জনতার কলম ওয়েবডেস্ক :- ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার কেন্দ্রীয় মহাসচিব সহ মুখপাত্র বিনোদ কুমার পাণ্ডে বিজেপির অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে কড়া ভাষায় পাল্টা আক্রমণ করেছেন। তিনি বলেন, “বিজেপির অভিযোগ শুধু বিভ্রান্তিকর নয়, বরং রাজ্যের যুবসমাজের আকাঙ্ক্ষার অবমাননা। তাঁর মতে, হেমন্ত সোরেন সরকারের প্রস্তাবিত নতুন বিল সম্পূর্ণভাবে সাংবিধানিক এবং এর লক্ষ্য শিক্ষাব্যবস্থাকে আরও জবাবদিহিমূলক, স্বচ্ছ এবং জনমুখী করা।
যখন কেন্দ্রীয় সরকার বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য সহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ পদে একতরফা নিয়োগ করে, তখন বিজেপির মনে গণতন্ত্র ও সংবিধানের কথা আসে না। তাদের আপত্তি কেবলমাত্র ক্ষমতার বাইরে থাকার কারণে, তারা বিশ্ব এবং বিদ্যালয়গুলোকেও রাজনৈতিক পরীক্ষাগারে পরিণত করতে চায়।
তিনি আরও বলেন, ঝাড়খণ্ডে আজ উচ্চশিক্ষার যে সংকট দেখা দিয়েছে, তা বিজেপির আগের সরকারের দীর্ঘ দিনেরঅবহেলার ফল। এটি সেই ব্যর্থতারই ফসল, যার ফলে আজও আমাদের ছাত্রদের চিকিৎসা, প্রযুক্তি, ব্যবস্থাপনা ও পেশাদার শিক্ষার জন্য হাজার হাজার কিলোমিটার দূরের রাজ্যে যেতে হয়। আজ রাজ্য সরকারের দেওয়া শিক্ষাবৃত্তির ৮০-৮৫ শতাংশই বাইরে চলে যায়। এটি মেধার অপসারণ, যা রোধ করা এখন সময়ের দাবি।
তিনি বলেন, হেমন্ত সরকার যে বিল এনেছে, তা ঝাড়খণ্ডকে উচ্চশিক্ষার এক শক্তিশালী কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলবে এবং রাজ্যের যুবকদের আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতার উপযুক্ত করে গড়ে তুলবে। তিনি এই উদ্যোগের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন এবং উচ্চ ও কারিগরি শিক্ষা মন্ত্রী সুদিব্য কুমারকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান এবং আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে বিলটি শীঘ্রই বিধানসভায় পাস হয়ে কার্যকর হবে।
শেষে তিনি বলেন, “এই বিল কারও অধিকারে হস্তক্ষেপ করার জন্য নয়, বরং ঝাড়খণ্ডের ভবিষ্যৎেক দৃঢ় ভিত্তি দেওয়ার প্রয়াস। লক্ষ লক্ষ যুবকের স্বপ্ন ও সম্ভাবনার কথা মাথায় রেখেই এই বিল আনা হয়েছে। বিজেপির উচিত রাজনীতি না করে রাজ্যের বৃহত্তর স্বার্থে ইতিবাচক ভূমিকা পালন করা।
Leave feedback about this