2025-02-21
Ramnagar, Agartala,Tripura
রাজ্য শিক্ষা

মাতৃভাষা হচ্ছে জাতির পরিচয়, মাতৃভাষাকে অবজ্ঞা করে কোনও জাতি কখনো সমৃদ্ধ হতে পারবে না : শিক্ষামন্ত্রী 

জনতার কলম ত্রিপুরা আগরতলা প্রতিনিধি :- বর্তমান বিশ্বায়নের যুগেও মাতৃভাষার যথেষ্ট গুরুত্ব রয়েছে। মাতৃভাষা হচ্ছে যেকোন জাতির পরিচয়। মাতৃভাষাকে অবজ্ঞা করে কোনও জাতি কখনো সমৃদ্ধ হতে পারবে না। আজ আগরতলা টাউনহলে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপনের রাজ্যভিত্তিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে কৃষিমন্ত্রী রতনলাল নাথ একথা বলেন। উল্লেখ্য, এ বছর বিশ্বব্যাপী আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের ২৫তম বর্ষ পালন করা হচ্ছে।

অনুষ্ঠানে কৃষিমন্ত্রী বলেন, মা, মাতৃভাষা ও মাতৃভূমি হচ্ছে পরম শ্রদ্ধার বিষয়। এগুলোকে ভুলে গিয়ে কোনও জাতি উন্নতি করতে পারবে না। শিশু তার মায়ের কাছ থেকেই প্রথমে মাতৃভাষা শিখে। মাতৃভাষার মাধ্যমেই মানুষ তার মনের ভাবকে সহজ সরলভাবে প্রকাশ করতে পারে। তাই আজ সকলকে নিজের মাতৃভাষাকে সমৃদ্ধ করে অন্য ভাষাকেও সমৃদ্ধ করার শপথ নিতে হবে। কৃষিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও মাতৃভাষাকে গুরুত্ব দিয়ে নতুন জাতীয় শিক্ষানীতি প্রবর্তন করেছেন। রাজা সরকারও রাজ্যের সব ভাষাকে সমান গুরুত্ব দিয়ে তা রক্ষা করার প্রচেষ্টা নিয়েছে।

অনুষ্ঠানে আগরতলা পুর নিগমের মেয়র তথা বিধায়ক দীপক মজুমদার বলেন, সারা বিশ্বে আজ যথেষ্ট উৎসাহ উদ্দীপনার সঙ্গে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করা হচ্ছে। প্রত্যেক জাতি-গোষ্ঠীর মাতৃভাষাকে রক্ষা করতে ও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার উদ্দেশ্য নিয়েই মাতৃভাষা দিবস পালন করা হয়ে থাকে। বর্তমান সরকারও রাজ্যের বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর ভাষাকে সমৃদ্ধ করার জন্য কাজ করছে।

অনুষ্ঠানে ত্রিপুরা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য পদ্মশ্রী ড. অরুণোদয় সাহা বলেন, মানুষের মনের ভাব, চিন্তা প্রকাশ করার অন্যতম মাধ্যম হল মাতৃভাষা। মায়ের দুধের যেমন বিকল্প নেই তেমনি মাতৃভাষারও বিকল্প নেই। অনুষ্ঠানে এছাড়াও বক্তব্য রাখেন মধ্যশিক্ষা ও বুনিয়াদি শিক্ষা অধিকারের অধিকর্তা এন সি শর্মা।

অনুষ্ঠানে এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের অধিকর্তা বিম্বিসার ভট্টাচার্য, উচ্চশিক্ষা দপ্তরের অধিকর্তা অনিমেষ দেববর্মা, ককবরক ও অন্যান্য সংখ্যালঘু ভাষা দপ্তরের অধিকর্তা আনন্দহরি জমাতিয়া এবং রাজ্য শিক্ষা গবেষণা ও প্রশিক্ষণ পর্ষদের অধিকর্তা এল দারলং।

রাজ্যভিত্তিক এই অনুষ্ঠানে রাজ্যের বিভিন্ন ভাষাভাষী গোষ্ঠীর প্রতিনিধিগণ তাদের নিজস্ব ঐতিহ্যময় পোশাকে সজ্জিত হয়ে নিজ নিজ মাতৃভাষায় নিজেদের কৃষ্টি ও সংস্কৃতির প্রদর্শন করেন। এছাড়াও অনুষ্ঠানে বিদ্যালয় ও মহাবিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা বাংলা, ককবরক ও হিন্দি ভাষায় উদ্বোধনী সংগীত পরিবেশন করেন।

    Leave feedback about this

    • Quality
    • Price
    • Service