জনতার কলম ত্রিপুরা আগরতলা প্রতিনিধি :- রাজ্যে পাম অয়েলের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। তাই পাম অয়েলকে ভিত্তি করে দেশে ও আয়োজন করা হয়। চাষ করলে কৃষকরা লাভবান হবে।রাজ্যের মানুষকে আত্মনির্ভর করার জন্য পাম অয়েল প্ল্যান্টেশন করা হচ্ছে। আজ জিরানীয়া মহকুমার বেলবাড়ি ব্লকে শক্তিনগর ভিলেজে এক মেগ পাম অয়েল প্ল্যান্টেশন কর্মসূচির উদ্বোধন করে কৃষি ও কৃষক কল্যাণ মন্ত্রী রতনলাল নাথ একথা বলেন। অনুষ্ঠানে কৃষিমন্ত্রী প্রথমে পাম গাছের চারায় জল সিঞ্চন করে অনুষ্ঠানের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। উল্লেখ্য, উদ্যানপালন ও ভূমি সংরক্ষণ দপ্তরের উদ্যোগে এবং পতঞ্জলী লিমিটেডের সহযোগিতায় এই এই কর্মসূচির অনুষ্ঠানে কৃষিমন্ত্রী আরও বলেন, রাজ্যের সব অংশের মানুষের কল্যাণে সরকার আন্তরিভাবে কাজ করছে। গ্রাম ও শহরের সার্বিক বিকাশ সরকারের অগ্রাধিকারের ক্ষেত্র। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর কৃষিমন্ত্রী সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে জানান, রাজ্যের পাহাড়ী এলাকায় এখনো অনেক জমি খালি পড়ে রয়েছে। এই জমিগুলিকে কাজে লাগিয়ে কৃষকদের অর্থনৈতিকভাবে ব স্বাবলম্বী । করে তোলার লক্ষ্যে সরকার বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়েছে। এজন্য অর্থকরী ফসল উৎপাদনের উপর অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। কৃষিমন্ত্রী বলেন, একটি পাম গাছ পূর্ণতা পেতে চার বছর সময় লাগে। এই চার বছর সুবিধাভোগীকে প্রতি হেক্টরে এক লক্ষ টাকা ভর্তুকি দেওয়া হবে। এই এলাকার এম ট্রেক পাশ করা শিক্ষিত যুবক রোসেন দেববর্মা তার তিন হেক্টর জমিতে পাম গাছের বাগান করেছেন। এটা একটা দৃষ্টান্ত।
অনুষ্ঠানের সম্মানিত অতিধি বিধায়ক বিশ্বজিৎ কলই বলেন, রাজ্যে পাম অয়েল প্ল্যান্টেশনের কর্মসূচি একটি সময় উপযোগী পদক্ষেপ। গ্রামীণ এলাকার জমিগুলিকে পাম চাষের আওতায় আনলে জনজাতি অংশের মানুষ অর্থনৈতিকভাবে উপকৃত হবেন। অনুষ্ঠানে কৃষি ও কৃষক কল্যাণ দপ্তরের সচিব অপূর্ব রায় বলেন, সারা ভারতে ২৫ জুলাই থেকে মেগা পাম অয়েল প্ল্যান্টেশন কর্মসূচি শুরু হয়েছে। আগামীকাল এই এই কর্মসূচি সমাপ্ত হবে। তারই অঙ্গ হিসেবে আজ শন্তিনগর ভিলেজে মেগা পাম অয়েল প্ল্যান্টেশন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন পতঞ্জলী ফুড লিমিটেডের পক্ষে ড. সুভাষ ভট্টাচার্য ও এমডিসি গনেশ দেববর্মা। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন উদ্যানপালন ও মৃত্তিকা সংরক্ষণ দপ্তরের অধিকর্তা ড. ফনিভূষণ জমাতিয়া। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কৃষি ও কৃষক কল্যাগ দপ্তরের অধিকর্তা রদিন্দু দাস, ক্লেবাড়ি বিএসি’র চেয়ারম্যান রোকেন দেববর্মা, সমাজসেবী রবীন্দ্র দেববর্মা প্রমুখ। ধন্যবাদসূচক বক্তব্য রাখেন জিরানীয়া কৃষি মহকুমার কৃষি তত্ত্বাবধায়ক সুব্রত দাস৷ অনুষ্ঠান শেষে অতিথিগণ পাম গাছ রোপন করেন।
Leave feedback about this