2024-09-19
agartala,tripura
রাজ্য শিক্ষা

নেশার বিরুদ্ধে সমাজের প্রত্যেকটি নাগরিককে এগিয়ে আসতে হবে : মুখ্যমন্ত্রী

জনতার কলম ত্রিপুরা আগরতলা প্রতিনিধি :-সেবামূলক কাজে জাতীয় সেবা প্রকল্পের (এনএসএস) স্বেচ্ছাসেবীদের ভূমিকা অপরিসীম। সেবামূলক কাজেই জীবনে সার্থকতা আসে। যুব সম্প্রদায়ের মধ্যে দেশের জন্য কাজ করার মানসিকতা থাকতে হবে। এই কাজে জাতীয় সেবা প্রকল্প একটি বড় প্ল্যাটফর্ম। আজ রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনে ৫৫তম রাজ্যভিত্তিক এনএসএস দিবস ও নেশামুক্ত ত্রিপুরা শীর্ষক এক আলোচনাচক্রের উদ্বোধন করে মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা) মানিক সাহা একথা বলেন। অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রাজ্য সরকার ত্রিপুরাকে নেশামুক্ত রাজ্য হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে কাজ করছে। সরকার নেশার বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে। রাজ্যে প্রতিনিয়ত নেশার বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হচ্ছে। এক্ষেত্রে সাফল্যও পাওয়া যাচ্ছে। নেশা সামগ্রী বাজেয়াপ্তকরণে ত্রিপুরা উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলির মধ্যে অন্যতম।

অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, যারা নেশার শিকার তাদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে সচেতনতামূলক কর্মসূচি নেওয়া হচ্ছে। নেশার বিরুদ্ধে সমাজের প্রত্যেকটি নাগরিককে এগিয়ে আসতে হবে। নেশামুক্ত ত্রিপুরা গঠনে রাজ্য সরকারের পাশে থেকে এনএসএস স্বেচ্ছাসেবীদেরও এগিয়ে আসতে হবে। নেশার বিরুদ্ধে জন আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে৷ মুখ্যমন্ত্রী বলেন, জাতির জনক মহাত্মা গান্ধীর জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে ১৯৬৯ সালে এনএসএস প্রকল্পের সূচনা হয়। শুরুতে মাত্র লক্ষ স্বেচ্ছাসেবী নিয়ে এনএসএস’র পথ চলা শুরু হয়। বর্তমানে সারা দেশে এনএসএস স্বেচ্ছাসেবী রয়েছেন প্রায় ৪২ লক্ষ। রাজ্যের ৬টি মহাবিদ্যালয়ের মাত্র ৬০০ স্বেচ্ছাসেবী নিয়ে রাজ্যেও ১৯৭৬ সালে এনএসএস’র পথ চলা শুরু হয়েছিল। বর্তমানে রাজ্যে এনএসএস ইউনিটের সংখ্যা রয়েছে ৪০০টি। স্বেচ্ছাসেবীর সংখ্যা ৩৪ হাজার ৩০০ জন। অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, প্রকৃত মানুষ হওয়া ও নিজের অর্ন্তর্নিহিত মেধাকে শক্তিশালী করা ছাত্র জীবনের মূল উদ্দেশ্য হওয়া উচিৎ। তাহলেই যুব সম্প্রদায় সমাজ ও দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবে। তিনি বলেন, সরকার মানুষের উন্নয়নে বিভিন্ন সিদ্ধান্ত ও পরিকল্পনা গ্রহণ করে। এগুলির সফল বাস্তবায়নে যুব সমাজ ও এনএসএস স্বেচ্ছাসেবীদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দেশের যুব সম্প্রদায়কে নিয়ে উন্নত দেশ গড়ার স্বপ্ন দেখেন। তাই বিভিন্ন সময়ে তিনি সরাসরি দেশের বিভিন্ন স্থানের ছাত্রছাত্রীদের সাথে মতবিনিময় করেন।

অনুষ্ঠানে যুব বিষয়ক ও ক্রীড়া দপ্তরের মন্ত্রী টিংকু রায় বলেন, দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে ভারতের যুবশক্তির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। রাজ্যের এনএসএস স্বেচ্ছাসেবীরা রাজ্য সরকারের বিভিন্ন কর্মসূচিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে ও নেশার বিরুদ্ধে সচেতনতা গড়ে তুলতে প্রশংসনীয়ভাবে কাজ করছে।

 

অনুষ্ঠানে ক্রীড়ামন্ত্রী বলেন, নেশামুক্ত ত্রিপুরা গঠনে রাজ্য সরকার নিরন্তর প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে। সচেতনতা শিবির গড়ে তোলা হচ্ছে। এক্ষেত্রে রাজ্যের ক্লাবগুলিরও বিরাট ভূমিকা রয়েছে। অনুষ্ঠানে এছাড়াও বক্তব্য রাখেন যুব বিষয়ক ও ক্রীড়া দপ্তরের সচিব ড. প্রদীপ কুমার চক্রবর্তী, এনএসএস রিজিওনাল সেন্টার গুয়াহাটির অধিকর্তা জংজিলং। স্বাগত বক্তব্য রাখেন রাজ্য এনএসএস অফিসার ডা. চিত্রজিৎ ভৌমিক। ধন্যবাদসূচক বক্তব্য রাখেন ক্রীড়া দপ্তরের অধিকর্তা সত্যব্রত নাথ। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সৈনিক কল্যাণ বোর্ডের ডিরেক্টর ব্রিগেডিয়ার জে পি তিওয়ারি প্রমুখ। উল্লেখ্য, ২০২২-২৩ সালে এনএসএস কর্মসূচিতে উল্লেখযোগ্য পারদর্শীতার জন্য রাজ্যের সেরা প্রোগ্রাম অফিসার, এনএসএস ইউনিট এবং স্বেচ্ছাসেবীদের পুরস্কার প্রদান করা হয়। পুরস্কার স্বরূপ তাদের হাতে ট্রফি এবং শংসাপত্র তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রী সহ অন্যান্য অতিথিগণ। আর্মস ফোর্সেস ফ্লেগ ডে উপলক্ষে এনএসএস স্বেচ্ছাসেবক দ্বারা সংগৃহীত ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকার চেক মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা) মানিক সাহা সৈনিক কল্যাণ বোর্ডের ডিরেক্টর ব্রিগেডিয়ার জে পি তিওয়ারির হাতে তুলে দেন। এনএসএস’র পক্ষ থেকে মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে ৫১ হাজার ৭২৯ টাকার চেক তুলে দেওয়া হয়।

Leave feedback about this

  • Quality
  • Price
  • Service