জনতার কলম আগরতলা প্রতিনিধি :-নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (সিএএ)-কে সংবিধানবিরোধী আখ্যা দিয়ে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন সিপিআইএম পলিটব্যুরো সদস্য তথা রাজ্যের বিরোধী দলনেতা জিতেন্দ্র চৌধুরী। শনিবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি বলেন, “ভারতের সংবিধানে কোনো আইন ধর্মের ভিত্তিতে প্রণয়ন করা যায় না। কিন্তু বিজেপি সরকার সিএএ-র মতো সংবিধানবিরোধী আইনের মাধ্যমে সমাজে বিভাজনের ফাটল আরও গভীর করার চক্রান্ত করছে।” সিএএ-র কাট-অফ তারিখ ২০২৪ সাল পর্যন্ত বাড়ানোর সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে তিনি দাবি করেন, এটি অনুপ্রবেশকারীদের চিহ্নিত করার প্রক্রিয়াকে জটিল করবে।
জিতেন্দ্র চৌধুরী অভিযোগ করেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের সাম্প্রতিক বিজ্ঞপ্তিতে শরণার্থীদের ভ্রমণ সংক্রান্ত নথির বাধ্যবাধকতা শিথিল করা হয়েছে। ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের আগে ধর্মীয় নির্যাতনের কারণে ভারতে প্রবেশ করা নির্দিষ্ট সংখ্যালঘু গোষ্ঠীর ব্যক্তিদের নাগরিকত্ব দেওয়ার বিধান ছিল সিএএ-তে। নতুন নির্দেশ অনুযায়ী, ২০২৪ সাল পর্যন্ত ভারতে প্রবেশকারীদের নথি না থাকলেও তাঁদের অপরাধী হিসেবে গণ্য করা হবে না। “এই সিদ্ধান্ত ভোটের রাজনীতির জন্য নেওয়া হয়েছে। সরকার জনগণের মধ্যে বিভাজন তৈরির পথ প্রশস্ত করছে,” বলেন তিনি।
তিনি আরো জানান, অতীতেও রাজ্যে অনুপ্রবেশের ঘটনা লক্ষ্য করা গেছে। বর্তমানে সীমান্তে বিএসএফ-এর কড়া নজরদারি এবং কাঁটাতারের বেড়া থাকলেও, কিছু কিছু জায়গায় অনুপ্রবেশের ঘটনা ঘটছে। এমনকি, কিছু সরকারি কর্মচারী টাকার বিনিময়ে অনুপ্রবেশকারীদের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র তৈরি করে দিয়ে তাদের রাজ্যে ঢোকার পথ আরও সহজ করে দিচ্ছেন। এই পরিস্থিতিতে সরকারের তরফ থেকে তৎক্ষণাৎ কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি ছিল।
কিন্তু উল্টো, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সিএএ-এর সময়সীমা আরও ১০ বছর বাড়িয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যা অনুপ্রবেশকারীদের শনাক্ত করার প্রক্রিয়াকে আরও জটিল করে তুলবে। তিনি সতর্ক করে বলেন, সিএএ বাতিল না করা হলে সমাজে বিভেদ সৃষ্টি হতে পারে। তাই তিনি জনগণকে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে এসে এই আইনের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানান।
Leave feedback about this