জনতার কলম ওয়েবডেস্ক:- রাজস্থানের বাঁশওয়াড়ায় আজ (বৃহস্পতিবার) ১ লক্ষ ২২ হাজার কোটি টাকারও বেশি উন্নয়নমূলক প্রকল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
এদিন নাপলায় মহি বাঁধের কাছে মহি বাঁশওয়াড়া রাজস্থান অ্যাটমিক পাওয়ার প্রজেক্টের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী। প্রায় ৪২ হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্পে প্রতিটি ৭০০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন চারটি পারমাণবিক বিদ্যুৎ ইউনিট স্থাপিত হবে।
প্রধানমন্ত্রী একইসঙ্গে সৌরশক্তি, পানীয় জল, স্বাস্থ্য, অবকাঠামো ও জাতীয় সড়ক-সংক্রান্ত একাধিক প্রকল্প উদ্বোধন করেন। এছাড়া রাজ্যে তিনটি নতুন রেল পরিষেবারও সূচনা করেন তিনি।
বৃহৎ জনসমাবেশে বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সাম্প্রতিক জিএসটি সংস্কারের ফলে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যসামগ্রীর দাম কমেছে, যার ফলে সাধারণ মানুষের সংসার চালানোর খরচ হ্রাস পেয়েছে। তিনি অভিযোগ করেন, বিরোধীরা জিএসটি নিয়ে ভুল তথ্য ছড়াচ্ছে। কিন্তু বাস্তবে এই সংস্কার প্রত্যেক শ্রেণির মানুষকে উপকৃত করবে এবং পরিবারগুলির বিপুল সঞ্চয় নিশ্চিত করবে।
‘আত্মনির্ভর ভারত’-এর ডাক পুনর্ব্যক্ত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশবাসীকে দেশীয় পণ্য কেনার ও প্রচারের অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। তিনি বলেন, ভারতীয়দের ঘামের ফোঁটা আর পরিশ্রমে তৈরি জিনিসই হলো প্রকৃত স্বদেশি পণ্য—যা জাতীয় গৌরবের প্রতীক।
তিনি আরও উল্লেখ করেন, রাজস্থানে আজ ইতিহাস রচিত হলো, যা ভারতের শক্তি খাতের নতুন অধ্যায়ের সূচনা করছে। একসঙ্গে সারা দেশে ৯০ হাজার কোটি টাকারও বেশি বিদ্যুৎ প্রকল্প চালু হচ্ছে, যা প্রমাণ করছে—ভারত এখন বিদ্যুতের গতিতে এগোচ্ছে, আর প্রতিটি রাজ্য এই অগ্রগতিতে অবদান রাখছে।
সূর্যশক্তি থেকে শুরু করে পারমাণবিক শক্তি পর্যন্ত দেশের সাফল্যের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিদ্যুৎ ছাড়া উন্নয়ন সম্ভব নয়। পূর্ববর্তী সরকার যেখানে বিদ্যুৎ খাতে অবহেলা করেছে, সেখানে গত দশ বছরে বিদ্যুৎ উৎপাদনে নজিরবিহীন কাজ হয়েছে। পরিচ্ছন্ন শক্তিকে এখন মানুষের আন্দোলনে রূপান্তর করা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, কংগ্রেস বরাবরই আদিবাসী সমাজকে অবহেলা করেছে। কিন্তু বিজেপি সর্বদা তাদের মর্যাদা, ক্ষমতায়ন এবং সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য রক্ষায় কাজ করছে।
Leave feedback about this