জনতার কলম ওয়েবডেস্ক :- পহেলগাঁওয়ে ৬ মে গভীর রাতে পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরে হামলা চালায় ভারতীয় সেনা। স্থল, বায়ু ও নৌসেনার মিলিত অভিযান ছিল এটি। এখনও পর্যন্ত এতে ৯০ জন সন্ত্রাসবাদীর মৃত্যুর খবর সামনে এসেছে। ৯টি জঙ্গি ঘাঁটি ধ্বংস হয়েছে। হামলা চালানো হয়েছে ভারতের এয়ারস্পেস থেকে। এই ঘটনাকে যুদ্ধের আহ্বান হিসাবেই দেখছে পাক প্রশাসন। একই সঙ্গে ভারতের আগ্রাসনের জবাব দিতে সেনাবাহিনীকে পূর্ণ ক্ষমতা দিয়েছে পাকিস্তানের জাতীয় নিরাপত্তা কমিটি (এনএসসি)।
মঙ্গলবার গভীর রাতে ভারত হামলা চালায়। বুধবার দুপুরে ইসলামাবাদে প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জাতীয় নিরাপত্তা কমিটির (এনএসসি) বৈঠক। সেখানেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় ভারতকে কঠোর জবাব দেওয়া হবে। সেখানেই পাক সেনার হাতে পূর্ণ ক্ষমতা অর্পণ করা হয়। পরে কমিটি থেকে এক বিবৃতি প্রকাশ করে জানানো হয়, ভারত পরিকল্পিতভাবে পঞ্জাব ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরের জনবসতি, মসজিদ ও বাড়িঘরের উপর হামলা চালিয়েছে। এর ফলে জঙ্গি কম, নিরীহ নারী, পুরুষ ও শিশুর প্রাণহানি ঘটেছে অনেক বেশি।
পাকিস্তানের দাবি ভারত এই ঘটনার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করেছে। জাতীয় নিরাপত্তা কমিটি আবার এও বলেছে তারা সাধুপুরুষ, এই উত্তেজনার যাবতীয় দায় সব দায় ভারতের। তারপরেই পাকিস্তান জাতিসংঘ সনদের ৫১ নম্বর অনুচ্ছেদের অধীনে আত্মরক্ষার অধিকার নীতি মেনে সশস্ত্র বাহিনীকে উপযুক্ত প্রতিরোধমূলক পদক্ষেপ নেওয়ার পূর্ণ স্বাধীনতা প্রদান করেছে। একই সঙ্গে বিশ্ব নেতাদের আহ্বান জানিয়ে এনএসসি বলেছে, ভারতের কাছে এই আগ্রাসনের জন্য জবাবদিহি চাওয়া উচিৎ সকলের। পাকিস্তান বরাবরই ‘শান্তি’র ভিখারি। তাই তাদের শান্তি দিতে হবে। সেই সঙ্গে, পাকিস্তানের জনগণ বা ভূখণ্ডে কোনওরকম আঘাত বরদাস্ত করা হবে না বলে জানানো হয়।
Leave feedback about this