জনতার কলম আগরতলা প্রতিনিধি :- বিশ্রামগঞ্জের নলজলা এলাকার এক অসহায় পরিবারের উপর নেমে এসেছে দুঃখের পাহাড়। টাকার অভাবে বন্ধ হয়ে গেছে সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রী ফাতিমা বেগমের চিকিৎসা। মেয়ের জীবন বাঁচাতে মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ মানিক সাহার কাছে আর্থিক সাহায্যের আবেদন জানিয়েছেন ফাতিমার মা, আফিয়া বেগম।
জানা গেছে, ফাতিমা বেগম বিশ্রামগঞ্জ পুষ্করবাড়ি এস.বি. স্কুলের সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রী। তার বাবা জামাল মিয়া কয়েকদিন আগে রেললাইনে কাটা পড়ে মর্মান্তিকভাবে মৃত্যুবরণ করেন। বাবার মৃত্যুর পর থেকেই ফাতিমার শারীরিক অবস্থা অবনতি ঘটতে থাকে। প্রথমে তাকে বিশ্রামগঞ্জ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়, পরবর্তীতে শারীরিক অবস্থা আরও জটিল হওয়ায় তাকে স্থানান্তরিত করা হয় আগরতলার জিবি হাসপাতালে।
বর্তমানে ফাতিমা জিবি হাসপাতালের শয্যায় চিকিৎসাধীন। কিন্তু আর্থিক অনটনের কারণে মা আফিয়া বেগম মেয়ের চিকিৎসা, প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও ওষুধপত্র চালিয়ে যেতে পারছেন না। হাসপাতালের বেডের পাশে বসে কান্নায় ভেঙে পড়ে তিনি সংবাদ মাধ্যমের মাধ্যমে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে কাতর আবেদন জানিয়েছেন—
“আমার মেয়েকে বাঁচান, দয়া করে সাহায্য করুন।”
অর্থনৈতিক অসহায়তার কথা জানতে পেরে মঙ্গলবার জিবি হাসপাতালে ফাতিমার খোঁজ নিতে ছুটে যান ত্রিপুরা রাজ্য হজ কমিটির চেয়ারম্যান শাহ আলম মজুমদার, সদস্য জহিরুল হক, এবং ত্রিপুরা রাজ্যিক এমারতে শরয়ীয়াহ্ ও নদওয়াতুত তামীরের সম্পাদক মাওলানা জাকির হোসাইন আলজলিলী সহ একটি প্রতিনিধি দল।
তারা ফাতিমা ও তার মা আফিয়া বেগমের দুরবস্থা মনোযোগ দিয়ে শোনেন এবং তাঁদের পাশে দাঁড়ানোর আশ্বাস দেন। পরে শাহ আলম মজুমদার মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ মানিক সাহার নিকট ফাতিমার উন্নত চিকিৎসার জন্য বিশেষ আর্থিক সহায়তার আবেদন জানান।
তিনি সমাজের সহৃদয় মানুষ ও বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনগুলোকেও এগিয়ে আসার আহ্বান জানান, যাতে অসুস্থ ফাতিমার চিকিৎসা অব্যাহত রাখা যায়।
স্বামীর আকস্মিক মৃত্যু ও মেয়ের অসুস্থতায় দিশেহারা আফিয়া বেগম কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন,“আমার মেয়েটা এখন কিছুই খেতে পারছে না… দয়া করে সবাই মিলে আমার মেয়েকে বাঁচান।”





Leave feedback about this