জনতার কলম ওয়েবডেস্ক :- মসজিদে নামাজ পড়ার সময় বন্দুকবাজদের এলোপাতাড়ি গুলি। অতর্কিতে তারা মসজিদে প্রবেশ করে সেখানে উপস্থিত লোকজনকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। নাইজেরিয়ায় এই ঘটনা ঘটেছে এবং মসজিদের ইমাম সহ ১২ জন নিহত হয়েছেন। শনিবার বন্দুকধারীরা এ ঘটনা ঘটায়। ডাকাত নামে পরিচিত সশস্ত্র দল, যেখানে নিরাপত্তা কড়া ও আঁটসাঁট রয়েছে সেসব এলাকায় তারা হামলা চালায়।
এই গ্যাং শুধু গুলিবর্ষণ বা হামলার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, মুক্তিপণের লোভে মানুষকে অপহরণও করে।
সশস্ত্র দলটি দাবী করে যে, গ্রামবাসীদের একটি সুরক্ষা ফি দিতে হবে যাতে তারা তাদের ফসল চাষ এবং কাটার অনুমতি পায়। রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রেসিডেন্ট মুহাম্মাদু বুহারির নিজ রাজ্য কাটসিনার ফুন্টুয়ার বাসিন্দা লাওয়াল হারুনা বলেছেন, হামলাকারীরা মোটরবাইকে করে এসে হঠাত্ বন্দুক নিয়ে মাগামজি মসজিদে প্রবেশ করে, যেখানে লোকেরা নামাজ পড়ছিলেন। বন্দুকধারীরা মুসল্লিদের ওপর গুলি চালায়। গুলিতে ঘটনাস্থলেই কয়েকজনের মৃত্যু হয়। এ সময় কয়েকজন প্রাণ বাঁচিয়ে পালিয়ে যায়।
লাওয়াল হারুনা জানান, রাতের নামাজের জন্য লোকজন মসজিদে এসেছিলেন। এসময় হামলাকারীরা মাগামজির ওপর হামলা চালায়। এ ঘটনায় ১২ জন নিহত হয়েছেন এবং এদের মধ্যে একজন ইমামও প্রাণ হারিয়েছেন। ফান্টুয়ার আরেক বাসিন্দা আবদুল্লাহি মোহাম্মদ জানান, ‘গুলি চালানোর পর হামলাকারীরা কয়েকজনকে জড়ো করে তাদের সঙ্গে ঝোপের কাছে নিয়ে যায়। আবদুল্লাহি বলেন, আমি প্রার্থনা করছি ডাকাতদের হাতে অপহৃত নিরীহ মানুষ যেন মুক্তি পায়।’
কাটসিনা রাজ্য পুলিশের মুখপাত্র গাম্বো ইসাহ হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, কয়েকজন বাসিন্দার সহায়তায় কয়েকজনকে উদ্ধারে সফলতা পাওয়া গেছে। কাটসিনা নাইজেরিয়ার উত্তর-পশ্চিমে অবস্থিত একটি রাজ্য। এটি প্রতিবেশী নাইজারের সাথে একটি সীমানা ভাগ করে, যা দুই দেশের মধ্যে গ্যাংকে অবাধে চলাচল করতে দেয়। নাইজেরিয়ার সেনাবাহিনী তাদের ধ্বংস করতে দস্যুদের আস্তানায় বোমাবর্ষণ করছে, কিন্তু মানুষের ওপর হামলা এখনও অব্যাহত রয়েছে।
Leave feedback about this