জনতার কলম ওয়েবডেস্ক : ইয়াসের ধাক্কা ওডিশা অনেকটাই সামলে নিলেও বাংলাতেও ব্যপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে৷ বুধবার নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, সমুদ্রের নোনা জল কৃষি জমিতে ঢুকে চাষের ব্যপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে৷ এছাড়াও ১ কোটি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন শুক্রবার দুই ২৪ পরগণা ও পূর্ব মেদিনীপুরের ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনে যাবেন। শনিবার দিঘায় প্রশাসনিক বৈঠক করবেন৷বুধবার আধিকারিকদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর সংবাদমাধ্যমের কাছে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, পূর্ব মেদিনীপুর, দক্ষিণ ২৪ পরগনার বহু গ্রাম ভেসে গেছে। কপিলমুনির আশ্রম জলমগ্ন। সেচ ব্যবস্থা সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত৷ পানের বরোজ নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তিনি জানান, দুই মেদিনীপুর ছাড়াও হিঙ্গলগঞ্জ, হাসনাবাদ, হাড়োয়া, পাথরপ্রতিমা, কুলপি, বাসন্তী, বজবজ, উলুবেড়িয়া, শ্যামপুর, বাগনান, সাঁকরাইল, দিঘা, নন্দীগ্রাম, শঙ্করপুর, রামনগর, তাজপর, কাঁথি, সুতাহাটা, কোলঘাট, ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। একইসঙ্গে ভরা কোটালের জলোচ্ছ্বাস না কমা পর্যন্ত বিভিন্ন ত্রাণকেন্দ্রে থাকা মানুষকে বাড়ি যেতে বারণ করেছেন তিনি ।মুখ্যমন্ত্রী এদিন বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড়ে সব থেকে বেশি ক্ষতি হয়েছে সেচ দফতরের। বিভিন্ন জায়গায় নদীবাঁধ ভেঙেছে। কী করে সেগুলির স্থায়ী মেরামত করা যায় তা খতিয়ে দেখতে দফতরের সচিবকে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।’ তিনি জানিয়ে দেন, বাঁধ রক্ষণাবেক্ষণের জন্য বিশেষ টাস্ক ফোর্স গঠন করছে রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রী এদিন প্রশাসনিক কর্তাদের নির্দেশ দিয়েছন, নোনা জমিতে চাষের ব্যবস্থা করতে হবে। যে জমিতে ফসল আছে, সেখানে আগে জল সরাতে হবে পাম্প করে। কৃষি দফতর, মৎস্য দফতর যৌথভাবে কাজ করে রিপোর্ট তৈরি করবে। লবণাক্ত জমিতে নোনা স্বর্ণ ধান চাষ করতে হবে। সেইসঙ্গে নোনা জলের মাছেরও চাষ করতে হবে।
নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ১৪ লক্ষ ৪ হাজার ৫০৬ জনকে ইতিমধ্যেই নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ১০ কোটি টাকার ত্রাণ পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণের প্রক্রিয়া ৭২ ঘণ্টা পর শুরু হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন।
Leave feedback about this