জনতার কলম ত্রিপুরা আগরতলা প্রতিনিধি :- দেশাত্ববোধের ভাবনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে সমাজসেবামূলক কাজে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। তাহলেই রাজ্য ও দেশ সামনের দিকে এগিয়ে যাবে। সমাজের সব অংশের মানুষ উপকৃত হবেন। আজ রাণীরবাজার গীতাঞ্জলী হলে মেরি মাটি মেরা দেশ অভিযান অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে পর্যটন মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী একথা বলেন। অনুষ্ঠানে পর্যটনমন্ত্রী বলেন, আমাদের কাছে সবার আগে দেশ। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সুযোগ্য নেতৃত্বে সমগ্র দেশ আজ এগিয়ে চলেছে। তাঁর দেখানো পথেই দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামীদের সম্মান জানানোর লক্ষ্যে মেরি মাটি মেরা দেশের মতো অভিযান কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে। দেশ আগে কোথায় ছিল এখন কোথায় আছে সে সম্পর্কে বর্তমান প্রজন্মকে ভালোভাবে জানতে হবে। তাহলেই এই ধরণের কর্মসূচি স্বার্থক হবে।
অনুষ্ঠানে রাণীরবাজার এলাকার ৩ জন স্বাধীনতা সংগ্রামীর পরিবারের সদস্য ও ৭ জন অবসরপ্রাপ্ত সৈনিককে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। তাদের হাতে উত্তরীয়, স্মারক ও উপহার তুলে দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জিরানীয়া পঞ্চায়েত সমিতির ভাইস চেয়ারম্যান প্রীতম দেবনাথ, রাণীরবাজার পুর পরিষদের চেয়ারপার্সন অপর্ণা শুরুদাস, জিরাণীয়া মহকুমার মহকুমা শাসক শান্তিরঞ্জন চাকমা, সমাজসেবী গৌরাঙ্গ ভৌমিক, সমাজসেবী অসিত রায় প্রমুখ। অনুষ্ঠানের আগে রাণীরবাজার পুর পরিষদের অফিস প্রাঙ্গণে মেরি মাটি মেরা দেশ অভিযানে, মিট্টি কা নমন ও বীরো কা বন্দন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। দেশের জন্য যারা আত্মবলিদান দিয়েছেন তাঁদের প্রতি সম্মান জানিয়ে এই অনুষ্ঠানে শিলাফলকম উৎসর্গ করা হয়। পর্যটনমন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী শিলাফলকম ও পুস্পস্তবক অর্পণ করার মধ্য দিয়ে বীর শহীদদের প্রতি সম্মান জানান। অনুষ্ঠানে মহকুমা শাসক শান্তিরঞ্জন চাকমা সবাইকে পঞ্চপ্রাণে শপথবাক্য পাঠ করান।
পর্যটনমন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী এদিন জিরানীয়া নগরপঞ্চায়েতেও মেরি মাটি মেরা দেশ কর্মসূচিতে অংশ নেন। সেখানে তিনি শিলাফলকমের আবরণ উন্মোচন করেন। অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জিরানীয়া নগরপঞ্চায়েতের চেয়ারপার্সন রতন কুমার দাস।
Leave feedback about this