জনতার কলম আগরতলা প্রতিনিধি :-ত্রিপুরার পরিবহণ অবকাঠামো ও বিদ্যুৎ ব্যবস্থার উন্নয়নে বড় পদক্ষেপ নিল রাজ্য সরকার। বুধবার আগরতলা রেলওয়ে স্টেশন প্রাঙ্গণে আনুষ্ঠানিকভাবে চালু হলো নতুন ১৩২ কেভি ট্রান্সমিশন লাইন ও ১৩২ কেভি ফিডার বেস। বিদ্যুৎমন্ত্রী রতনলাল নাথ বৈদ্যুতিন বোতাম টিপে এর উদ্বোধন করেন। প্রকল্পে মোট ব্যয় হয়েছে ৫৮ কোটি ৩৩ লক্ষ টাকা, যা বহন করেছে ত্রিপুরা স্টেট ইলেক্ট্রিসিটি কর্পোরেশন লিমিটেড (টিএসইসিএল)।
বৈদ্যুতিক রেল চলাচলের নতুন অধ্যায়!
এই প্রকল্পের ফলে প্রথমবারের মতো ত্রিপুরায় ডিজেলের পরিবর্তে বিদ্যুৎচালিত ট্রেন চলাচল শুরু হবে। পি কে বাড়ি (কুমারঘাট) থেকে কুমারঘাট রেলওয়ে টিসিএস বনদুয়ার (উদয়পুর) থেকে উদয়পুর রেলওয়ে টিসিএস গামাইটিলা (তেলিয়ামুড়া) থেকে তেলিয়ামুড়া রেলওয়ে টিসিএস,
— মোট ২৭১ কিমি বিদ্যুৎ লাইন চালু হলো।
বিদ্যুৎমন্ত্রীর বক্তব্য!
রতনলাল নাথ বলেন, “আজ ত্রিপুরার ইতিহাসে এক উজ্জ্বল দিন। বিদ্যুৎচালিত ট্রেন চালু হওয়ায় শুধু দ্রুত ও আরামদায়ক ভ্রমণই নয়, পরিবেশবান্ধব পরিবহণ ব্যবস্থার দিকেও এগোলো রাজ্য। এরফলে কাঁচামাল আমদানি-রপ্তানি সহজ হবে, ব্যবসা-বাণিজ্য, পর্যটন ও সামগ্রিক অর্থনীতির উন্নতি ঘটবে।”
তিনি স্মরণ করিয়ে দেন—
১৯৬৪ সালে ধর্মনগরে রেল আসে। ৪৪ বছর পর আগরতলায় রেল পৌঁছায়। ২০১৯ সালে রেল পৌঁছায় সাব্রুম পর্যন্ত। এছাড়া তিনি জানান, আগরতলা পর্যন্ত ডাবল লাইন সার্ভে সম্পন্ন হয়েছে, আর সাব্রুম পর্যন্ত সার্ভে বিবেচনাধীন রয়েছে। রাজ্যে ভবিষ্যতে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস চালুর পরিকল্পনাও রয়েছে বলে উল্লেখ করেন মন্ত্রী।
বিদ্যুৎ ও অবকাঠামোতে অগ্রগতি মন্ত্রী জানান, বিদ্যুৎ ও অবকাঠামোয় গত এক দশকে রাজ্য বহুগুণ উন্নতি করেছে। ১৩২ কেভি সাব-স্টেশন ১২ থেকে বেড়ে হয়েছে ২০ ১৩২ কেভি লাইন ১৮৫ কিমি থেকে বেড়ে হয়েছে ৯৮৪ কিমি ৩৫টি সাব-স্টেশন বেড়ে হয়েছে ৭০ আন্ডারগ্রাউন্ড ক্যাবল ১৫ কিমি থেকে বেড়ে হয়েছে ৪০৮৭ কিমি।
আগামী দিনে পুরো আগরতলা শহরকে আন্ডারগ্রাউন্ড ক্যাবল দ্বারা যুক্ত করার কাজ চলছে। একই উদ্যোগ নেওয়া হবে খুমুলুঙ ও ধর্মনগরে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন—
বিধানসভার মুখ্য সচেতক কল্যাণী সাহা রায়,আগরতলা পুরনিগমের মেয়র দীপক মজুমদার,বিদ্যুৎ দপ্তরের সচিব অভিষেক সিং,টিএসইসিএল এমডি বিশ্বজিৎ বসু,বিধায়ক অভিষেক দেবরায়, মিনারাণী সরকার।সমাজসেবী মনীষ দেব ও অসীম। ভট্টাচার্য প্রমুখঅনুষ্ঠানে প্রকল্পের তথ্যচিত্র প্রদর্শিত হয় এবং ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন ডিভিশনাল ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার প্রকাশ চন্দ্র মিনা।
Leave feedback about this