জনতার কলম ত্রিপুরা আগরতলা প্রতিনিধি :- পর্যটন শিল্প রাজ্যে ভবিষ্যতে বিকল্প অর্থনীতির দিশারি হয়ে উঠবে। নীরমহলপর্যটন কেন্দ্রকে বিশ্বের দরবারে পৌছে দেওয়ার লক্ষ্যে নিরন্তর কাজ করে চলেছে রাজ্য সরকার এবং পর্যটন দপ্তর। ভারত সরকারও বিভিন্নভাবে এই পর্যটন কেন্দ্রকে পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয় করে তুলতে সহযোগিতা করে যাচ্ছে। নীরমহলকে কেন্দ্র করে অত্যাধুনিক পরিকাঠামো গড়ে তুলতে ইতিমধ্যে ৭৫ কোটি টাকার প্রস্তাবিত প্রকল্প কেন্দ্রীয় সরকারের অনুমোদনের অপেক্ষায়।
আজ নীরমহল পর্যটন কেন্দ্রের রাজঘাটে নবনির্মিত পর্যটন পরিকাঠামোর উদ্বোধন করে পর্যটন দপ্তরের মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী একথা বলেন। ভারত সরকারের স্বদেশ দর্শন প্রকল্পে ত্রিপুরা সরকারের পর্যটন দপ্তরের তত্ত্বাবধানে নীরমহল পর্যটন কেন্দ্রে উন্নত পরিষেবা প্রদানের লক্ষ্যে বিভিন্ন পরিকাঠামো করা হয়েছে। প্রসঙ্গত স্বদেশ দর্শন প্রকল্পে ৪ কোটি ২ লক্ষ ৫৭ হাজার টাকা ব্যয়ে রাজঘাটে নির্মিত হয়েছে ট্যুরিস্ট ফেসিলিটেশন সেন্টার, স্যুভেনির শপ, ওয়েলকাম গেট, ওয়াচ টাওয়ার, টিকেট কাউন্টার, পর্যটকদের বসার জন্য বিশেষ আসনস্থল, পার্কিং-এর জন্য জায়গা।
বক্তব্য রাখতে গিয়ে পর্যটনমন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী বলেন, একটি পর্যটন কেন্দ্রের বিকাশ হলে সবচেয়ে আগে বিকাশ হয় স্থানীয় জনগণের। আর্থিকভাবে উন্নতির সুযোগ ঘটে স্থানীয়দের। তিনি বলেন, রাজ্য সরকার পরিকাঠামো নির্মাণে অর্থ ব্যয় করবে, রাষ্ট্রের সম্পদ বৃদ্ধি পাবে। কিন্তু এই সম্পদকে রক্ষা করার দায়িত্ব স্থানীয়দের। নীরমহল রক্ষা করার জন্য তিনি স্থানীয় জনগণকেও এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। অনুষ্ঠানে বিধায়ক কিশোর বর্মণ বলেন, ত্রিপুরার পর্যটনকে বর্তমানে বিশ্বের দরবারে পৌছানোর কাজ চলছে। এইজন্য প্রধানমন্ত্রীর সক্রিয় ভূমিকার কথা তিনি উল্লেখকরেন।
তিনি বলেন, রাজন্য আমলে তৈরি এই প্রাসাদকে ঘিরে পর্যটনের সম্ভাবনা বর্তমান সরকারের সময়ে বিকশিত হয়েছে। এজন্য বিধায়ক রাজ্য সরকারকে মেলাঘরবাসীর পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানান। এদিনের অনুষ্ঠানে এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন মেলাঘর পুরপরিষদের চেয়ারপার্সনঅ নামিকা ঘোষ পাল রায়, নলছড় পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারম্যান স্বপন কুমার দাস,রুদ্রসাগর উদ্বাস্তু মৎসজীবী সমবায় সমিতির সচিব পরমেশ্বর দাস। সভাপতিত্ব করেন রুদ্রসাগর উদ্বাস্তু মৎসজীবী সমবায় সমিতির সভাপতি পবিত্র দাস। স্বাগত বক্তব্য রাখেন পর্যটন দপ্তরের সচিব ইউ কে চাকমা।
Leave feedback about this