জনতার কলম ওয়েবডেস্ক :-‘ভারত রণভূমি দর্শন’ কর্মসূচির আওতায় সিকিমের দুই গুরুত্বপূর্ণ সীমান্ত এলাকা চো লা ও ডোক লা আজ সকাল থেকে পর্যটকদের জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে খুলে দিলেন সিকিমের মুখ্যমন্ত্রী প্রেম সিং তামাং।
এই দুই সীমান্ত অঞ্চল কৌশলগতভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক ও পর্যটন মন্ত্রকের যৌথ উদ্যোগে চালু হওয়া ‘ভারত রণভূমি দর্শন’ প্রকল্পের মূল লক্ষ্য সীমান্ত পর্যটনকে উৎসাহিত করা, পরিকাঠামো উন্নয়ন এবং দুর্গম সীমান্ত গ্রামগুলির মানুষের জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী প্রেম সিং তামাং বলেন, রাজ্য সরকারের লক্ষ্য হলো “শেষ গ্রামকে আগে উন্নয়ন”—যা কেন্দ্র সরকারের ভাইব্রেন্ট ভিলেজেস প্রোগ্রামের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। এই প্রকল্পের ফলে সীমান্ত এলাকাগুলিতে দ্রুত উন্নয়ন ঘটছে বলে তিনি জানান।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “শেষ গ্রামকে আগে উন্নয়ন করাই আমাদের লক্ষ্য। ভাইব্রেন্ট ভিলেজেস প্রোগ্রামের মাধ্যমে সীমান্ত অঞ্চলগুলির সার্বিক উন্নয়ন হচ্ছে। ভারত সরকার, ভারতীয় সেনা এবং পর্যটন দপ্তরের সহযোগিতায় আজ চো লা ও ডোক লাকে ‘ভারত রণভূমি দর্শন’-এর অন্তর্ভুক্ত করে পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়া হলো।”
তিনি এই উদ্যোগের জন্য ভারত সরকার, পর্যটন দপ্তর এবং ভারতীয় সেনাবাহিনীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং আশ্বাস দেন যে এই অঞ্চলে পরিকাঠামো উন্নয়নের কাজ আগামীতেও অব্যাহত থাকবে।
এছাড়াও মুখ্যমন্ত্রী ভারতীয় সেনাবাহিনীর উদ্যোগে আয়োজিত সুপারকার র্যালির জন্য ধন্যবাদ জানান এবং জিওসি মিস্টার রাঠোর ও তাঁর দল এবং আয়োজক কমিটির ভূয়সী প্রশংসা করেন।
চো লা ও ডোক লা পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়ার ফলে সিকিমের সীমান্ত অঞ্চলে পর্যটন, যোগাযোগ ব্যবস্থা এবং সামগ্রিক উন্নয়নে বড়সড় গতি আসবে বলে আশা করা হচ্ছে।


Leave feedback about this