জনতার কলম ত্রিপুরা আগরতলা প্রতিনিধি :- বোনের হত্যার বিচার চাইতে রাজ্য মানবাধিকার কমিশনের দ্বারস্থ হলেন এক বোন। রাজ্য মানবাধিকার কমিশনের পক্ষ থেকে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য আশ্বাস দেওয়া হয়। উল্লেখ্য ২০২৪ সালের কুড়ি ডিসেম্বর মেলাঘরের মাস্টার পাড়ার শিক্ষিকা হৈমন্তী সিংহ বর্মন কে তার শ্বশুরবাড়ির লোকেরা আগুনে পুড়িয়ে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে বলে অভিযোগ। ঘটনায় মূল অভিযুক্ত মৃতার স্বামী মৃণাল কান্তি বর্মনকে মেলাঘর থানার পুলিশ এখনো গ্রেপ্তার করেনি।
১৪ বছর আগে রাজধানীর যোগেন্দ্রনগরের বর্মন টিলার হৈমন্তী সিংহ বর্মনের সাথে মেলাঘর থানাধীন মাস্টারপাড়ার বাসিন্দা পেশায় শিক্ষক মৃণাল কান্তি বর্মনের বিয়ে হয় ।বিয়ের পর থেকেই পারিবারিক অশান্তি চলছিল বলে অভিযোগ। অভিযোগ, প্রায় সময়ই হৈমন্তী সিংহ বর্মনের স্বামী মৃণাল কান্তি বর্মন ,শাশুড়ি ঊষা রানী বর্মন, জা ঝুমা কর বর্মন এবং ভাসুর মানষ বর্মন মানসিক এবং শারীরিক নির্যাতন চালাত। এই অত্যাচারের বিষয়টি নিয়ে 2018 সালে মেলাঘর থানাতে একটি অভিযোগ জানানো হয়েছিল। গত কুরি ডিসেম্বর হৈমন্তী সিংহ বর্মনের শরীরে দাহ্য পদার্থ ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ ।আগুনে তার দেহের 97% ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন তিনি। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে হৈমন্তী সিংহ বর্মনের বাড়ির পক্ষ থেকে মেলাঘর থানায় তার স্বামী মৃণাল কান্তি বর্মন, ভাসুর মানষ বর্মন, জা ঝুমা কর বর্মন এবং শাশুড়ি উষা রানী বর্মনের বিরুদ্ধে এফ আই আর করা হয়। অভিযোগ, মেলাঘর থানার ওসি দেবাশীষ সাহা এই এফআইআর গ্রহণ করতে ৪ দিন সময় লাগান।প্রথম থেকেই তিনি এই মামলা নিয়ে তালবাহানা শুরু করেছেন বলে অভিযোগ।
পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন মহলের চাপে পড়ে মেলাঘর থানার পুলিশ একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা নিয়ে তদন্ত শুরু করে এবং মৃতা হৈমন্তী সিংহ বর্মনের ভাসুর মানষ বর্মনকে গ্রেফতার করে ।কিন্তু এই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত মৃতার স্বামী মৃণাল কান্তি বর্মনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করছে না। অভিযুক্ত পলাতক বলে জানানো হচ্ছে। অথচ অভিযুক্তকে মেলাঘরের মাস্টারপাড়া এলাকায় ঘোরাফেরা করতে দেখা যাচ্ছে।
এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দোষীদের গ্রেপ্তার এবং উপযুক্ত শাস্তি প্রদানের দাবিতে শুক্রবার বাধ্য হয়ে মৃতার বোন রাজ্য মানবাধিকার কমিশনের দ্বারস্থ হন।এদিন মৃতার বোন জানান ,পুলিশ তালবাহানা শুরু করেছে বলেই তারা বাধ্য হয়ে মানবাধিকার কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছেন। এদিন রাজ্য মানবাধিকার কমিশনের পক্ষ থেকে মৃতার বোনকে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করা হবে বলে আশ্বাস দেওয়া হয়।
Leave feedback about this