জনতার কলম আগরতলা প্রতিনিধি :-ত্রিপুরা রাজ্য গ্রামীণ জীবিকা মিশনের (TRLM) চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের তিন দফা দাবিকে কেন্দ্র করে রাজ্যে নতুন শ্রমিক অসন্তোষ মাথাচাড়া দিচ্ছে। শুধু দাবি উত্থাপন নয়—এই ইস্যুতে সরাসরি চাপের মুখে ফেলতে রাস্তায় আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিল TRLM কর্মচারী সংঘ। বিষয়টি শ্রমিক সংগঠন BMS-ও নিজেদের মতো করে গুরুত্ব দিচ্ছে, ফলে জোরদার হচ্ছে শ্রম-রাজনীতি।
শনিবার আগরতলা প্রেস ক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলন করে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আকাশ চক্রবর্তী জানান, ইপিএফ চালু করা, আউটসোর্সিং নিয়োগ পদ্ধতি বাতিল করা এবং আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে নিয়োজিত কর্মীদের ডিপার্টমেন্টাল স্টাফের মর্যাদা দেওয়া—এই তিন দাবি নিয়ে তারা দীর্ঘদিন ধরেই আন্দোলন করছেন, কিন্তু কোনো ইতিবাচক সাড়া মেলেনি।
সম্প্রতি TRLM প্রকল্প কর্তৃপক্ষের কাছে ডেপুটেশন দেওয়া হলেও এখনো পর্যন্ত কোনো অগ্রগতি না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন আকাশ চক্রবর্তী। তাঁর কথায়,
“আর সময় দেওয়ার সুযোগ নেই। তিন দফা দাবি মানা না হলে রাজ্যজুড়ে বৃহত্তর গণ আন্দোলন অনিবার্য।”
সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন TRLM কর্মচারী সংঘের সভাপতি পলাশ রুদ্র পাল এবং ভারতীয় মজদুর সংঘের প্রদেশ কমিটির সহকারী অফিস সম্পাদক তন্ময় সূত্রধর। তন্ময় সূত্রধর এদিন কেন্দ্রীয় শ্রমনীতি নিয়ে সরকারের পাশে দাঁড়ান। তিনি বলেন,
“শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ২৯টি শ্রম আইনের পরিবর্তে চারটি শ্রম সংহিতা আইন কার্যকর করেছেন—এটি ঐতিহাসিক পদক্ষেপ। শ্রমিকদের দীর্ঘদিনের সমস্যা সমাধানে এই কোডগুলি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে।”
একদিকে TRLM কর্মীদের অস্থিরতা বাড়ছে, অন্যদিকে কেন্দ্রীয় শ্রমনীতির প্রশংসা শোনা যাচ্ছে BMS শিবিরে—দুটি বিপরীত সুর এখন একই পরিসরে। ফলে TRLM–এর সমস্যা সমাধানে রাজ্য সরকারের ভূমিকা এখন শ্রমিক মহলে গভীর কৌতূহলের কেন্দ্রবিন্দু।
মাঠে নামার প্রস্তুতি নিয়ে ফেলেছে TRLM কর্মচারী সংঘ। তারা যদি আন্দোলন শুরু করে, তাহলে গ্রামীণ জীবিকা প্রকল্পের কাজে বড়সড় প্রভাব পড়তে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন শ্রমিক নেতারা।





Leave feedback about this