জনতার কলম ওয়েবডেস্ক :-সংসদে একটা তুফান যে মোদী তুলবেন সেটার পূর্বাভাস আগে থেকেই ছিল। যেটার অপেক্ষা করেছিল গোটা দেশ বা বিরোধীরা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সেই মণিপুর নিয়ে বিবৃতি দিলেন। মণিপুর ইস্যু তুলেই মোদি বলেন, ‘মণিপুরে নিশ্চয়ই শান্তির সূর্য উঠবে, মণিপুর আবার নতুন আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে এগিয়ে যাবে। মণিপুরের মানুষকে আমার আবেদন, দেশ আপনাদের সঙ্গে আছে’। মণিপুরের মহিলাদেরকে নিয়ে এদিন আলাদা বিবৃতি দেন নমো বলেন, ‘মণিপুরে মহিলাদের সঙ্গে যা হয়েছে তা ভোলার নয়।’ মণিপুরের কঠিন পরিস্থিতির জন্য দায়ী কংগ্রেস। এই ইস্যুতে মণিপুরে উগ্রপন্থা থেকে শুরু করে। একাধিক অশান্তির ঘটনা সামনে আনেন মোদী। শুধু মণিপুর নিয়েই বিবৃতি নয় বিরোধীরা অনাস্থা আনলেও তাদের পারফরমেন্স কতটা দুর্বল ছিল সে নিয়েও কটাক্ষ করেন মোদী। বলে দেন আপনারা প্রস্তুতি নেন না কেন ঠিক করে। ২০১৮ থেকে ৫ বছর সময় পেয়েছেন তবুও প্রিপারেশন নেন না। গুড়কে গোরব করায় দক্ষ বিরোধীরা। তবে এদিন নমোর একটা কথায় রীতিমত হাততালির ঝড় ওঠে সংসদে। মোদী বলেন, বিপক্ষের একটা ‘সিক্রেট বরদান’ রয়েছে বিপক্ষ যখনই যার কারোরই খারাপ চায়, তারই ভালো হয়। আর এই অনাস্থা প্রস্তাব তাঁর সরকারের পক্ষে সেরকমই একটি দিক।এদিকে, মোদীর ভাষণের মাঝেই সংসদ ছেড়ে বেরিয়ে যান বিরোধীরা তাঁরা অধিবেশন থেকে ওয়াকআউট করেন। এক্ষেত্রে বিরোধীদের দাবি প্রধানমন্ত্রী বলেননি কবে তিনি মণিপুর সফর করবেন আজও তাদের কাছে স্থায়ী সমাধান নেই। মণিপুরে কবে শান্তি ফিরে আসবে তার কোনো রোডম্যাপ নেই। সমগ্র মণিপুর রাজ্য প্রধানমন্ত্রীর কথায় অসন্তুষ্ট ও দুঃখিত। তাই I.N.D.I.A. জোট ওয়াক আউট করেছে। শেষপর্যন্ত বিরোধীশূন্য লোকসভায় আস্থা ভোটে জয়ী হয়ে যান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
Leave feedback about this