জনতার কলম ত্রিপুরা আগরতলা প্রতিনিধি :- রাজধানী আগরতলার আস্তাবল ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় প্রকাশ্য দিবালোকে যুবকের টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনার তদন্তে নেমে ২৪ ঘন্টার মধ্যেই বড় ধরনের সাফল্য পেল পূর্ব থানার পুলিশ। বুধবার দুপুরে সংঘটিত ঘটনাটি সম্পূর্ণ নাটক। মূলত ড্রাগস কেনাবেচা নিয়েই হয় এই ঘটনা। আর এর মূল মাস্টারমাইন্ড হলেন গতদিনের ছিনতাইয়ের নাটককারী শহরতলী আড়ালিয়ার নেশায় আসক্ত যুবক শফিকুল ইসলাম। ফলে পুলিশ প্রকাশ্য দিবালোকে চাঞ্চল্যকর নাটকীয় ছিনতাইয়ের ঘটনার তদন্তে নেমে মাত্র কয়েক ঘন্টার ব্যবধানেই প্রকৃত রহস্য উন্মোচন করে তিন জনকে জালে তুলতে সক্ষম হয়। ধৃতরা হলেন নাটক মঞ্চস্থকারী শফিকুল ইসলাম ও দুই ছিনতাইবাজ শুকলাল ঋষি দাস ও অরুপ ত্রিপুরা। ঘটনার বিবরন দিয়ে বৃহস্পতিবার পূর্ব থানার ওসি রানা চ্যাটার্জিকে পাশে রেখে এক সাংবাদিক সম্মেলনে সদরের এস ডি পি ও দেবপ্রসাদ রায় জানান, বুধবার দুপুরে আস্তাবল ব্রিজের উপর সংঘটিত ঘটনাটি সম্পূর্ণ নাটক। শফিকুল ইসলাম এদিন এটিএম থেকে ১৫ হাজার টাকা তুলে নেশা কারবারী অরুপ ত্রিপুরার কাছ থেকে ড্রাগসের কৌটা সংগ্রহ করে। বিনিময়ে শফিকুল ৫০০ টাকা দিলে তা মানতে নারাজ। অরুপ সহ তার সাথী শুখলাল। এরপরই সেখানে তাদের মধ্যে এক প্রস্থ দস্তা দস্তি হয়। পরবর্তী সময়ে প্রত্যক্ষদর্শীরা এগিয়ে এলে অরূপ ও শুকলাল পালিয়ে যায়। তখনই তাদের দেখে নেওয়ার হুশিয়ারি দিয়ে ছিনতাইয়ের নাটক মঞ্চস্থ করে শফিকুল। আর এই ঘটনা মুহূর্তে ছড়িয়ে পড়তেই স্বাভাবিকভাবে উৎসবের আগে শহরবাসীর মনে একটা নতুন আতঙ্ক তৈরি হয়। তাই পুলিশ ঘটনার তদন্তে নেমে নাটক মঞ্চস্থ কারী শফিকুল কে জেরা করে বাকি দুজনকে চিহ্নিত করে। পরে আস্তাবল এলাকা থেকেই বৃহস্পতিবার অরুপ ও শুকলাল কে আটক করে। একই সাথে শফিকুলের কাছ থেকে যেমন ১৪ হাজার ৫০০ টাকা ও নেশার কৌটা উদ্ধার করা হয়, ঠিক তেমনি বাকিদের কাছ থেকেও উদ্ধার হয় নেশার কৌটা। মাত্র কয়েক ঘন্টার ব্যবধানে পুলিশের এই সাফল্যে স্বাভাবিকভাবেই জনমণে অনেকটা স্বস্তি দেখা দেয়। সদরের এসডিপিও এদিন জানান শহরে আতঙ্ক সৃষ্টি এবং নেশা কারবারের সাথে যুক্ত থাকার দায় পুলিশ আটক তিনজনের বিরুদ্ধেই বিভিন্ন ধারায় মামলা নিয়ে আদালতে তুলে।
Leave feedback about this