জনতার কলম ওয়েবডেস্ক :- জাতীয় সংগীত ‘বন্দে মাতরম’ আজ শুধু একটি গান নয়, এটি ভারতীয়দের দেশপ্রেম, ত্যাগ ও জাতীয় চেতনার প্রতীক হয়ে উঠেছে—এমনই মন্তব্য করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। আজ রাজ্যসভায় ‘বন্দে মাতরম’ গানের ১৫০তম বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এই কথা বলেন।
অমিত শাহ বলেন, ‘বন্দে মাতরম’ এক অমর সৃষ্টি, যা মাতৃভূমির প্রতি দায়িত্ববোধ ও ভক্তির অনুভূতি জাগ্রত করে। স্বাধীনতা আন্দোলনের সময় যেমন এই গানের প্রয়োজন ছিল, তেমনই আজও তার প্রাসঙ্গিকতা রয়েছে। এমনকি ২০৪৭ সালে যখন ভারত ‘বিকশিত ভারত’ হয়ে উঠবে, তখনও ‘বন্দে মাতরম’ দেশবাসীকে পথ দেখাবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
তিনি জানান, স্বাধীনতা সংগ্রামের সময় প্রতিটি সভার সূচনা হত ‘বন্দে মাতরম’ ধ্বনির মাধ্যমে। আজও যখন সীমান্তে দেশের বীর জওয়ানরা আত্মবলিদান দেন, তখন তাঁদের মুখেও উচ্চারিত হয় ‘বন্দে মাতরম’।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, এই গানের মাধ্যমে সাহিত্য সম্রাট বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় দেশকে ‘মা’ হিসেবে পূজার সাংস্কৃতিক ধারা ও সাংস্কৃতিক জাতীয়তাবাদের ভিত্তি স্থাপন করেছিলেন।
অমিত শাহ বলেন, নানা নিষেধাজ্ঞা, অত্যাচার ও অগণিত বাধা অতিক্রম করেও ‘বন্দে মাতরম’ দেশের মানুষের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছে এবং কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়েছে। তাঁর বক্তব্যে উঠে আসে, শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে চলা বিদেশি আক্রমণে দেশের সংস্কৃতি যেভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল এবং ব্রিটিশ শাসনের সময় যেভাবে একটি নতুন সভ্যতা ও সংস্কৃতি চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হয়েছিল, তার বিরুদ্ধেই এক শক্তিশালী প্রতিরোধ হয়ে উঠেছিল ‘বন্দে মাতরম’।
শেষে তিনি জানান, সংসদের দুই কক্ষে এই গান নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে ‘বন্দে মাতরম’-এর প্রকৃত গুরুত্ব ও গৌরব উপলব্ধি করতে সাহায্য করবে।


Leave feedback about this