জনতার কলম ত্রিপুরা আগরতলা প্রতিনিধি :- জঙ্গি গোষ্ঠীর মদতদানকারী প্রশাসনিক তত্ত্বাবধানে ভালো নেই বাংলাদেশ। বিষয়টি ভারতের কাছে উদ্বেগের কারণও বটে। শুক্রবার সাংবাদিক সম্মেলন করে এমনই উদ্যোগ প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘের প্রতিনিধি তথা ব্রিটিশ কাউন্সিলর পুষ্পিতা গুপ্ত। সাংবাদিক সম্মেলনে বাংলাদেশে হিন্দু সংখ্যালঘু ধর্মাবলম্বী এবং আদিবাসীদের নিরাপত্তা বিধানে ৫ দফা দাবি উত্থাপন করেন সাংবাদিক সুশান্ত দাশগুপ্ত।
বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি বিশ্বের দরবারে তুলে ধরতে সক্রিয় উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন জাতিসংঘের প্রতিনিধি তথা ব্রিটিশ কাউন্সিলর পুষ্পিতা গুপ্ত এবং বাংলাদেশের বিশিষ্ট সাংবাদিক সুশান্ত দাশগুপ্ত। শুক্রবার তারা আগরতলা প্রেসক্লাবে এক সাংবাদিক সম্মেলনে মিলিত হন। সাংবাদিক সম্মেলনে জাতিসংঘের প্রতিনিধি তথা ব্রিটিশ কাউন্সিলর পুষ্পিতা গুপ্ত বলেন ,মোহাম্মদ ইউনূসের সাথে জঙ্গি সংগঠনগুলি মিলে অবৈধভাবে বাংলাদেশ দখল করে রেখেছে।
চলছে হিন্দু সংখ্যালঘু ধর্মাবলম্বী ও আদিবাসীদের উপর চরম নির্যাতন। এই নির্যাতন প্রতিরোধে মিডিয়া, প্রশাসন, সেনাবাহিনী- কারোর সাহায্য পাওয়া যাচ্ছে না। সিসি ক্যামেরা ভেঙ্গে দিয়ে বাড়িঘরে আক্রমণ চলছে। চিনময় কৃষ্ণপ্রভুকে মুক্ত করা যায়নি ।সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ বর্তমানে মিনি পাকিস্তানে পরিণত হয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে হিন্দুদের অধিকার আদায়ের আন্দোলনে যারা যুক্ত রয়েছেন তাদের মিথ্যা মামলার ভয় দেখানো হচ্ছে বা মিথ্যে মামলার নাম করে অর্থনৈতিক ভাবে শোষণ করা হচ্ছে। তিনি জানান, বাংলাদেশের হিন্দুরা ভালো নেই। গোটা বাংলাদেশ ভালো নেই ।পুরোপুরি জঙ্গি রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে বাংলাদেশ যা ভারতের জন্য মারাত্মক উদ্বেগের বিষয়।
সাংবাদিক সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশের বিশিষ্ট সাংবাদিক সুশান্ত দাশগুপ্ত। তিনি বলেন ,পরিস্থিতি মোকাবেলায় তারা জাতিসংঘের কাছে ৫ দফা দাবি পেশ করেছেন। সম্প্রতি ভারতে অবস্থানকালে দিল্লিতে এবং কলকাতায় সাংবাদিক সম্মেলন করেও এই দাবি উত্থাপন করেছেন তারা।দাবিগুলির মধ্যে অন্যতম হলো হিন্দু ও সংখ্যালঘু ধর্মাবলম্বী এবং আদিবাসীদের সুরক্ষা প্রদানে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনী মোতায়েন করতে হবে।
হিন্দু সংখ্যাধিক্য অঞ্চল গুলিকে প্রটেক্টিভ জোন গঠন করতে হবে। নিরাপদ পুনর্বাসনের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। ৭১ সাল থেকে এখন পর্যন্ত হিন্দু ও অন্যান্য ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের যে পাঁচ হাজার স্কয়ার মাইল জায়গা দখল করা হয়েছে সেই জায়গা ফিরিয়ে দিতে হবে।
সাংবাদিক সম্মেলনে তারা জানান ,সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো তারা ভারতে প্রচার করার পর বিশ্বের বিভিন্ন রাষ্ট্রেও যাবেন। সেই সমস্ত রাষ্ট্রে গিয়েও তারা বাংলাদেশের পরিস্থিতি জনগণের সামনে তুলে ধরবেন। বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতির বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী জনমত গঠনের লক্ষ্যেই তাদের এই প্রয়াস বলে জানান তারা।
Leave feedback about this