জনতার কলম ওয়েবডেস্ক :- ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের আবহে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের মুক্তির দাবি করেছিল তাঁর দল PTI তথা তেহরিক-ই-ইনসাফ। তারা দাবি করেছিল যে, ইমরান খান কারাগারে বন্দী, যে কোনও সময় ড্রোন হামলা হতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে ইমরান খানকে জেল থেকে বের করে আনা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ইমরান খানের পাকিস্তান তেহরিক-ই ইনসাফ দল একটি হোয়াটসঅ্যাপ বার্তায় জানিয়েছিল যে, ইতিমধ্যেই এই আবেদন নিয়ে খাইবার পাখতুনখোয়ায় মুখ্যমন্ত্রী আলি আমিন গন্ডাপুর ইসলামাবাদ হাইকোর্টে দ্বারস্থ হয়েছেন।
আবেদনে বলা হয়েছিল যে, ভারতের বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনা করে এবং জাতীয় সম্প্রীতির স্বার্থে ইমরান খানকে প্যারোলে অবিলম্বে মুক্তি দেওয়া প্রয়োজন। বর্তমানে ৭২ বছর বয়সী ইমরান খান একাধিক অভিযোগের ভিত্তিতে রাওয়ালাপিন্ডির আদিয়ালা জেলবন্দী। কিন্তু PTI-এর করা এই আবেদন খারিজ করে দিয়েছে আদালত। একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার ইমরান এবং তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবির সাজা স্থগিত করার আবেদনটি ইসলামাবাদ হাইকোর্ট স্থগিত করে দিয়েছে। তবে এ নিয়ে শুনানির পথ সুগম রয়েছে। তবে এখনও আদালত চত্বর ছাড়েননি পিটিআই প্রতিষ্ঠাতার বোনেরা। সেখানে আলেমা খান, নওরীন খানুম এবং ডঃ উজমা-সহ বেশ কয়েকটি সিরিয়র PTI নেতাদের দেখা গিয়েছে। এদিকে বৃহস্পতিবার লাহোর হাইকোর্ট (LHC) জিন্নাহ হাউস হামলাসহ মোট আটটি মামলায় ইমরান খানের জামিন আবেদনের শুনানি স্থগিত করেছে।
প্রসঙ্গত, বর্তমানে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধের প্রস্তুতি তুঙ্গে। ২২ এপ্রিল কাশ্মীরের পহেলগাঁও-তে অতর্কিত সন্ত্রাসী হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন ২৬ জন পর্যটক। বিগত ২ দশকে ভারতের উপর এটাই সবচেয়ে বড় হামলা পাকিস্তানের। এরপরেই প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপ নেওয়া শুরু করেছে ভারত। কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করেছে, পাকিস্তানের সঙ্গে আমদানি-রফতানি লেনদেন বন্ধ করেছে ভারত। পাক প্রধানমন্ত্রীর ইউটিউব চ্যানেল নিষিদ্ধ করেছে, পাক তারকাদের নিষিদ্ধ করেছে, তাঁদের সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলও নিষিদ্ধ করেছে ভারত। তবে সকলের অজান্তে মঙ্গলবার (৭ মে) ভারতের আত্মঘাতী বিমান হামলা একেবারে ঠ্যাং খোড়া করে দিয়েছে পাকিস্তানের। যোগ্য জবাব পেয়েছে পাকিস্তান। ভারতীয় সেনার এই সাফল্যে খুশি হয়েছেন পহেলগাঁও-তে সন্ত্রাসী হামলায় নিহতদের পরিবার থেকে আপামর দেশবাসী সকলেই। এদিকে ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর প্রতিশোধ নিতে পাকিস্তান ৮-৯ মে রাতে ভারতের পশ্চিম সীমান্তে একাধিক আক্রমণের চেষ্টা করেছে।
জম্মু-কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণ রেখায় (Loc) বেশ কয়েকবার যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করা হয়েছে। কিন্তু ভারতীয় সেনা সমস্ত ড্রোণ আক্রমণ সফলভাবে ধ্বংস করেছে। যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের উপযুক্ত জবাব দিয়েছে ভারতীয় সেনা। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’ হতাশ পাকিস্তান বৃহস্পতিবার জম্মু কাশ্মীর থেকে জয়সলমীর পর্যন্ত ভারতের প্রায় ১৫টি শহরকে লক্ষ্যবস্তু করেছিল। কিন্তু ভারতীয় সেনার আক্রমণে থিতু হতে বাধ্য পাক-সেনা।
Leave feedback about this