জনতার কলম ওয়েবডেস্ক :- বাংলাদেশে সহিংসতা ও রাজনৈতিক সংকটের মধ্যে মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) সংসদ ভবনে সর্বদলীয় বৈঠক করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। বিদেশমন্ত্রী এওয়াই জয়শঙ্কর প্রতিবেশী দেশের বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে সমস্ত দলের নেতাদের অবহিত করেছেন।
সূত্রের খবর, বৈঠকে বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী কেন্দ্রকে প্রশ্ন করেন, বাংলাদেশের সহিংসতার পিছনে কি বিদেশি শক্তি, বিশেষ করে পাকিস্তানের হাত থাকতে পারে? সরকার বলেছে যে একজন পাকিস্তানি কূটনীতিক ক্রমাগত বাংলাদেশে সহিংসতার ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় তার প্রোফাইল ফটোতে পোস্ট করছেন। তাই এই ব্যাপারে তদন্ত করা হচ্ছে।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, সংসদীয় বিষয়ক মন্ত্রী কিরেন রিজিজু, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজীব রঞ্জন ওরফে লালন সিং, কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে সহ বহু দলের নেতারা বৈঠকে যোগ দেন।
বাংলাদেশে সংরক্ষণ নিয়ে দুই মাস ধরে চলা বিক্ষোভের মধ্যে সোমবার (৫ আগস্ট) ব্যাপক সহিংসতার ঘটনা ঘটে। এরপর শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে ভারতে আসেন। বর্তমানে তিনি গাজিয়াবাদের হিন্দন এয়ারবেসের সেফ হাউসে রয়েছেন। তিনি লন্ডন বা ফিনল্যান্ড যেতে পারেন।
রাহুল কেন্দ্রীয় সরকারকে মোট ৩টি প্রশ্ন করেছেন। তিনি দ্বিতীয় প্রশ্ন করেন, ভারত সরকার কি বাংলাদেশে ঘটে যাওয়া ঘটনা সম্পর্কে অবগত ছিল? এর জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ভারত পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে।
এরপর রাহুল প্রশ্ন করেন বাংলাদেশে ক্ষমতার পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলায় ভারত সরকারের স্বল্পমেয়াদী ও দীর্ঘমেয়াদি কৌশল কী? উত্তরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে পরিস্থিতি দ্রুত পরিবর্তন হচ্ছে। কেন্দ্র তার পরবর্তী পদক্ষেপের সিদ্ধান্ত নিতে এটি ঘনিষ্ঠভাবে বিশ্লেষণ করছে।
সূত্রের বরাত দিয়ে জয়শঙ্কর জানিয়েছেন, বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সোমবার (৫ আগস্ট) সন্ধ্যা থেকে ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন। তিনি এই মুহূর্তে হতবাক। ভারত সরকার তাকে সেরে ওঠার জন্য সময় দিচ্ছে সে পরবর্তীতে কী করবে এবং অন্যান্য বিষয়ে তার সাথে কথা বলার আগে। ভারত হাসিনাকে সব ধরনের সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছে।
জয়শঙ্কর বলেন, বর্তমানে ১০ হাজারের বেশি ভারতীয় শিক্ষার্থী বাংলাদেশে আটকা পড়েছে। তাদের নিরাপত্তার জন্য বাংলাদেশের সেনাপ্রধানের সঙ্গেও কথা বলেছে ভারত। প্রতিবেশী দেশটিতে বিক্ষোভকারীরা সংখ্যালঘুদের বাড়িঘর ও সম্পত্তিকেও লক্ষ্যবস্তু করেছে বলে সূত্রের খবর, বাংলাদেশে মোট ২০ হাজার ভারতীয় নাগরিক রয়েছে। এর মধ্যে এ পর্যন্ত ৮ হাজার মানুষ দেশে ফিরেছেন। ভারত সরকার তার জনগণের সাথে যোগাযোগ রাখছে।হাইকমিশন সেখানে নিরন্তর কাজ করছে। সরকারের নজর সেখানে আটকে পড়া সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তার দিকে।
Leave feedback about this