জনতার কলম ত্রিপুরা আগরতলা প্রতিনিধি :- মহিলাদের স্বরোজগারী ও সশক্তিকরণ ছাড়া দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন সম্ভব নয়। এলক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী মহিলাদের সশক্তিকরণে গুরুত্বারোপ করেছেন। রাজ্যে স্বসহায়ক দলের কর্মকান্ড আজ আন্দোলনে পরিণত হয়েছে। আজ আগরতলা টাউনহলে স্বসহায়ক দলের মহিলাদের সশক্তিকরণের লক্ষ্যে পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কের এগ্রি আউটরিচ অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করে অর্থমন্ত্রী প্রণজিৎ সিংহরায় একথা বলেন। 
অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ২০৪৭ সালের মধ্যে আমাদের দেশকে বিকশিত ভারত হিসেবে গড়ার প্রচেষ্টা নিয়েছেন। বর্তমানে ভারত বিশ্ব অর্থনীতিতে পঞ্চম স্থানে রয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারের খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ, শিল্প মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে প্রধানমন্ত্রী ফরমেশন অব মাইক্রো ফুড প্রসেসিং এন্টারপ্রাইজেস প্রকল্পে পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে ব্যাঙ্কের পক্ষ থেকে ৩৫টি মহিলা স্বসহায়ক দলকে ২.৩ কোটি টাকার চেক দেওয়া হয়। আজ দেশের ১৩৮টি স্থানে এরূপ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। 
অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী প্রণজিৎ সিংহ রায় আরও বলেন, ২০১৮ সালের আগে এরাজ্যে স্বসহায়ক দলের সংখ্যা ছিল ৪১৫০টি। ২০২৪ সালের ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত স্বসহায়ক দলের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫২ হাজার ৩৫৫টি। এতে ৪ লক্ষ ৭৭ হাজার সদস্য ও সদস্যা যুক্ত রয়েছেন। লাখপতি দিদি হয়েছেন ৯১ হাজার। আমরা চাই সকল মহিলা স্বসহায়ক দলের সাথে যুক্ত হোক। কৃষি ও কৃষক কল্যাণের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে অর্থমন্ত্রী বলেন, দেশের অর্থনীতির মূল ভিত্তি হলো কৃষি ও কৃষি সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্র। এলক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী দেশের ১০০টি জেলায় পিএম ধনধান্য কৃষি যোজনা চালু করেছেন।
আগে ৩ লক্ষ টাকা পর্যন্ত কেসিসি লোন দেওয়া হতো। দেশে এবারের বাজেটে কেসিসি লোন ৫ লক্ষ টাকা করা হয়েছে। উপকৃত হবেন ৭ কোটি ৭০ লক্ষ কৃষক। পিএম মুদ্রা লোন ১০ লক্ষ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২০ লক্ষ টাকা করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী ২০২৮ সাল পর্যন্ত দেশের ৮০ কোটি লোককে বিনামূল্যে খাদ্যশস্য দেবার ব্যবস্থা করেছেন। রাজ্যের কৃষকদের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে তিনি বলেন, দিন দিন রাজ্যে কৃষি ও কৃষি সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রের উন্নয়ন হচ্ছে। আজ রাজ্যে জিএসডিপি ও মাথা পিছু গড় আয় বাড়ছে। আগে রাজ্যে একজন কৃষকের মাসিক আয় ছিল ৬৫৫০ টাকা। এখন হয়েছে প্রায় ১৩ হাজার টাকা।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কের এমডি এবং সিইও অশোক চন্দ্রা, আরবিআই-র জিএম সুরেন্দ্র নিদার এবং নাবার্ড এর জিএম অনিল এস কোটমেরে। স্বাগত বক্তব্য রাখেন পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কের জোনাল ম্যানেজার চিত্তরঞ্জন পুস্ত। উপস্থিত ছিলেন ত্রিপুরা গ্রামীণ ব্যাঙ্কের চেয়ারম্যান সত্যেন্দ্র সিং ও টিআরএলএম-র সিইও অজিত শুক্লদাস। অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী সহ অতিথিগণ স্বসহায়ক দলের হাতে ঋণের চেক তুলে দেন। অনুষ্ঠানে পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কের অধীন স্বসহায়ক দল ও এগ্রি ইনফ্রা ফান্ড বিষয়ে ভিডিও শো প্রদর্শন করা হয়। অনুষ্ঠানে ধন্যবাদজ্ঞাপন করেন পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কের ডিজিএম ঋতুরাজ কৃষ্ণ।
অনুষ্ঠানের পর অর্থমন্ত্রী সহ অতিথিগণ বিভিন্ন স্বসহায়ক দলের স্টল পরিদর্শন করেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কের এমডি ও সিইও টাউনহলে এক সাংবাদিক সম্মেলনে জানান, পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক গত ৬ ও ৭ ফেব্রুয়ারি দেশের ১৫০টি জায়গায় হাউজিং লোন এবং পিএম সূর্যঘর মুফত বিজলী যোজনা কার্যক্রমের বিষয়ে অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। এক্ষেত্রে ১০ হাজার কোটি টাকা হাউজিং লোন ও ১০০০টি পিএম সূর্যঘর মুফত বিজলী যোজনার জন্য আবেদন পত্র গ্রহণ করা হয়।
Leave feedback about this