জনতার কলম ত্রিপুরা আগরতলা প্রতিনিধি :- স্বামীর নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে যুবতী বধূ আত্নহত্যারঅভিযোগ। অন্যদিকে বধূর স্বামী অভিযোগ অস্বীকার করে পাল্টা অভিযোগ আনেন শ্বশুর বাড়ির বিরুদ্ধে। ২০১৯ সালে সোনামুড়া রবীন্দ্রনগরের বাসিন্দা রাজীব দেবের সঙ্গে সামাজিক ভাবে বিয়ে হয় উদয়পুরের পুনম মজুমদারের। রাজীব আগরতলা আদালতে চাকরি করেন। বর্তমানে তাদের একটি আড়াই বছরের সন্তান রয়েছে।
অভিযোগ বিয়ের পর থেকে বধূর উপরে বিভিন্ন কারণে নির্যাতন করত স্বামী রাজীব। এও অভিযোগ বাপের বাড়ি থেকে বিভিন্ন সময়ে টাকা এনে দেওয়ার জন্যও বধূর উপরে চাপ দিত স্বামী। এনিয়ে সংসারে অশান্তি লেগে থাকতো। আর এই নির্যাতন সহ্য করতে না পেরেই শুক্রবার রাতে শ্বশুর বাড়িতে বিষপান করে বধূ। সঙ্গে সঙ্গে মেলাঘর হাসপাতালে নেওয়া হলে জিবিতে রেফার করা হয়। ঘটনার খবর পেয়ে ছুটে আসে বধূর বাপের বাড়ির লোকজন। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি।
চিকিৎসকদের সমস্ত চেষ্টা ব্যর্থ করে দিয়ে মারা যায় যুবতী বধূ। যুবতী বধূর বাপের বাপের বাড়ির অভিযোগ স্বামীর নির্যাতনের কারণে জীবন দিয়েছে পুনম। তারা ঘটনার সুবিচার চান। এদিকে বধূর স্বামী এসব অভিযোগ অস্বীকার করেন। মৃতের স্বামীর পাল্টা অভিযোগ পুনমের বাবার অবৈধ সম্পর্ক গড়ে উঠে নিজ বাড়ির ভাড়াটিয়া মহিলার সঙ্গে। এনিয়ে অশান্তি চলছে পুনমের বাপের বাড়িতে। সেই জন্যই আত্মহত্যা করেছে। স্বাভাবিক ভাবেই যুবতী বধূর মৃত্যুর কারণ নিয়ে রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে।
Leave feedback about this