জনতার কলম ওয়েবডেস্ক :- বুধবার আবারও বিহার সফরে গেলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও বিজেপি নেতা অমিত শাহ। সমস্তিপুর জেলার রোসড়ায় এক বিশাল নির্বাচনী জনসভা থেকে তিনি আরজেডি শাসনকালকে “জঙ্গলরাজ” আখ্যা দিয়ে লালু প্রসাদ যাদব ও কংগ্রেসকে তীব্র আক্রমণ করেন।
অমিত শাহ বলেন, “এই নির্বাচন কোনও বিধায়ক বা মন্ত্রী তৈরির জন্য নয়, বরং জঙ্গলরাজ থেকে মুক্তির নির্বাচন।” তিনি দাবি করে বলেন, “আমি গোটা বিহার ঘুরে দেখেছি, সর্বত্র এমনই বিপুল ভিড় দেখা যাচ্ছে। ১৪ তারিখে ভোটগণনা শুরু হবে সকাল ৮টায়, ৯টার মধ্যে ব্যালট বাক্স খুলবে এবং দুপুর একটা বাজতে না বাজতেই লালু–রাহুলের সাফায়া হয়ে যাবে, আবারও এনডিএ সরকার গঠিত হবে।”
সমস্তিপুরকে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ও জননায়ক কर्पূরী ঠাকুরের জন্মস্থান বলে উল্লেখ করে শাহ বলেন, “লালু যাদব ও কংগ্রেস কर्पূরী ঠাকুরকে ভারত রত্ন পেতে দেননি। কিন্তু ২০২৪ সালে মোদি সরকার তাঁকে ভারত রত্ন দেওয়ার কাজ করেছে।” তিনি আরও বলেন, “এই লোকেরা কर्पূরী ঠাকুরের ‘জননায়ক’ উপাধিটিও কেড়ে নিতে চায়। লালু যাদব কান খুলে শুনুন, যতদিন এনডিএ আছে, কেউ কर्पূরী ঠাকুরের উপাধি ছুঁতেও পারবে না।”
অমিত শাহ লালু যাদব ও রাবড়ী দেবীর সরকারকে কটাক্ষ করে বলেন, “তাঁরা উন্নয়ন না করলেও দুর্নীতি করেছেন, বহু ঘোটালায় নাম জড়িয়েছে।” তিনি মন্তব্য করেন, “লালু নিজের ছেলেকে মুখ্যমন্ত্রী করতে চান, আর সোনিয়া গান্ধী নিজের ছেলেকে প্রধানমন্ত্রী বানাতে চান। কিন্তু বিহারে মুখ্যমন্ত্রীর আসন খালি নয়, দিল্লিতেও প্রধানমন্ত্রীর আসন খালি নয়—বিহারে আছেন নীতীশ কুমার, আর দিল্লিতে আছেন নরেন্দ্র মোদি।”
শাহ বলেন, “যাদের নিজেদের ছেলেদের নিয়েই এত চিন্তা, তারা বিহারের মঙ্গল করবে কীভাবে?” তিনি মহাগঠবন্ধনকে ‘ঠগবন্ধন’ বলে কটাক্ষ করেন এবং বলেন, “আমাদের এনডিএ-তে পাঁচটি দল আছে—পাঁচ পাণ্ডবের মতো ঐক্যবদ্ধভাবে আমরা লড়ছি। আমাদের আছে মোদি জির নেতৃত্ব, নীতীশ জির অভিজ্ঞতা, চিরাগ পাসওয়ানের যুব শক্তি, জিতন রাম মাঞ্জির তপস্যা এবং উপেন্দ্র কুশওয়াহার অভিজ্ঞতা।”
এনডিএ সরকারের উন্নয়নমূলক কাজের কথা উল্লেখ করে অমিত শাহ বলেন, “বিহারের নদীগুলিতে সেতু নির্মাণ, কোসি নদীর বন্যা রোধ, কৃষকের জমিতে সেচের পানি পৌঁছে দেওয়া, এবং গরিবের সম্মান রক্ষার কাজ নরেন্দ্র মোদি ও নীতীশ কুমার-এর সরকার করেছে।”
এর আগে অমিত শাহ দরভঙ্গাতেও এক নির্বাচনী সভা করে এনডিএ প্রার্থীদের পক্ষে ভোট প্রার্থনা করেন।





Leave feedback about this