূত হচ্ছে বলে বিভিন্ন মহলের অভিমত। এদিন মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনের সামনে জড়ো হওয়া চাকরিপ্রার্থীদের পুলিশ গ্রেপ্তার করে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যায়।
Leave feedback about this