জনতার কলম ত্রিপুরা আগরতলা প্রতিনিধি :- সবাইকে নিয়ে আমরা কাজ করতে চাই। সবাইকে সম্মান জানানো আমাদের লক্ষ্য। আজ সন্ধ্যায় রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনে ‘৭৫ সীমান্ত গ্রাম, ক্রান্তি বীরো কে নাম’ শীর্ষক কর্মসূচিতে সমাপনী পর্বের ক্রান্তিবীর সঙ্গীতানুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষনে মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহা একথা বলেন। তিনি বলেন, ইতিহাসকে ভুলে গেলে চলবেনা। দেশের জন্য যাঁরা প্রাণ দিয়েছেন তাঁরা কেউ পদের জন্য লালায়িত ছিলেননা। তাঁদের আত্মত্যাগের জন্যেই দেশ স্বাধীন হয়েছে। দেশ ও রাজ্যের বর্তমান সরকার এই স্বাধীনতা সংগ্রামীদের সম্মান জানানোর জন্য বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছে। ‘৭৫ সীমান্ত গ্রাম, ক্রান্তি বীরো কে নাম’ অনুষ্ঠান এই ২ কর্মসূচির অঙ্গ হিসেবেই পালিত হয়েছে। দেশের জন্য যারা লড়াই করেছেন তাদের প্রতি গ্রাম থেকে খুঁজে বের করা সহজ বিষয় নয়। প্রধানমন্ত্রীর দেখানো পথের জন্যেই তাঁদের সম্মান জানানো সম্ভব হয়েছে। দেশাত্মবোধক ভাবনায় ভাবিত হয়ে সামনের দিকে এগিয়ে চলার উপর গুরুত্বারোপ করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, দেশ শক্তিশালী না হলে অনেক কিছুই করা যাবে না। এ বিষয়টি সবাইকে উপলব্ধি করে ঐক্যবদ্ধ ভাবে চলা উচিত। তিনি বলেন, দেশ মাতৃকার হয়ে যারা লড়াই করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে তাদের যথাযথভাবে সম্মান জানানো হচ্ছে। দেশের বর্তমান প্রজন্ম যাতে স্বাধীনতা সংগ্রামীদের সম্পর্কে ভালভাবে অবহিত হতে পারেন সেজন্য নেওয়া হচ্ছে একের পর এক কর্মসূচি। গত বছর থেকে শুরু হয়েছে হর ঘর তিরঙ্গা অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রযান-এ মসৃগভাবে চাঁদে অবতরণ করায় বিজ্ঞানী ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে রাজ্যবাসীর পক্ষ থেকে অভিনন্দন জানান। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আজ অত্যন্ত আনন্দের দিন। নতুন ইতিহাস রচনা হয়েছে। আমরা সবাই এই দিনটির জন্য উৎকণ্ঠার সঙ্গে তাকিয়ে ছিলাম। আজকের এই (পিনটির। জন্য ইসরোর বিজ্ঞানীদের মুখ্যমন্ত্রী অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, তাঁরা সবাই দেশবাসীকে গর্বিত করেছেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র
মোদিকে অভিনন্দন জানিয়ে তিনি বলেন, তাঁর সময়কালের বিষয় উল্লেখ করেন,
তাঁর অনুপ্রেরণায় বিষয়টি সুচারুভাবে সম্পন্ন হয়েছে। এদিন অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে রাজ্যভিত্তিক সাংস্কৃতিক উপদেষ্টা কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান সুরত চক্রবর্তী ‘৭৫ • সীমান্ত গ্রাম, ক্রান্তি বীরো কে নাম’ কর্মসূচির ভূয়সী প্রশংসা করেন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তবা রাখেন তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের সচিব ড. প্রদীপ চক্রবর্তী। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিম জেলার জেলাশাসক দেবপ্রিয় বর্ধন। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের অধিকর্তা বিম্বিসার ভট্টাচার্য। অনুষ্ঠানে প্রবন্ধ প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের পুরস্কৃত করা হয়। তাদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহা। অনুষ্ঠানে রাজ্যের শিল্পীগণ মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করেন। ক্রান্তিবীর সংগীতানুষ্ঠানের সূচনা হয় রবিসুধার শিল্পীদের ৭৫ কণ্ঠে দেশাত্মবোধক সংগীতের মধ্য দিয়ে৷
Leave feedback about this