জনতার কলম ওয়েবডেস্ক:- নয়াদিল্লিতে জাতীয় মহাকাশ দিবসের দ্বিতীয় বর্ষ উদযাপন উপলক্ষে অনুষ্ঠিত এক গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠানে মহাকাশ মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী ড. জিতেন্দ্র সিং ভারতের মহাকাশ খাতে বেসরকারি খাতের প্রবেশকে গত ১১ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় সংস্কার হিসেবে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন, “রিফর্ম, পারফর্ম এবং ট্রান্সফর্ম”—এই তিন মন্ত্রকের ভিত্তিতে ভারতের মহাকাশ কর্মসূচি আজ দ্রুত এগিয়ে চলছে এবং বৈশ্বিক মহলে শক্তিশালী অবস্থান তৈরি করেছে।
প্রতিমন্ত্রী আরও জানান, ভারতের প্রযুক্তি ও মহাকাশ ক্ষমতা সম্প্রতি ‘অপারেশন সিন্ধুর’-এ কার্যকরভাবে প্রমাণিত হয়েছে। তিনি স্মরণ করিয়ে দেন, দুই বছর আগে চন্দ্রযান মিশন চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে সফল অবতরণের মাধ্যমে ভারত ইতিহাস গড়ে। এই সাফল্য শুধু বৈজ্ঞানিক অর্জন নয়, বিশ্বের কাছে ভারতকে মহাকাশ অন্বেষণে নেতৃত্বস্থানীয় শক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত মহাকাশযাত্রার ভবিষ্যৎ প্রতিনিধি ক্যাপ্টেন শুভাংশু শুক্লা জানান, ভারত গগনযান মিশনের মাধ্যমে প্রথমবারের মতো নিজের মহাকাশচারী মহাকাশে পাঠাবে। ২০৩৫ সালের মধ্যে দেশের নিজস্ব ‘ভারতীয় অন্তরীক্ষ স্টেশন’ স্থাপনের পরিকল্পনা রয়েছে এবং ভবিষ্যতে চাঁদের মাটিতে ভারতীয় মানুষের পদচিহ্ন রাখাও লক্ষ্য করা হয়েছে। এছাড়াও জাপান ও ইউরোপীয় মহাকাশ সংস্থাগুলিও ভারতের উদ্যোগে সহযোগিতার আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
ইসরোর চেয়ারম্যান ড. ভি নারায়ণন ঘোষণা করেন, ২০৪০ সালের মধ্যে ভারতের মহাকাশ কর্মসূচি বিশ্বের যে কোনও উন্নত মহাকাশ শক্তির সমতুল্য হয়ে উঠবে। তিনি চন্দ্রযান-৪ মিশন, শুক্র গ্রহে ‘ভেনাস অরবিটার মিশন’ এবং ২০৩৫ সালের মধ্যে ‘ভারতীয় অন্তরীক্ষ স্টেশন’ বাস্তবায়নের পরিকল্পনার কথা জানান। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী ইতিমধ্যেই নেক্সট জেনারেশন লঞ্চার (NGL) প্রকল্প অনুমোদন করেছেন, যা ভারতের উৎক্ষেপণ প্রযুক্তিকে আরও আধুনিক ও কার্যকর করবে।
সংক্ষেপে, বেসরকারি খাতের সক্রিয় অংশগ্রহণ, বৈজ্ঞানিক উদ্ভাবন, এবং সরকারের ও ইসরোর সমন্বিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে ভারত মহাকাশ গবেষণায় নতুন দিগন্তে এগিয়ে চলেছে এবং আগামী দশকে বৈশ্বিক নেতৃত্বের লক্ষ্যে দৃঢ় পদক্ষেপ নিচ্ছে।
Leave feedback about this