জনতার কলম ওয়েবডেস্ক :- বাজওয়ার জামানা শেষ। পাকিস্তানের নতুন সেনা প্রধানের পথে শপথ নিয়েছেন জেনারেল অসিম মুনির। পদে বসেই ঘোষণা করেন সেনা এবং রাজনীতিকে পৃথক করা। পাকিস্তানের সংবিধান এবং সেনার অসম্মান মেনে নেবেন না পাকিস্তানের নতুন প্রধান। এরপরই তাঁর সঙ্গে বাকযুদ্ধ শুরু হয় পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধান ইমরান খানের। পাকিস্তান সেনা দেশের রাজনীতি এবং সরকার গঠনের ক্ষেত্রে সরাসরি হস্তক্ষেপ করে। এই অভিযোগ একধিক বার তুলেছে বিরোধী পক্ষ। এমনকি প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের গলায় শোনা যায় একই। এর জবাবেই বর্তমান সেনা প্রধান অসিম মুনির ঘোষণা করেন পাক সেনা রাজনীতি থেকে দূরে থাকবে। শুধু তাই নয়, আকার ইঙ্গিতে তিনি আরও বুঝিয়ে দেন যে ইমরান পাক সেনার বিষয় যা বলেছেন তা মোটেই ঠিক নয়। মুনিরের এই মন্তব্য ইমরানের জন্য হুঁশিয়ারি বলেই মনে করছেন সে দেশের রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ মহল। পাকিস্তানের রাজনীতি এখন বেশ নড়বড়ে। আগাম নির্বাচনের দাবিতে দেশজুড়ে বিক্ষোভ করছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। এ নিয়ে চাপে রয়েছে প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের সরকার। এরই মধ্যে পাকিস্তানের নতুন সেনাপ্রধান হয়েছেন জেনারেল আসিম মুনির। ইমরানের সঙ্গে তাঁর অতীত অভিজ্ঞতাও সুখের নয়।
সেনাপ্রধান হওয়ার আগে পাকিস্তানের সেনাবাহিনীতে বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করেছেন আসিম মুনির। ২০১৮ সালে দেশটির প্রভাবশালী গোয়েন্দা সংস্থা ইন্টার-সার্ভিসেস ইন্টেলিজেন্সের (আইএসআই) প্রধান হন। তবে মাত্র আট মাসের মাথায় ওই পদ থেকে সরে যেতে হয়েছিল তাঁকে। কারণ, তত্কালীন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান তাঁকে এই পদে দেখতে চাননি। আসিম মুনিরের সামনে আরেকটি চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াতে পারে ইমরানের দিন দিন বাড়তে থাকা জনপ্রিয়তা। নানা অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর ইমরানের জনপ্রিয়তা বাড়ছে। তাঁর ওপর হামলা এই জনপ্রিয়তা আরও বাড়িয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে জেনারেল আসিমের নানা পদক্ষেপ সাধারণ মানুষের, বিশেষ করে ইমরানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) সমর্থকদের অসন্তোষের মুখে পড়তে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞদের অনেকে।
Leave feedback about this