জনতার কলম ওয়েবডেস্ক :- কোটা সংস্কার আন্দোলনে নেমে বড় জয় পেল পড়ুয়ারা। সেখানে সরকারি চাকরিত যে কোটা ছিল তা সংস্কার করার পক্ষেই রায় দিয়েছে বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্ট। এরই সঙ্গে কোটা নিয়ে হাইকোর্টের রায় বাতিল করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। এর আগে সেখানে চাকরিতে কোটা রাখার পক্ষেই মত দিয়েছিল হাইকোর্ট।
এর বিরোধিতা করে এবং বাতিল করার দাবি জানিয়েই আন্দোলন শুরু করে পড়ুয়ারা। তবে সেখানে কোটা সংস্কার করার পক্ষেই মত দিয়েছিল বাংলাদেশ সরকার। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও আন্দোলনকারীদের সুপ্রিম কোর্টের রায়ের ওপর ভরসা রাখার আবেদন জানিয়েছিলেন।
এদিকে, হাইকোর্ট যে নির্দেশ দিয়েছিল তার বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে লিভ টু আপিলের আবেদন করেছিল বাংলাদেশের সরকার। সেখানে এই নিয়ে আন্দোলন হিংসাত্মক হতেই কার্ফু জারি করে বাংলাদেশের সরকার। এরই মধ্যে, রবিবার, কোটা নিয়ে হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিলের শুনানি হয়।
সোয়া ১০টার দিকে প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে শুনানি শুরু করে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ। প্রায় তিন ঘণ্টা শুনানির পরে সুপ্রিম কোর্টের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ রায় দেয়। সুপ্রিম কোর্টের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে কোটা নিয়ে শুনানি শুরু হতেই রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। হাইকোর্টের আদেশ বাতিল চেয়ে আবেদন করেন।
এদিকে পড়ুয়াদের পক্ষে বক্তব্য দেওয়ার জন্য পাঁচজন আইনজীবীকে অনুমতি দেয় আদালত। জানা গিয়েছে, শুনানিতে অংশ নেওয়া নয়জন আইনজীবীর মধ্যে আটজনই হাইকোর্টের আদেশ বাতিল করার পক্ষে মত দেন। একজন আইনজীবী কোটা সংস্কারের পক্ষে মত দেন।
বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দীন এএফপিকে বলেন, ‘এদিন সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে যে কোটা নিয়ে হাইকোর্টের রায় বেআইনি ছিল।’ তাই আদালত ওই রায় বাতিল করার নির্দেশ দিয়েছে। এরই সঙ্গে বাংলাদেশে কোটা সংস্কার করতে বিজ্ঞপ্তি জারির জন্য নির্দেশ নিয়েছে বাংলাদেশের সরকারকে।’
পড়ুয়াদেরকেও এবার আন্দোলনের পথ ছেড়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ফিরে যাওয়ার জন্যও বলেছে আদালত। এত দিনে মেধার ভিত্তিতি চাকরিতে নিয়োগ করার দাবিতে আন্দোলন করে আসছিল পড়ুয়ারা। এদিন আদালত জানিয়েছে, সরকারি চাকরিতে মেধার ভিত্তিতে ৯৩ শতাংশকে নিয়োগ করতে হবে।
মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবারের জন্য ৫ শতাংশ এবং অন্য ক্ষেত্রে ২ শতাংশ সংরক্ষণ রাখা হবে বলেও এদিন জানিয়েছে বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্ট। সংরক্ষণ বিরোধী আন্দোলন ঘিরে গত কয়েকদিন ধরেই উত্তপ্ত ছিল বাংলাদেশ। এই আন্দলনকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে শতাধিক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে।
Leave feedback about this